Ajker Patrika

‘মোক কামোত নিয়া যান, মায়ের ওষুধ কিনার ট্যাকা নাই’

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ২০: ১৫
‘মোক কামোত নিয়া যান, মায়ের ওষুধ কিনার ট্যাকা নাই’

‘মোক কামোত নিয়া যান স্যার। বাড়িত মা, বউ ও ছোট তিনখান ব্যাটা-বেটি। বুড়া মায়ের ওষুধ কিনির টাকা নাই। দুই দিন থাকি কোনো কাম পাও নাই। দুইবেলা কোনোমতে আলু ভর্তা দিয়া ভাত খাছি। এক মুদি দোকান থাকি বাকিত চাল কিনি আনছো। দোকান অয়ালা কইছে টাকা না দিলে বাকিত কিছু দিবে না। আইজ কাম না পাইলে চুলা জ্বলিবে না।’

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্রমের হাটে শ্রমিক নিতে আসা মালিকের উদ্দেশ্যে এমন আকুতি করেন শহরের গোলাহাট এলাকার ইলিয়াস হোসেন (৪৫) নামে এক দিনমজুরের। কথাগুলো বলার সময় চোখ ছলছল করছিল তাঁর।

ইলিয়াস শুধু একাই নন। তাঁর মতো কাজের আশায় কাঁক ডাকা ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন শত শত দিনমজুর। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও কাজের দেখা মিলছে না অনেকের। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের স্মৃতি অম্লান চত্বর, শেরে বাংলা সড়কের চৌধুরী টাওয়ার ও স্টেশনের সামনে বসে শ্রমের হাট। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজের আশায় এখানে ভিড় করেন। এখানে আসার আগেও তাঁরা জানেন না কাজ মিলবে কিনা। 

ইট ভাঙা, নির্মাণকাজ, রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, ট্রাকে মালামাল ওঠানো ও খালাস, বস্তা টানা, মাটি কাটা, নালা পরিষ্কারসহ নানা কাজ করেন তাঁরা। কাজ না পেলে কারও ঘরে তিন বেলা ভাত জুটবে না; এ কারণে কাজের জন্য শ্রমিকদের ব্যাকুলতার শেষ নেই। বর্তমানে কাজ কম থাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে শ্রম বিক্রি করছেন হাটে আসা শ্রমিকেরা। তবুও কেউ কাজ পান, আবার অধিকাংশই কাজ না পেয়ে ফিরে যান বাড়ি। প্রতিদিন এসব হাটে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ শ্রমিক আসেন। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ জন কাজ পেলেও বাকিরা ফিরে যান। 

বুধবার চৌধুরী টাওয়ারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব আকাশে তখনো সূর্যের আলোর দেখা নেই। কিন্তু উপকরণ নিয়ে কাজের সন্ধানে জড়ো হচ্ছেন মানুষ। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কামলার হাটে অবস্থান করে দেখা গেছে শ্রম বিক্রি করতে আসা মানুষের হাহাকারের চিত্র। এক দিনের কামলা যাওয়ার জন্য কত যে ব্যাকুলতা সেখানে না দাঁড়ালে উপলব্ধি করা যাবে না। 

রঙের খালি কৌটার ওপর বসে নিয়োগকারী ঠিকাদারের অপেক্ষা করছিলেন খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া থেকে আসা দিনমজুর হাসান আলী। সামনে বড় আকারের আরেকটি রঙের খালি কৌটায় বিভিন্ন আকারের ব্রাশ, সিরিশ কাগজ ও অন্য রং-সরঞ্জাম। তাঁর পাশেই সারি দিয়ে বসে ছিলেন আরও কয়েকজন রং মিস্ত্রি। 

হাসান আলী বলেন, ‘আগে কাজের অভাব ছিল না। কিন্তু করোনার পর থেকেই একদিন আছে তো অন্যদিন কাজ নেই। কাজ না থাকলে এক মুঠো চাল কেনার উপায় থাকে না। সেদিন অনাহারেই দিন কাটে পরিবারের। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বাঁচাব কীভাবে?’ 

কাজের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা নারী শ্রমিক আরজিনা বেগম বলেন, ‘কাজ না পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তিরও উপায় নেই। কারণ মানুষ বলে সুস্থ হয়ে তুমি ভিক্ষা কর কেন? দিন দিন উপায় হারা হয়ে যাচ্ছি আমরা। আমাদের দিকে নজর দেওয়ার কেউ নাই।’ 

দিনমজুর সরবরাহকারী ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, মজুরদের আগের মতো কাজে নেওয়ার সুযোগ নেই। এখানকার অধিকাংশ শ্রমিকই নির্মাণকাজ করেন। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়া এখন আগের মতো আর বহুতল ভবন কিংবা বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে না। কম টাকা মজুরিতেও কাজ নেই। এতে অনেক কষ্টে কাটছে দিনমজুরদের জীবন। 

সৈয়দপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান জিকরুল হক বলেন, একদিকে কাজের অভাব অন্যদিকে পরিবারের চাহিদা। এসব বিষয় সরকার ও সমাজের দায়িত্বশীল মানুষের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। সঙ্গে সমস্যা সমাধানে দ্রুত কাজ করা উচিত। তাঁদরে যোগ্যতা অনুসারে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তা না হলে এই সমস্যা এক সময় মহামারি আকার ধারণ করবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর খালে মিলল বৃদ্ধের লাশ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।

স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রকৃত মালিক কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।

গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।

অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’

এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’

র‍্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।

শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তা শঙ্কা : বেলা ২টায় যমুনা ফিউচার পার্কের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৬
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে বিএনপি নেতা খুন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
নিহত বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
নিহত বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিস্তারিত পরে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত