Ajker Patrika

ছাত্রলীগকে বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ছাত্রলীগকে বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদেরকে বলার আমাদের সাহস নাই। ইজ্জত থাকবে না আমাদের। অনেক কথা সিলেট শহরে শুনি। সিলেট শহরে হাঁটতে পারি না।’ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালান-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগ। আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে দলের স্থানীয় নেতাদের। পরে হাইকমান্ডকে তাঁরা বিষয়টি অবগত করেন। অসহায় হয়ে চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপও চান তাঁরা। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝাড়লেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।

চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। তাঁদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই মতবিনিময় সভা হয়।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও তো ছাত্রলীগ করেছি। দীর্ঘ ৫৫ বছর রাজনীতিতে হয়েছে। ছাত্রলীগ করেই এখানে এসেছি। আমরা কোনো বদনামের মধ্য দিয়ে চলি নাই। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেভাবে বুঝিয়ে বলেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন তোমাদের হাতে সমজিয়ে দিতে চাই। তোমাদেরকে উপযুক্ত হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।’

সিলেট সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়। ছবি: সংগৃহীতসিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারি না। এইটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে আমি চেষ্টা করি, সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার জন্য। গ্রুপ গ্রুপ নেতা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি আমি। সবাই (কেন্দ্রীয় নেতারা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তোমরা কে কতটুকু বুঝতে পেরেছ জানি না। তবে রাতে বালিশে মাথা রেখে যদি চিন্তা করো বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী বক্তৃতা। আমাদের চলার পাথেয়।’ 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে কিন্তু খুব সোজা দিন নয়। অন্যরা আমাদের জন্য চুপ করে বসে আছে, কঠিন দিন দেখার জন্য। এই কঠিন দিনকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও কিন্তু আমাদের সঠিক পথে চললে ভালোভাবে চললে জনগণের আস্থা যদি আমরা অর্জন যদি না করতে পারি, তাহলে এই রাজনীতি আমরা কত দিন করতে পারব আমার মনে হয় না। যা-ই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। তোমাদের আমি শাসন করতে পারি আর করিও। সুতরাং আমার কথায় কেউ মন খারাপ করার কোনো কারণ নাই। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্যই বলছি।’

মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আজ প্রায় ১৬ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা একা দেশ চালাচ্ছেন। কোনো প্রশ্ন নাই। দেশে-বিদেশে উনি সম্মানিত। এসব দেখলে আমাদের মন বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নেত্রীকে এখানে আমাদের দেশে যদি আমরা ওনার কথামতো চলতে না পারি, উনি যে রূপরেখা দিয়ে থাকেন, সেটা যদি করতে না পারি, তাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং আমার অনুরোধ তোমাদের প্রতি, আজ থেকে আমরা অন্ততপক্ষে, ঠুকঠাক ভুলত্রুটি সবারই থাকতে পারে, আমারও আছে। আমরা সবাইকে নিয়ে বসব, চলার ব্যবস্থা করব।’ 

মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। 

সিলেট সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়। ছবি: সংগৃহীতগতকালের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ আজ মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন-জেনারেল সবকিছু নিয়ে বলেছি। এরা তো আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। তারারে আমরা ভুলত্রুটি সংশোধন করে না দিলে কে করে দিবে? আর এই সৎসাহস থাকারও দরকার আছে। তারারে সংশোধন না করে ব্যবহার করতাম আর বে সময় (খারাপ সময়) আইলে গাতে (গর্তে) পালাই দিতাম। এ রকম চিন্তাধারা আমার নাই। এরা সবাই ভালো মানুষের, ভালো পরিবারের সন্তান। এ জন্য বলেছি, তাদের বাবা-মায়ের তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত