রাহুল শর্মা, ঢাকা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগে তিন ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। এগুলো হলো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
পিএসসির সূত্র বলেছে, বিসিএসের সিলেবাস বদলের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নবম বিশেষ সভায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটি গঠন করা হয় এবং পিএসসির একজন সদস্যকে এর আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছে। তবে পিএসসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও কিছু সদস্য বাদ পড়ার কারণে ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ১২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে যে সিলেবাসে বিসিএস পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা) হচ্ছে, তা যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনায় গঠিত ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে কমিটির আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া প্রতিবেদনে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিষয়গুলো হলো ১০০ নম্বরের বাংলা রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা ও সারাংশ লেখা; ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক ও সমসাময়িক বিষয়াবলি এবং ১০০ নম্বরের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল। আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর) বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
পিএসসি থেকে জানা যায়, ৩৫তম বিসিএস থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর হয়েছে। এই বিসিএস থেকে মোট ১০টি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল-পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন। এর আগে চারটি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হতো। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সাধারণ ক্যাডারের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। উভয় ক্যাডার হলে ২০০ নম্বরের পেশাগত বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
সিলেবাস রিভিউ কমিটির বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এই কমিটিতে শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন। কমিটির কাজ শেষ হলে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পিএসসির ভাবনা বিনিময় করা হবে। এরপর সবার মতামত নিয়ে সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে। মূল কথা হলো, পিএসসি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। আগামী ছয় মাস এ বিষয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কাজটি তাঁরা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে চান।
অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিমার্জন-পরিবর্তন করেই তা চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শুধু সিলেবাস নয়, যত পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে, তা চাকরিপ্রার্থীদের আগে থেকেই জানানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তাঁরা সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে পারেন। তিনি বলেন, কিছু কমিউনিকেশন ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন বলা যায়, যদি লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখায় কোনো পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটা (উত্তর) কীভাবে লিখতে হবে সে অনুযায়ী গাইডলাইনভিত্তিক ভিডিও তৈরি করা হবে।
একবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একাধিকবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিএসসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসসি আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। পিএসসি বলছে, এসব বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমও বলেছেন, পিএসসিতে তাঁরা যেসব গুণগত পরিবর্তন আনতে চাইছেন সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। যেমন–সার্কুলার সিস্টেমে খাতা দেখা। অর্থাৎ একটি খাতার একেকটি প্রশ্নের উত্তর একেকজন পরীক্ষক পিএসসিতে বসে দেখবেন। এটি করতে হলে খাতা দেখার সম্মানী বাড়াতে হবে। এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের নিয়োগ শেষ করা সম্ভব।
সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে পিএসসিকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সব পরিকল্পনাই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগে তিন ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। এগুলো হলো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
পিএসসির সূত্র বলেছে, বিসিএসের সিলেবাস বদলের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নবম বিশেষ সভায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটি গঠন করা হয় এবং পিএসসির একজন সদস্যকে এর আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছে। তবে পিএসসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও কিছু সদস্য বাদ পড়ার কারণে ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ১২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে যে সিলেবাসে বিসিএস পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা) হচ্ছে, তা যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনায় গঠিত ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে কমিটির আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া প্রতিবেদনে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিষয়গুলো হলো ১০০ নম্বরের বাংলা রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা ও সারাংশ লেখা; ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক ও সমসাময়িক বিষয়াবলি এবং ১০০ নম্বরের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল। আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর) বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
পিএসসি থেকে জানা যায়, ৩৫তম বিসিএস থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর হয়েছে। এই বিসিএস থেকে মোট ১০টি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল-পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন। এর আগে চারটি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হতো। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সাধারণ ক্যাডারের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। উভয় ক্যাডার হলে ২০০ নম্বরের পেশাগত বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
সিলেবাস রিভিউ কমিটির বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এই কমিটিতে শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন। কমিটির কাজ শেষ হলে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পিএসসির ভাবনা বিনিময় করা হবে। এরপর সবার মতামত নিয়ে সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে। মূল কথা হলো, পিএসসি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। আগামী ছয় মাস এ বিষয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কাজটি তাঁরা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে চান।
অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিমার্জন-পরিবর্তন করেই তা চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শুধু সিলেবাস নয়, যত পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে, তা চাকরিপ্রার্থীদের আগে থেকেই জানানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তাঁরা সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে পারেন। তিনি বলেন, কিছু কমিউনিকেশন ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন বলা যায়, যদি লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখায় কোনো পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটা (উত্তর) কীভাবে লিখতে হবে সে অনুযায়ী গাইডলাইনভিত্তিক ভিডিও তৈরি করা হবে।
একবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একাধিকবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিএসসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসসি আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। পিএসসি বলছে, এসব বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমও বলেছেন, পিএসসিতে তাঁরা যেসব গুণগত পরিবর্তন আনতে চাইছেন সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। যেমন–সার্কুলার সিস্টেমে খাতা দেখা। অর্থাৎ একটি খাতার একেকটি প্রশ্নের উত্তর একেকজন পরীক্ষক পিএসসিতে বসে দেখবেন। এটি করতে হলে খাতা দেখার সম্মানী বাড়াতে হবে। এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের নিয়োগ শেষ করা সম্ভব।
সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে পিএসসিকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সব পরিকল্পনাই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
আরও খবর পড়ুন:
রাহুল শর্মা, ঢাকা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগে তিন ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। এগুলো হলো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
পিএসসির সূত্র বলেছে, বিসিএসের সিলেবাস বদলের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নবম বিশেষ সভায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটি গঠন করা হয় এবং পিএসসির একজন সদস্যকে এর আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছে। তবে পিএসসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও কিছু সদস্য বাদ পড়ার কারণে ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ১২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে যে সিলেবাসে বিসিএস পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা) হচ্ছে, তা যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনায় গঠিত ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে কমিটির আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া প্রতিবেদনে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিষয়গুলো হলো ১০০ নম্বরের বাংলা রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা ও সারাংশ লেখা; ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক ও সমসাময়িক বিষয়াবলি এবং ১০০ নম্বরের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল। আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর) বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
পিএসসি থেকে জানা যায়, ৩৫তম বিসিএস থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর হয়েছে। এই বিসিএস থেকে মোট ১০টি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল-পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন। এর আগে চারটি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হতো। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সাধারণ ক্যাডারের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। উভয় ক্যাডার হলে ২০০ নম্বরের পেশাগত বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
সিলেবাস রিভিউ কমিটির বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এই কমিটিতে শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন। কমিটির কাজ শেষ হলে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পিএসসির ভাবনা বিনিময় করা হবে। এরপর সবার মতামত নিয়ে সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে। মূল কথা হলো, পিএসসি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। আগামী ছয় মাস এ বিষয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কাজটি তাঁরা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে চান।
অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিমার্জন-পরিবর্তন করেই তা চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শুধু সিলেবাস নয়, যত পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে, তা চাকরিপ্রার্থীদের আগে থেকেই জানানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তাঁরা সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে পারেন। তিনি বলেন, কিছু কমিউনিকেশন ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন বলা যায়, যদি লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখায় কোনো পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটা (উত্তর) কীভাবে লিখতে হবে সে অনুযায়ী গাইডলাইনভিত্তিক ভিডিও তৈরি করা হবে।
একবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একাধিকবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিএসসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসসি আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। পিএসসি বলছে, এসব বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমও বলেছেন, পিএসসিতে তাঁরা যেসব গুণগত পরিবর্তন আনতে চাইছেন সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। যেমন–সার্কুলার সিস্টেমে খাতা দেখা। অর্থাৎ একটি খাতার একেকটি প্রশ্নের উত্তর একেকজন পরীক্ষক পিএসসিতে বসে দেখবেন। এটি করতে হলে খাতা দেখার সম্মানী বাড়াতে হবে। এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের নিয়োগ শেষ করা সম্ভব।
সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে পিএসসিকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সব পরিকল্পনাই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগে তিন ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। এগুলো হলো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
পিএসসির সূত্র বলেছে, বিসিএসের সিলেবাস বদলের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নবম বিশেষ সভায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিটি গঠন করা হয় এবং পিএসসির একজন সদস্যকে এর আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছে। তবে পিএসসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও কিছু সদস্য বাদ পড়ার কারণে ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ১২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে যে সিলেবাসে বিসিএস পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা) হচ্ছে, তা যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমান সিলেবাস পর্যালোচনায় গঠিত ‘সিলেবাস রিভিউ কমিটি’ কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে কমিটির আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া প্রতিবেদনে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিষয়গুলো হলো ১০০ নম্বরের বাংলা রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা; ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা ও সারাংশ লেখা; ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক ও সমসাময়িক বিষয়াবলি এবং ১০০ নম্বরের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল। আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর) বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
পিএসসি থেকে জানা যায়, ৩৫তম বিসিএস থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর হয়েছে। এই বিসিএস থেকে মোট ১০টি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল-পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন। এর আগে চারটি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান) ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হতো। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সাধারণ ক্যাডারের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। উভয় ক্যাডার হলে ২০০ নম্বরের পেশাগত বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
সিলেবাস রিভিউ কমিটির বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এই কমিটিতে শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন। কমিটির কাজ শেষ হলে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পিএসসির ভাবনা বিনিময় করা হবে। এরপর সবার মতামত নিয়ে সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে। মূল কথা হলো, পিএসসি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। আগামী ছয় মাস এ বিষয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কাজটি তাঁরা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে চান।
অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিমার্জন-পরিবর্তন করেই তা চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শুধু সিলেবাস নয়, যত পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে, তা চাকরিপ্রার্থীদের আগে থেকেই জানানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তাঁরা সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে পারেন। তিনি বলেন, কিছু কমিউনিকেশন ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন বলা যায়, যদি লিখিত পরীক্ষার উত্তর লেখায় কোনো পরিবর্তন আনা হয় তাহলে সেটা (উত্তর) কীভাবে লিখতে হবে সে অনুযায়ী গাইডলাইনভিত্তিক ভিডিও তৈরি করা হবে।
একবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একাধিকবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিএসসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এর বিভিন্ন দিক রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসসি আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। পিএসসি বলছে, এসব বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমও বলেছেন, পিএসসিতে তাঁরা যেসব গুণগত পরিবর্তন আনতে চাইছেন সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। যেমন–সার্কুলার সিস্টেমে খাতা দেখা। অর্থাৎ একটি খাতার একেকটি প্রশ্নের উত্তর একেকজন পরীক্ষক পিএসসিতে বসে দেখবেন। এটি করতে হলে খাতা দেখার সম্মানী বাড়াতে হবে। এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের নিয়োগ শেষ করা সম্ভব।
সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে পিএসসিকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সব পরিকল্পনাই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২৩ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে