নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকেলে নগরের মির্জা জাঙ্গালে অবস্থিত হোটেল নির্ভানা ইন-এ সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারাই বলছেন মানি লন্ডারিং যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি প্রশ্ন আসে প্রতিবছর, প্রতিবার, মাঝে মাঝে, প্রায়ই আমার কোনোভাবে যদি আমার ব্ল্যাক মানি হয়ে যায়, সেটাকে হালাল করতে দিতে হবে, হোয়াইট করতে দিতে হবে। তাহলে অনবরত ব্ল্যাক মানি হতেই থাকবে। সে জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করতে পারি না।’
পাচারের অর্থ ও কালো টাকা কর ছাড়া সাদা হবে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে আপনার জন্য সেই ব্যবস্থা আছে, সেই রাস্তা খোলা আছে। আপনি লব্ধ পরিশোধিত এই টাকাটা আপনি যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। তাহলে তো কেউ আর ট্যাক্স দিবে না, সবাই বসে থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে, করদাতাদের সরাসরি কিছু বেনিফিট বা সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, যাতে করদাতারা কর দিতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আগ্রহী হয়। যাতে একজন কর দেয় আর আরেকজন না দেয়, সেই জিনিসটা থাকবে না আমার দেশে। যখনই আমার একটা নাগরিক নম্বর থাকবে, তার অ্যাগেইনস্টে আমার একটা ট্যাক্স দেওয়ার সব থাকবে। যদি সেটাই একটা কনসেন্ট হয় যে, প্রত্যেকটা নাগরিক কর দিবে। কিছু না কিছু কর দিবে। কমবেশি কর দিবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
করের টাকা জনস্বার্থে ব্যয় হয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ আপামর জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করের টাকায় বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতাসহ প্রায় ২৯ রকমের ভাতা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর কাছে হাত পেতে এখন আমাদের চলতে হয় না।’
করদাতাদের সহায়তার আত্মতৃপ্তি নিয়ে কর প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়মিত করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গত ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেখানে ২১ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪০ লক্ষে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘আমরা আগামী বাজেটে বিলাসী পণ্য ও তামাকজাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ওষুধের কাঁচামাল ও কৃষিখাতে ব্যবহার্য সার, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করেছি।’
বোল্ডার স্টোনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমানো প্রসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিপ স্টোন ও বোল্ডার স্টোনের এইচ. এস কোড আলাদা এবং চিপ স্টোন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু বোল্ডার স্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের ওপর বোঝা লাঘব করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ করের হার ৩০% থেকে ২৫% করা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর নীতি প্রণয়ন করা হবে।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ। সভায় জাতীয় বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য গ্রেড-১ (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, প্রথম সচিব জনাব মোহাম্মদ হাসমত আলী ও দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তাগণ পণ্য আমদানি না হলে পরিশোধিত অগ্রিম ট্যাক্স সহজে ফেরত প্রদান অথবা পরবর্তীতে তা সমন্বয়করণ, কয়লা, পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট রেট ক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ, কৃষি মেশিনারিজের খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার হ্রাস করা, তাজা শাক-সবজি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি, টার্নওভার ট্যাক্স ও উৎসে কর হ্রাসকরণ, মফস্বল এলাকার ব্যবসায়ীদের করের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যবসার স্থান স্থাপনার ক্ষেত্রে মূসকের হার কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, কর সাব কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবু তাহের মো. শোয়েব, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক রাজীব ভৌমিক, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কর আইনজীবী মো. মাজাহারুল হক, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শায়েস্তা তালুকদার, কর আইনজীবী আবদুল আলীম পাঠান, হাসনু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, এনবিআরের প্রথম সচিব ও প্রধান বাজেট সমন্বয়ক এস এম সোহেল রহমান, সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুসফিক), শান্ত দেব, মো. রিমাদ আহমদ রুবেল, মো. মাহদী সালেহীন, আরিফ হোসেন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রহমান, সদস্য আবদুল মালিক মারুফ, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর অঞ্চল-সিলেট এর উপ কর কমিশনার মো. সালেকুল ইসলাম ও সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবী।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অংশীজন সহযোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ‘আপনি মানি লন্ডারিং করবেন, ব্ল্যাক মানি করবেন আর বিনা ট্যাক্সে আপনাকে এলাউ করতে হবে, তাহলে তো সেটা হবে না। রাস্তা খোলা আছে
০৩ মার্চ ২০২৪
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে