মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

প্রত্যকের জীবনেই থাকে হাজারটা স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে মানুষ। এই স্বপ্ন একেকজনের কাছে ধরা দেয় একেকভাবে, একেক সময়ে। ক্ষেত্র বিশেষে স্বপ্ন মানুষকে নিয়ে যায় অনেক দূর।
কর্মী মানুষের কাছে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। অনেকেই এই স্বাধীন কাজের সন্ধানে থাকেন; কিন্তু গুটিকয় তার দেখা পান। এই ভাগ্যবানদের একটা বড় অংশই উদ্যোক্তা।
বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। উদ্যোক্তা নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। ব্যবসার জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে পণ্য সংগ্রহ করছেন। সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নিজেরাই। কিন্তু এ পথ সহজ নয়। অনেক বাধা টপকে তাদের সামনে আসতে হয়, যার প্রতিটি বাঁকে আছে গল্প। এমনই একজন উদ্যোক্তা মিদ্দুলা মেঘ। মিদ্দুলার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে নিজে কিছু করার। মানে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার। কিন্তু এই সমাজে নারীদের নিজে নিজে কিছু করা তো আর খুব একটা সহজ বিষয় নয়। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পার হয়ে কিছু করতে হয়। তাই মিদ্দুলাকেও অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক দিন।
মিদ্দুলার কাছে তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন স্কুলে ভর্তি হলো, তখন প্রতিদিন তাকে নিয়ে আমি স্কুলে যেতাম। আর অন্য অভিভাবকদের মতো স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সেখানেই অপেক্ষা করতে হতো। এই অপেক্ষার সময়গুলোতে আমি অন্যদের মতো খোশগল্পে মশগুল না হয়ে স্কুলের আশপাশের মার্কেটের দোকানগুলোতে কীভাবে জিনিসপত্র কেনা-বেচা হয়, তা দেখতাম। দেখতে দেখতেই মাথার ভেতর চেপে বসল ব্যবসার ভূত। সেখানেই শুরু উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা।’
অন্য দশজন মানুষের মতো মিদ্দুলা কখনো ভাবেননি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করবেন। কাজের নেশায় চাকরির পরীক্ষার জন্য সময় দেননি তিনি। কারণ অন্যের অধীনে নয়টা-পাঁচটা চাকরি করা ছিল মিদ্দুলার জন্য কঠিন। নিজে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে একপর্যায়ে মন স্থির করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।
অনেক পরিকল্পনার পর মিদ্দুলা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোনাই বুটিক’-এর যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে একটি দোকান দেন। গ্রহণ করেন নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শো-রুমের শুরু। তারপর অনলাইনে ব্যবসা এবং ধীরে ধীরে নিজের প্রোডাকশনের কাজ শুরু। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ‘সোনাই বুটিক’-এর কাজ মিদ্দুলা একা শুরু করলেও বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিদ্দুলা মেঘের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিরও নাম ‘সোনাই বুটিক’। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন নিজের একমাত্র মেয়ের নামে। সোনাই শব্দের আভিধানিক অর্থ স্নেহের যোগ্য। তা এই দু বছরের পথ চলায় ‘সোনাই বুটিক’ মানুষের কাছ থেকে আদর পেয়েছে বলতে হবে। না হলে এত দ্রুত এতটা এগোতে পারত না তা।
মিদ্দুলার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে তাঁর মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল আমার মা। মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি নিজের এবং আমাদের বোনেদের কাপড়গুলো সেলাই করতেন। নিজের পোশাক সেলাই করতে গিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ছোট একটি ব্যবসা। সেই ব্যবসাতে সেলাইকর্মী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন আরও দুই নারী। মা বাড়িতে বসেই অন্য কাজের পাশাপাশি নিজের এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন। এ ছাড়া আমার পরিবার ও বন্ধুরা সব সময় আমার পাশে ছিল।’
‘সোনাই বুটিক’-এ নারীদের পোশাক তৈরি এবং বিপণন করা হয়। এখানে মূলত বুটিক এবং বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, টু-পিছ এবং ওয়ান পিছ তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। সাধারণত দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করেন তাঁরা। শতভাগ সুতির পোশাকের পাশাপাশি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানিও বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এই যে বেড়ে ওঠা এর জন্য কিন্তু কম বাধা পোহাতে হয়নি মিদ্দুলাকে। নারী উদ্যোক্তাদের পুরো জীবনই চ্যালেঞ্জিং। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতি পদে একজন নারীকে সমাজের বাধার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা আরও বেশি।
ব্যবসার ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মিদ্দুলা বলেন, ‘অনলাইনে প্রতিদিন বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। মনের ভেতর দুঃখ আসে, ক্ষোভ আসে, আবার নিজেকে সামলে নিই। ভাবি, পাছে লোকের কথায় নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে নেই। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়। আমাকেও লড়াই করতে হবে। এই পথে বাধা আসবে, বিপত্তি থাকবে। তাতে পিছপা হলে সে দায় আর কেউ নিবে না। প্রতিটি নারীরই কিছু না কিছু করা উচিত। যারা চাকরি করছেন না, তাঁরা তাঁদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরে বসেই কিছু না কিছু করতে পারেন। বাধা-বিপত্তি থাকবেই। প্রতিটি বাধাকে টপকে যেতে হবে। নিজেকে চিনুন, নিজেকে আবিষ্কার করুন প্রতিনিয়ত। পরিকল্পনা করুন, উদ্যোগ নিন। সফলতা আসবে আশা করি।’
‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। মিদ্দুলা মেঘ শুরুতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’ থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
মিদ্দুলা চান অনেক দূর এগিয়ে যেতে। বললেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতি যেভাবে আমাদের গ্রাস করছে, তার বিপরীতে সোনাই বুটিক বাঙালি সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে যদি সামান্য অবদানও রাখতে পারে, তাহলেই আমি মনে করব এই উদ্যোগ সফল। সোনাই বুটিক নিয়ে আমি অনেক দূর যেতে চাই। দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আমি দেশটাকে পরিচিত করে তুলতে চাই। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে, বিশেষত গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে সোনাই বুটিককে নিয়ে যেতে চাই।’
নারী উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

প্রত্যকের জীবনেই থাকে হাজারটা স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে মানুষ। এই স্বপ্ন একেকজনের কাছে ধরা দেয় একেকভাবে, একেক সময়ে। ক্ষেত্র বিশেষে স্বপ্ন মানুষকে নিয়ে যায় অনেক দূর।
কর্মী মানুষের কাছে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। অনেকেই এই স্বাধীন কাজের সন্ধানে থাকেন; কিন্তু গুটিকয় তার দেখা পান। এই ভাগ্যবানদের একটা বড় অংশই উদ্যোক্তা।
বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। উদ্যোক্তা নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। ব্যবসার জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে পণ্য সংগ্রহ করছেন। সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নিজেরাই। কিন্তু এ পথ সহজ নয়। অনেক বাধা টপকে তাদের সামনে আসতে হয়, যার প্রতিটি বাঁকে আছে গল্প। এমনই একজন উদ্যোক্তা মিদ্দুলা মেঘ। মিদ্দুলার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে নিজে কিছু করার। মানে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার। কিন্তু এই সমাজে নারীদের নিজে নিজে কিছু করা তো আর খুব একটা সহজ বিষয় নয়। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পার হয়ে কিছু করতে হয়। তাই মিদ্দুলাকেও অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক দিন।
মিদ্দুলার কাছে তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন স্কুলে ভর্তি হলো, তখন প্রতিদিন তাকে নিয়ে আমি স্কুলে যেতাম। আর অন্য অভিভাবকদের মতো স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সেখানেই অপেক্ষা করতে হতো। এই অপেক্ষার সময়গুলোতে আমি অন্যদের মতো খোশগল্পে মশগুল না হয়ে স্কুলের আশপাশের মার্কেটের দোকানগুলোতে কীভাবে জিনিসপত্র কেনা-বেচা হয়, তা দেখতাম। দেখতে দেখতেই মাথার ভেতর চেপে বসল ব্যবসার ভূত। সেখানেই শুরু উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা।’
অন্য দশজন মানুষের মতো মিদ্দুলা কখনো ভাবেননি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করবেন। কাজের নেশায় চাকরির পরীক্ষার জন্য সময় দেননি তিনি। কারণ অন্যের অধীনে নয়টা-পাঁচটা চাকরি করা ছিল মিদ্দুলার জন্য কঠিন। নিজে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে একপর্যায়ে মন স্থির করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।
অনেক পরিকল্পনার পর মিদ্দুলা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোনাই বুটিক’-এর যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে একটি দোকান দেন। গ্রহণ করেন নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শো-রুমের শুরু। তারপর অনলাইনে ব্যবসা এবং ধীরে ধীরে নিজের প্রোডাকশনের কাজ শুরু। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ‘সোনাই বুটিক’-এর কাজ মিদ্দুলা একা শুরু করলেও বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিদ্দুলা মেঘের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিরও নাম ‘সোনাই বুটিক’। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন নিজের একমাত্র মেয়ের নামে। সোনাই শব্দের আভিধানিক অর্থ স্নেহের যোগ্য। তা এই দু বছরের পথ চলায় ‘সোনাই বুটিক’ মানুষের কাছ থেকে আদর পেয়েছে বলতে হবে। না হলে এত দ্রুত এতটা এগোতে পারত না তা।
মিদ্দুলার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে তাঁর মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল আমার মা। মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি নিজের এবং আমাদের বোনেদের কাপড়গুলো সেলাই করতেন। নিজের পোশাক সেলাই করতে গিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ছোট একটি ব্যবসা। সেই ব্যবসাতে সেলাইকর্মী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন আরও দুই নারী। মা বাড়িতে বসেই অন্য কাজের পাশাপাশি নিজের এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন। এ ছাড়া আমার পরিবার ও বন্ধুরা সব সময় আমার পাশে ছিল।’
‘সোনাই বুটিক’-এ নারীদের পোশাক তৈরি এবং বিপণন করা হয়। এখানে মূলত বুটিক এবং বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, টু-পিছ এবং ওয়ান পিছ তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। সাধারণত দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করেন তাঁরা। শতভাগ সুতির পোশাকের পাশাপাশি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানিও বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এই যে বেড়ে ওঠা এর জন্য কিন্তু কম বাধা পোহাতে হয়নি মিদ্দুলাকে। নারী উদ্যোক্তাদের পুরো জীবনই চ্যালেঞ্জিং। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতি পদে একজন নারীকে সমাজের বাধার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা আরও বেশি।
ব্যবসার ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মিদ্দুলা বলেন, ‘অনলাইনে প্রতিদিন বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। মনের ভেতর দুঃখ আসে, ক্ষোভ আসে, আবার নিজেকে সামলে নিই। ভাবি, পাছে লোকের কথায় নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে নেই। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়। আমাকেও লড়াই করতে হবে। এই পথে বাধা আসবে, বিপত্তি থাকবে। তাতে পিছপা হলে সে দায় আর কেউ নিবে না। প্রতিটি নারীরই কিছু না কিছু করা উচিত। যারা চাকরি করছেন না, তাঁরা তাঁদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরে বসেই কিছু না কিছু করতে পারেন। বাধা-বিপত্তি থাকবেই। প্রতিটি বাধাকে টপকে যেতে হবে। নিজেকে চিনুন, নিজেকে আবিষ্কার করুন প্রতিনিয়ত। পরিকল্পনা করুন, উদ্যোগ নিন। সফলতা আসবে আশা করি।’
‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। মিদ্দুলা মেঘ শুরুতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’ থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
মিদ্দুলা চান অনেক দূর এগিয়ে যেতে। বললেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতি যেভাবে আমাদের গ্রাস করছে, তার বিপরীতে সোনাই বুটিক বাঙালি সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে যদি সামান্য অবদানও রাখতে পারে, তাহলেই আমি মনে করব এই উদ্যোগ সফল। সোনাই বুটিক নিয়ে আমি অনেক দূর যেতে চাই। দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আমি দেশটাকে পরিচিত করে তুলতে চাই। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে, বিশেষত গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে সোনাই বুটিককে নিয়ে যেতে চাই।’
নারী উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

প্রত্যকের জীবনেই থাকে হাজারটা স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে মানুষ। এই স্বপ্ন একেকজনের কাছে ধরা দেয় একেকভাবে, একেক সময়ে। ক্ষেত্র বিশেষে স্বপ্ন মানুষকে নিয়ে যায় অনেক দূর।
কর্মী মানুষের কাছে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। অনেকেই এই স্বাধীন কাজের সন্ধানে থাকেন; কিন্তু গুটিকয় তার দেখা পান। এই ভাগ্যবানদের একটা বড় অংশই উদ্যোক্তা।
বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। উদ্যোক্তা নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। ব্যবসার জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে পণ্য সংগ্রহ করছেন। সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নিজেরাই। কিন্তু এ পথ সহজ নয়। অনেক বাধা টপকে তাদের সামনে আসতে হয়, যার প্রতিটি বাঁকে আছে গল্প। এমনই একজন উদ্যোক্তা মিদ্দুলা মেঘ। মিদ্দুলার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে নিজে কিছু করার। মানে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার। কিন্তু এই সমাজে নারীদের নিজে নিজে কিছু করা তো আর খুব একটা সহজ বিষয় নয়। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পার হয়ে কিছু করতে হয়। তাই মিদ্দুলাকেও অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক দিন।
মিদ্দুলার কাছে তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন স্কুলে ভর্তি হলো, তখন প্রতিদিন তাকে নিয়ে আমি স্কুলে যেতাম। আর অন্য অভিভাবকদের মতো স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সেখানেই অপেক্ষা করতে হতো। এই অপেক্ষার সময়গুলোতে আমি অন্যদের মতো খোশগল্পে মশগুল না হয়ে স্কুলের আশপাশের মার্কেটের দোকানগুলোতে কীভাবে জিনিসপত্র কেনা-বেচা হয়, তা দেখতাম। দেখতে দেখতেই মাথার ভেতর চেপে বসল ব্যবসার ভূত। সেখানেই শুরু উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা।’
অন্য দশজন মানুষের মতো মিদ্দুলা কখনো ভাবেননি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করবেন। কাজের নেশায় চাকরির পরীক্ষার জন্য সময় দেননি তিনি। কারণ অন্যের অধীনে নয়টা-পাঁচটা চাকরি করা ছিল মিদ্দুলার জন্য কঠিন। নিজে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে একপর্যায়ে মন স্থির করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।
অনেক পরিকল্পনার পর মিদ্দুলা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোনাই বুটিক’-এর যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে একটি দোকান দেন। গ্রহণ করেন নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শো-রুমের শুরু। তারপর অনলাইনে ব্যবসা এবং ধীরে ধীরে নিজের প্রোডাকশনের কাজ শুরু। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ‘সোনাই বুটিক’-এর কাজ মিদ্দুলা একা শুরু করলেও বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিদ্দুলা মেঘের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিরও নাম ‘সোনাই বুটিক’। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন নিজের একমাত্র মেয়ের নামে। সোনাই শব্দের আভিধানিক অর্থ স্নেহের যোগ্য। তা এই দু বছরের পথ চলায় ‘সোনাই বুটিক’ মানুষের কাছ থেকে আদর পেয়েছে বলতে হবে। না হলে এত দ্রুত এতটা এগোতে পারত না তা।
মিদ্দুলার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে তাঁর মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল আমার মা। মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি নিজের এবং আমাদের বোনেদের কাপড়গুলো সেলাই করতেন। নিজের পোশাক সেলাই করতে গিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ছোট একটি ব্যবসা। সেই ব্যবসাতে সেলাইকর্মী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন আরও দুই নারী। মা বাড়িতে বসেই অন্য কাজের পাশাপাশি নিজের এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন। এ ছাড়া আমার পরিবার ও বন্ধুরা সব সময় আমার পাশে ছিল।’
‘সোনাই বুটিক’-এ নারীদের পোশাক তৈরি এবং বিপণন করা হয়। এখানে মূলত বুটিক এবং বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, টু-পিছ এবং ওয়ান পিছ তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। সাধারণত দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করেন তাঁরা। শতভাগ সুতির পোশাকের পাশাপাশি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানিও বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এই যে বেড়ে ওঠা এর জন্য কিন্তু কম বাধা পোহাতে হয়নি মিদ্দুলাকে। নারী উদ্যোক্তাদের পুরো জীবনই চ্যালেঞ্জিং। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতি পদে একজন নারীকে সমাজের বাধার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা আরও বেশি।
ব্যবসার ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মিদ্দুলা বলেন, ‘অনলাইনে প্রতিদিন বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। মনের ভেতর দুঃখ আসে, ক্ষোভ আসে, আবার নিজেকে সামলে নিই। ভাবি, পাছে লোকের কথায় নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে নেই। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়। আমাকেও লড়াই করতে হবে। এই পথে বাধা আসবে, বিপত্তি থাকবে। তাতে পিছপা হলে সে দায় আর কেউ নিবে না। প্রতিটি নারীরই কিছু না কিছু করা উচিত। যারা চাকরি করছেন না, তাঁরা তাঁদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরে বসেই কিছু না কিছু করতে পারেন। বাধা-বিপত্তি থাকবেই। প্রতিটি বাধাকে টপকে যেতে হবে। নিজেকে চিনুন, নিজেকে আবিষ্কার করুন প্রতিনিয়ত। পরিকল্পনা করুন, উদ্যোগ নিন। সফলতা আসবে আশা করি।’
‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। মিদ্দুলা মেঘ শুরুতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’ থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
মিদ্দুলা চান অনেক দূর এগিয়ে যেতে। বললেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতি যেভাবে আমাদের গ্রাস করছে, তার বিপরীতে সোনাই বুটিক বাঙালি সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে যদি সামান্য অবদানও রাখতে পারে, তাহলেই আমি মনে করব এই উদ্যোগ সফল। সোনাই বুটিক নিয়ে আমি অনেক দূর যেতে চাই। দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আমি দেশটাকে পরিচিত করে তুলতে চাই। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে, বিশেষত গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে সোনাই বুটিককে নিয়ে যেতে চাই।’
নারী উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

প্রত্যকের জীবনেই থাকে হাজারটা স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে মানুষ। এই স্বপ্ন একেকজনের কাছে ধরা দেয় একেকভাবে, একেক সময়ে। ক্ষেত্র বিশেষে স্বপ্ন মানুষকে নিয়ে যায় অনেক দূর।
কর্মী মানুষের কাছে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। অনেকেই এই স্বাধীন কাজের সন্ধানে থাকেন; কিন্তু গুটিকয় তার দেখা পান। এই ভাগ্যবানদের একটা বড় অংশই উদ্যোক্তা।
বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। উদ্যোক্তা নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। ব্যবসার জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে পণ্য সংগ্রহ করছেন। সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নিজেরাই। কিন্তু এ পথ সহজ নয়। অনেক বাধা টপকে তাদের সামনে আসতে হয়, যার প্রতিটি বাঁকে আছে গল্প। এমনই একজন উদ্যোক্তা মিদ্দুলা মেঘ। মিদ্দুলার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে নিজে কিছু করার। মানে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে কিছু একটা করার। কিন্তু এই সমাজে নারীদের নিজে নিজে কিছু করা তো আর খুব একটা সহজ বিষয় নয়। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পার হয়ে কিছু করতে হয়। তাই মিদ্দুলাকেও অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক দিন।
মিদ্দুলার কাছে তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন স্কুলে ভর্তি হলো, তখন প্রতিদিন তাকে নিয়ে আমি স্কুলে যেতাম। আর অন্য অভিভাবকদের মতো স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সেখানেই অপেক্ষা করতে হতো। এই অপেক্ষার সময়গুলোতে আমি অন্যদের মতো খোশগল্পে মশগুল না হয়ে স্কুলের আশপাশের মার্কেটের দোকানগুলোতে কীভাবে জিনিসপত্র কেনা-বেচা হয়, তা দেখতাম। দেখতে দেখতেই মাথার ভেতর চেপে বসল ব্যবসার ভূত। সেখানেই শুরু উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা।’
অন্য দশজন মানুষের মতো মিদ্দুলা কখনো ভাবেননি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করবেন। কাজের নেশায় চাকরির পরীক্ষার জন্য সময় দেননি তিনি। কারণ অন্যের অধীনে নয়টা-পাঁচটা চাকরি করা ছিল মিদ্দুলার জন্য কঠিন। নিজে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে একপর্যায়ে মন স্থির করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।
অনেক পরিকল্পনার পর মিদ্দুলা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোনাই বুটিক’-এর যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে একটি দোকান দেন। গ্রহণ করেন নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শো-রুমের শুরু। তারপর অনলাইনে ব্যবসা এবং ধীরে ধীরে নিজের প্রোডাকশনের কাজ শুরু। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ‘সোনাই বুটিক’-এর কাজ মিদ্দুলা একা শুরু করলেও বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিদ্দুলা মেঘের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিরও নাম ‘সোনাই বুটিক’। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন নিজের একমাত্র মেয়ের নামে। সোনাই শব্দের আভিধানিক অর্থ স্নেহের যোগ্য। তা এই দু বছরের পথ চলায় ‘সোনাই বুটিক’ মানুষের কাছ থেকে আদর পেয়েছে বলতে হবে। না হলে এত দ্রুত এতটা এগোতে পারত না তা।
মিদ্দুলার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে তাঁর মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল আমার মা। মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি নিজের এবং আমাদের বোনেদের কাপড়গুলো সেলাই করতেন। নিজের পোশাক সেলাই করতে গিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ছোট একটি ব্যবসা। সেই ব্যবসাতে সেলাইকর্মী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন আরও দুই নারী। মা বাড়িতে বসেই অন্য কাজের পাশাপাশি নিজের এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন। এ ছাড়া আমার পরিবার ও বন্ধুরা সব সময় আমার পাশে ছিল।’
‘সোনাই বুটিক’-এ নারীদের পোশাক তৈরি এবং বিপণন করা হয়। এখানে মূলত বুটিক এবং বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, টু-পিছ এবং ওয়ান পিছ তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। সাধারণত দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করেন তাঁরা। শতভাগ সুতির পোশাকের পাশাপাশি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানিও বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এই যে বেড়ে ওঠা এর জন্য কিন্তু কম বাধা পোহাতে হয়নি মিদ্দুলাকে। নারী উদ্যোক্তাদের পুরো জীবনই চ্যালেঞ্জিং। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতি পদে একজন নারীকে সমাজের বাধার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা আরও বেশি।
ব্যবসার ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে মিদ্দুলা বলেন, ‘অনলাইনে প্রতিদিন বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। মনের ভেতর দুঃখ আসে, ক্ষোভ আসে, আবার নিজেকে সামলে নিই। ভাবি, পাছে লোকের কথায় নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে নেই। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়। আমাকেও লড়াই করতে হবে। এই পথে বাধা আসবে, বিপত্তি থাকবে। তাতে পিছপা হলে সে দায় আর কেউ নিবে না। প্রতিটি নারীরই কিছু না কিছু করা উচিত। যারা চাকরি করছেন না, তাঁরা তাঁদের সক্ষমতা অনুযায়ী ঘরে বসেই কিছু না কিছু করতে পারেন। বাধা-বিপত্তি থাকবেই। প্রতিটি বাধাকে টপকে যেতে হবে। নিজেকে চিনুন, নিজেকে আবিষ্কার করুন প্রতিনিয়ত। পরিকল্পনা করুন, উদ্যোগ নিন। সফলতা আসবে আশা করি।’
‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। মিদ্দুলা মেঘ শুরুতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’ থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
মিদ্দুলা চান অনেক দূর এগিয়ে যেতে। বললেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতি যেভাবে আমাদের গ্রাস করছে, তার বিপরীতে সোনাই বুটিক বাঙালি সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে যদি সামান্য অবদানও রাখতে পারে, তাহলেই আমি মনে করব এই উদ্যোগ সফল। সোনাই বুটিক নিয়ে আমি অনেক দূর যেতে চাই। দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আমি দেশটাকে পরিচিত করে তুলতে চাই। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে, বিশেষত গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে সোনাই বুটিককে নিয়ে যেতে চাই।’
নারী উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১২ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

একমাত্র মেয়ের নামে নিজের ব্যবসা উদ্যোগের নাম রাখেন ‘সোনাই বুটিক’। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১২ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

একমাত্র মেয়ের নামে নিজের ব্যবসা উদ্যোগের নাম রাখেন ‘সোনাই বুটিক’। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১২ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

একমাত্র মেয়ের নামে নিজের ব্যবসা উদ্যোগের নাম রাখেন ‘সোনাই বুটিক’। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

একমাত্র মেয়ের নামে নিজের ব্যবসা উদ্যোগের নাম রাখেন ‘সোনাই বুটিক’। বর্তমানে ‘সোনাই বুটিক’-এর পণ্য উৎপাদনের কারখানায় বর্তমানে ২৫ জন শ্রমিক যুক্ত। আর বিপণন ও বিক্রির কাজে আরও প্রায় ১০ জন যুক্ত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১২ ঘণ্টা আগে