সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:

সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:
সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:

সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে