নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলোচনা থেকে এ সুযোগের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল ফাইন্যান্স, খাদ্য ও পানীয় শিল্প, আবাসন ও নির্মাণ এবং জ্বালানি—এই পাঁচ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সামিট উপলক্ষে সফররত সৌদি বিনিয়োগকারীরা।
তিন দিনব্যাপী ‘সৌদি-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব বিষয় তুলে ধরে সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই) নেতারা।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সামিটের সমাপ্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রো৪০০ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে খাদ্য ও আবাসন খাতে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়।
আয়োজিত সামিটপরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে এসএবিসিসিআই সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু তৈরি পোশাক নয়; সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিংয়েও বিশ্বে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছে। এ সম্ভাবনার অংশীদার হতে চান সৌদি উদ্যোক্তারা।
এসএবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে শিগগির সৌদি আরবে ‘‘শো কেস বাংলাদেশ’’ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো সৌদি বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনসহ বিভিন্ন বৃহৎ কর্মসূচি সৌদি আরবকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে। এতে দেশটিতে জনসংখ্যার চাহিদাও বাড়ছে এবং নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এ ছাড়া বাংলাদেশে কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সামিটে এসব বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় কিছু সমস্যা উঠে এসেছে। এর মধ্যে আমাদের তরুণ জনশক্তি এখনো সৌদি আরবের মানে নেই। তাদের কীভাবে সৌদির মানে উন্নীত করা যায়, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার। সরকারি-বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের রেমিট্যান্স দ্বিগুণ করা যাবে।
‘দ্বিতীয়ত, আমরা আলোচনা করে দেখেছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে সৌদিতে আমাদের রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। তবে এর জন্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত দরকার। তৃতীয়ত, সৌদি আরব তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তাই তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এখনো আমরা তাদের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যদি আমরা তাদের আস্থা অর্জন করতে পারি, তবে তাদের বিনিয়োগ আমরা পাব। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত সৌদি বিনিয়োগবান্ধব নীতি তৈরি ও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বার এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’
বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেছে সৌদি আরবের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলও।
সামিটে অংশ নেওয়া সৌদি কোম্পানি হ্যালিওপার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল স্যাসেন বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে অনেক এগিয়ে। কিন্তু সফটওয়্যার ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতেও আপনারা এখন বিশ্বমানের কাজ করছেন। বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী আছে, যারা কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী। এ কারণেই দেশের অর্থনীতির সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’
সৌদি আরবের আল কাইবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালিদ আল হারবি বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের অজস্র সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। যৌথ বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই কর্মশক্তিকে আরও দক্ষ করে তুললে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
এ সময় সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য, পানীয় ও কৃষিপণ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হালাল ও কৃষিপণ্য আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ বিজনেস সামিট শুরু হয় ৬ অক্টোবর। এই উপলক্ষে ২০ সদস্যের একটি সৌদি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। দুই দেশের শীর্ষ নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও পলিসিমেকাররা অংশ নেন। আয়োজনে ছিল একাধিক থিম্যাটিক সেশন, যেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স ও প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে এসএবিসিসিআই সংগঠনের সহসভাপতি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ, পরিচালক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলোচনা থেকে এ সুযোগের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল ফাইন্যান্স, খাদ্য ও পানীয় শিল্প, আবাসন ও নির্মাণ এবং জ্বালানি—এই পাঁচ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সামিট উপলক্ষে সফররত সৌদি বিনিয়োগকারীরা।
তিন দিনব্যাপী ‘সৌদি-বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব বিষয় তুলে ধরে সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই) নেতারা।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সামিটের সমাপ্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রো৪০০ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে খাদ্য ও আবাসন খাতে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়।
আয়োজিত সামিটপরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে এসএবিসিসিআই সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু তৈরি পোশাক নয়; সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিংয়েও বিশ্বে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছে। এ সম্ভাবনার অংশীদার হতে চান সৌদি উদ্যোক্তারা।
এসএবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে শিগগির সৌদি আরবে ‘‘শো কেস বাংলাদেশ’’ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো সৌদি বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনসহ বিভিন্ন বৃহৎ কর্মসূচি সৌদি আরবকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে। এতে দেশটিতে জনসংখ্যার চাহিদাও বাড়ছে এবং নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এ ছাড়া বাংলাদেশে কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সামিটে এসব বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় কিছু সমস্যা উঠে এসেছে। এর মধ্যে আমাদের তরুণ জনশক্তি এখনো সৌদি আরবের মানে নেই। তাদের কীভাবে সৌদির মানে উন্নীত করা যায়, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার। সরকারি-বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের রেমিট্যান্স দ্বিগুণ করা যাবে।
‘দ্বিতীয়ত, আমরা আলোচনা করে দেখেছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে সৌদিতে আমাদের রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। তবে এর জন্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত দরকার। তৃতীয়ত, সৌদি আরব তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। তাই তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এখনো আমরা তাদের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যদি আমরা তাদের আস্থা অর্জন করতে পারি, তবে তাদের বিনিয়োগ আমরা পাব। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত সৌদি বিনিয়োগবান্ধব নীতি তৈরি ও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বার এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’
বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেছে সৌদি আরবের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলও।
সামিটে অংশ নেওয়া সৌদি কোম্পানি হ্যালিওপার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল স্যাসেন বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে অনেক এগিয়ে। কিন্তু সফটওয়্যার ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতেও আপনারা এখন বিশ্বমানের কাজ করছেন। বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী আছে, যারা কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী। এ কারণেই দেশের অর্থনীতির সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’
সৌদি আরবের আল কাইবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালিদ আল হারবি বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের অজস্র সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। যৌথ বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই কর্মশক্তিকে আরও দক্ষ করে তুললে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
এ সময় সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য, পানীয় ও কৃষিপণ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হালাল ও কৃষিপণ্য আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ বিজনেস সামিট শুরু হয় ৬ অক্টোবর। এই উপলক্ষে ২০ সদস্যের একটি সৌদি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। দুই দেশের শীর্ষ নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও পলিসিমেকাররা অংশ নেন। আয়োজনে ছিল একাধিক থিম্যাটিক সেশন, যেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স ও প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে এসএবিসিসিআই সংগঠনের সহসভাপতি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ, পরিচালক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের...
০৮ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের...
০৮ অক্টোবর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের...
০৮ অক্টোবর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

বর্তমানে সৌদি আরব-বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩০ কোটি ডলার। তবে দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারলে ও সৌদি আরবে নিজেদের আস্থা বাড়াতে পারলে এই রপ্তানি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ও সৌদি প্রতিনিধিদলের...
০৮ অক্টোবর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৯ ঘণ্টা আগে