Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধার হাত ভেঙে দেওয়ার পর বাড়ি লুট

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ২৩
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ শিকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ শিকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার হাত ভেঙে দেওয়ার পর এবার তাঁর বাড়ি ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানার চরভাগা মধ্য ঢালীকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরবাঘা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ শিকদারের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত হযরত আলী শিকদারের ছেলে জব্বার শিকদার, আকবর শিকদার ও খালেক শিকদারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রশিদ শিকদারের ছেলেরা বাড়িতে এলে গত রোববার বিকেলে তাঁদের ফসলি জমি মাপজোখ করতে যান। সেখানে জব্বার শিকদার তাঁদের বাধা দেন। এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ঈদের দিন সকালে জব্বার, আকবর শিকদার ও খালেক শিকদার লোকজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ শিকদারের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁর ছেলে চিকিৎসক আলমগীর হোসেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা রশিদ শিকদার ও তাঁর ছেলে আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শিকদার বাদী হয়ে জব্বার শিকদার, আকবর শিকদার, খালেক শিকদারসহ ১০ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শিকদার ও তাঁর ছেলে আলমগীর হোসেনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শিকদারের পরিবারের সদস্যরা তাঁর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকায় এবং তাঁর বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকার সুযোগে আজ সকালে আসামিরা ফাঁকা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে খবর পেয়ে সখীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শিকদার বলেন, ‘জব্বার শিকদার, আকবর শিকদার ও খালেক শিকদাররা দাবি করে, আমি নাকি তাদের জমি ভোগ দখল করি। এ জন্য তারা আমার জমির ফসল নষ্ট করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় বসা হয়। থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের জমিজমাসংক্রান্ত বিষয়টি ঈদের পরে সমাধান করা হবে। পাশাপাশি থানা থেকে পরামর্শ প্রদান করা হয়, আমরা যেন আমাদের জমিগুলো নিজেরা আলাদাভাবে মেপে রাখি। এ জন্য আমি লোকজন নিয়ে জমি মাপতে গেলে জব্বার শিকদার বাধা দেয় এবং কাঁচি দিয়ে জমি মাপার ফিতাটা কেটে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার, অর্থাৎ ঈদের দিন ভোরে আমি ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি আসার পথে জব্বার শিকদার ও তাদের লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে হাত ভেঙে দেয়। আমার সন্তানেরা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরও আহত করা হয়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি। আমি বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। পরিবারের সবাই আমার সঙ্গে আছে। বাড়িঘর খালি রেখে আমরা সবাই ঢাকায় চলে আসি। আজকে (বুধবার) সকালে আমাদের প্রতিবেশীরা জানায়, জব্বার শিকদারের লোকেরা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে জব্বার শিকদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শিকদার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি ভোগদখল করে আসছে। আমরা আমাদের সেই জমি ফিরে পেতে চাই। আমি বা আমার কোনো লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেনি। এ ছাড়া তাঁর বাড়িতে কেউ ভাঙচুর বা লুটপাট করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে চরভাগায় আব্দুর রশিদ শিকদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে আবার ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চবি প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।

দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত