নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১১ জুন দুপুরে তাঁকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস রতনের প্রাইভেট কার থেকে নামতে দেখা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গোদাগাড়ীর খেতুরী ধামের সামনে কালো রঙের ওই গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন সেন্টু সরকার নামের এক ব্যক্তি। এরপর গাড়ি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার। শেষে গাড়িটি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো।
সুনন্দন দাস রতন কাস্টমসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চাকরিজীবনে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর তিনি এলাকার সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে আসেন। দলে পদ পান। ফারুক চৌধুরী তাঁকে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ট্রাস্টিও করেন। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন রতন।
নানা অপকর্মের কারণে খেতুরী ধামের ওই ট্রাস্টি বোর্ড থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর গাড়িতে চড়েই এই ধামে যান বিএনপির নেতারা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন। তিনি জানান, গাড়িটির মালিক সুনন্দন দাস রতন। এই গাড়িতে তিনি রাজশাহী শহর থেকে তিনজনকে নিয়ে সেদিন ধামে যান। যদিও কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি রতন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতি দেওয়ার কারণে রতন এখন পুরো ট্রাস্টি বোর্ডই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত মার্চে তিনি একবার ধামে তালাও দিয়েছিলেন তাঁর লোকজন পাঠিয়ে। তাতে সফল না হয়ে এখন বিএনপি নেতাদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ট্রাস্টি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন এখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আসবেন। কিন্তু আসলে তাঁর আসার কথা কেউ জানে না। তাঁর নাম ভাঙিয়ে সমবেত হয়ে তাঁরা ট্রাস্টি বোর্ডই পুনর্গঠনের চেষ্টা করতেন। এর পেছনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রতন। তাই তাঁরা রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে এসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কথিত মিলনমেলা হয়নি।
উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে ওই মিলনমেলা করার কথা বলা হয়েছিল। সেটি না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। সেখানে দাবি করা হয়, আগের দিন বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু অনুষ্ঠান আয়োজনে বাগড়া দেন। তিনি সহদেব কুমার পান্না নামের এক ভক্তকে মারধর করে ধাম থেকে বের করে দেন। পরে ওই মিলনমেলা স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে টুকু দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন—এ কথা শোনার পর তিনি প্রস্তুতি দেখতে ধামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পান। তিনি তাঁকে বিএনপির অনুষ্ঠানে থাকতে না করেছিলেন। পান্নাকে কোনো রকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
এদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে আজ রোববার দুপুরে ধামেই সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাস্টি বোর্ড। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। এ ছাড়া সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য ট্রাস্টি শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।
সহদেব কুমার পান্নাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা দাবি করেন, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর ভেতর কাউকে মারধর করা সম্ভব নয়। ধামজুড়ে থাকা সিসি ক্যামেরাতেও এমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য এমন কথা প্রচার করা হয়েছে। আর আগের দিন বিকেলে অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তাই অনুমতি দেওয়া যায়নি। তা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়েরও আসার কথা ছিল না। তাঁর নাম ভাঙানো হয়েছে।
তাঁরা জানান, ট্রাস্টি বোর্ড চলে ১১৩ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে রেজিস্টার্ড এক নীতিমালা মেনে। চাইলেই বোর্ড ভেঙে দেওয়া যায় না। সুনন্দন দাস রতন তাঁর জমিতে যাওয়ার জন্য ধামের ভেতর দিয়ে রাস্তা করছিলেন। ব্যক্তিস্বার্থে এমন কাজ করার জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর এখন তিনি বিএনপির জেলার সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে দিয়ে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই বিশ্বনাথ সরকার ১১ জুন রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে আসেন। এই গাড়ি ও গাড়ির চালক ইসরাইল হোসেনকে তাঁরা সবাই চেনেন। সেদিন দেখেছেনও।
রতনের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘রতনকে আমি চিনিই না। তার গাড়িতে চড়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি দাবি করেন, তাঁরা ধামে শুধু একটি মিলনমেলা ও আলোচনা সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।
তবে ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের জন্যই ওই মিলনমেলা বলে স্বীকার করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু। তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর গঠন করে দেওয়া। কমিটিতে যারা আছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমরা এটা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, হিন্দু কমিউনিটির সবাই এটা চায়। সে জন্যই মিলনমেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন ছিল।’

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১১ জুন দুপুরে তাঁকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস রতনের প্রাইভেট কার থেকে নামতে দেখা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গোদাগাড়ীর খেতুরী ধামের সামনে কালো রঙের ওই গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন সেন্টু সরকার নামের এক ব্যক্তি। এরপর গাড়ি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার। শেষে গাড়িটি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো।
সুনন্দন দাস রতন কাস্টমসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চাকরিজীবনে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর তিনি এলাকার সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে আসেন। দলে পদ পান। ফারুক চৌধুরী তাঁকে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ট্রাস্টিও করেন। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন রতন।
নানা অপকর্মের কারণে খেতুরী ধামের ওই ট্রাস্টি বোর্ড থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর গাড়িতে চড়েই এই ধামে যান বিএনপির নেতারা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন। তিনি জানান, গাড়িটির মালিক সুনন্দন দাস রতন। এই গাড়িতে তিনি রাজশাহী শহর থেকে তিনজনকে নিয়ে সেদিন ধামে যান। যদিও কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি রতন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতি দেওয়ার কারণে রতন এখন পুরো ট্রাস্টি বোর্ডই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত মার্চে তিনি একবার ধামে তালাও দিয়েছিলেন তাঁর লোকজন পাঠিয়ে। তাতে সফল না হয়ে এখন বিএনপি নেতাদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ট্রাস্টি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন এখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আসবেন। কিন্তু আসলে তাঁর আসার কথা কেউ জানে না। তাঁর নাম ভাঙিয়ে সমবেত হয়ে তাঁরা ট্রাস্টি বোর্ডই পুনর্গঠনের চেষ্টা করতেন। এর পেছনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রতন। তাই তাঁরা রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে এসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কথিত মিলনমেলা হয়নি।
উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে ওই মিলনমেলা করার কথা বলা হয়েছিল। সেটি না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। সেখানে দাবি করা হয়, আগের দিন বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু অনুষ্ঠান আয়োজনে বাগড়া দেন। তিনি সহদেব কুমার পান্না নামের এক ভক্তকে মারধর করে ধাম থেকে বের করে দেন। পরে ওই মিলনমেলা স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে টুকু দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন—এ কথা শোনার পর তিনি প্রস্তুতি দেখতে ধামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পান। তিনি তাঁকে বিএনপির অনুষ্ঠানে থাকতে না করেছিলেন। পান্নাকে কোনো রকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
এদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে আজ রোববার দুপুরে ধামেই সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাস্টি বোর্ড। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। এ ছাড়া সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য ট্রাস্টি শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।
সহদেব কুমার পান্নাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা দাবি করেন, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর ভেতর কাউকে মারধর করা সম্ভব নয়। ধামজুড়ে থাকা সিসি ক্যামেরাতেও এমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য এমন কথা প্রচার করা হয়েছে। আর আগের দিন বিকেলে অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তাই অনুমতি দেওয়া যায়নি। তা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়েরও আসার কথা ছিল না। তাঁর নাম ভাঙানো হয়েছে।
তাঁরা জানান, ট্রাস্টি বোর্ড চলে ১১৩ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে রেজিস্টার্ড এক নীতিমালা মেনে। চাইলেই বোর্ড ভেঙে দেওয়া যায় না। সুনন্দন দাস রতন তাঁর জমিতে যাওয়ার জন্য ধামের ভেতর দিয়ে রাস্তা করছিলেন। ব্যক্তিস্বার্থে এমন কাজ করার জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর এখন তিনি বিএনপির জেলার সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে দিয়ে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই বিশ্বনাথ সরকার ১১ জুন রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে আসেন। এই গাড়ি ও গাড়ির চালক ইসরাইল হোসেনকে তাঁরা সবাই চেনেন। সেদিন দেখেছেনও।
রতনের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘রতনকে আমি চিনিই না। তার গাড়িতে চড়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি দাবি করেন, তাঁরা ধামে শুধু একটি মিলনমেলা ও আলোচনা সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।
তবে ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের জন্যই ওই মিলনমেলা বলে স্বীকার করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু। তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর গঠন করে দেওয়া। কমিটিতে যারা আছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমরা এটা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, হিন্দু কমিউনিটির সবাই এটা চায়। সে জন্যই মিলনমেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন ছিল।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১১ জুন দুপুরে তাঁকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস রতনের প্রাইভেট কার থেকে নামতে দেখা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গোদাগাড়ীর খেতুরী ধামের সামনে কালো রঙের ওই গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন সেন্টু সরকার নামের এক ব্যক্তি। এরপর গাড়ি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার। শেষে গাড়িটি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো।
সুনন্দন দাস রতন কাস্টমসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চাকরিজীবনে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর তিনি এলাকার সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে আসেন। দলে পদ পান। ফারুক চৌধুরী তাঁকে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ট্রাস্টিও করেন। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন রতন।
নানা অপকর্মের কারণে খেতুরী ধামের ওই ট্রাস্টি বোর্ড থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর গাড়িতে চড়েই এই ধামে যান বিএনপির নেতারা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন। তিনি জানান, গাড়িটির মালিক সুনন্দন দাস রতন। এই গাড়িতে তিনি রাজশাহী শহর থেকে তিনজনকে নিয়ে সেদিন ধামে যান। যদিও কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি রতন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতি দেওয়ার কারণে রতন এখন পুরো ট্রাস্টি বোর্ডই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত মার্চে তিনি একবার ধামে তালাও দিয়েছিলেন তাঁর লোকজন পাঠিয়ে। তাতে সফল না হয়ে এখন বিএনপি নেতাদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ট্রাস্টি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন এখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আসবেন। কিন্তু আসলে তাঁর আসার কথা কেউ জানে না। তাঁর নাম ভাঙিয়ে সমবেত হয়ে তাঁরা ট্রাস্টি বোর্ডই পুনর্গঠনের চেষ্টা করতেন। এর পেছনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রতন। তাই তাঁরা রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে এসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কথিত মিলনমেলা হয়নি।
উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে ওই মিলনমেলা করার কথা বলা হয়েছিল। সেটি না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। সেখানে দাবি করা হয়, আগের দিন বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু অনুষ্ঠান আয়োজনে বাগড়া দেন। তিনি সহদেব কুমার পান্না নামের এক ভক্তকে মারধর করে ধাম থেকে বের করে দেন। পরে ওই মিলনমেলা স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে টুকু দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন—এ কথা শোনার পর তিনি প্রস্তুতি দেখতে ধামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পান। তিনি তাঁকে বিএনপির অনুষ্ঠানে থাকতে না করেছিলেন। পান্নাকে কোনো রকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
এদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে আজ রোববার দুপুরে ধামেই সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাস্টি বোর্ড। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। এ ছাড়া সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য ট্রাস্টি শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।
সহদেব কুমার পান্নাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা দাবি করেন, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর ভেতর কাউকে মারধর করা সম্ভব নয়। ধামজুড়ে থাকা সিসি ক্যামেরাতেও এমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য এমন কথা প্রচার করা হয়েছে। আর আগের দিন বিকেলে অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তাই অনুমতি দেওয়া যায়নি। তা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়েরও আসার কথা ছিল না। তাঁর নাম ভাঙানো হয়েছে।
তাঁরা জানান, ট্রাস্টি বোর্ড চলে ১১৩ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে রেজিস্টার্ড এক নীতিমালা মেনে। চাইলেই বোর্ড ভেঙে দেওয়া যায় না। সুনন্দন দাস রতন তাঁর জমিতে যাওয়ার জন্য ধামের ভেতর দিয়ে রাস্তা করছিলেন। ব্যক্তিস্বার্থে এমন কাজ করার জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর এখন তিনি বিএনপির জেলার সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে দিয়ে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই বিশ্বনাথ সরকার ১১ জুন রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে আসেন। এই গাড়ি ও গাড়ির চালক ইসরাইল হোসেনকে তাঁরা সবাই চেনেন। সেদিন দেখেছেনও।
রতনের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘রতনকে আমি চিনিই না। তার গাড়িতে চড়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি দাবি করেন, তাঁরা ধামে শুধু একটি মিলনমেলা ও আলোচনা সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।
তবে ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের জন্যই ওই মিলনমেলা বলে স্বীকার করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু। তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর গঠন করে দেওয়া। কমিটিতে যারা আছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমরা এটা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, হিন্দু কমিউনিটির সবাই এটা চায়। সে জন্যই মিলনমেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন ছিল।’

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১১ জুন দুপুরে তাঁকে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস রতনের প্রাইভেট কার থেকে নামতে দেখা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গোদাগাড়ীর খেতুরী ধামের সামনে কালো রঙের ওই গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন সেন্টু সরকার নামের এক ব্যক্তি। এরপর গাড়ি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার। শেষে গাড়িটি থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো।
সুনন্দন দাস রতন কাস্টমসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চাকরিজীবনে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর তিনি এলাকার সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে আসেন। দলে পদ পান। ফারুক চৌধুরী তাঁকে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ট্রাস্টিও করেন। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন রতন।
নানা অপকর্মের কারণে খেতুরী ধামের ওই ট্রাস্টি বোর্ড থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রতনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর গাড়িতে চড়েই এই ধামে যান বিএনপির নেতারা। বিষয়টি স্বীকার করেছেন গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন। তিনি জানান, গাড়িটির মালিক সুনন্দন দাস রতন। এই গাড়িতে তিনি রাজশাহী শহর থেকে তিনজনকে নিয়ে সেদিন ধামে যান। যদিও কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি রতন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতি দেওয়ার কারণে রতন এখন পুরো ট্রাস্টি বোর্ডই ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত মার্চে তিনি একবার ধামে তালাও দিয়েছিলেন তাঁর লোকজন পাঠিয়ে। তাতে সফল না হয়ে এখন বিএনপি নেতাদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ট্রাস্টি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন এখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আসবেন। কিন্তু আসলে তাঁর আসার কথা কেউ জানে না। তাঁর নাম ভাঙিয়ে সমবেত হয়ে তাঁরা ট্রাস্টি বোর্ডই পুনর্গঠনের চেষ্টা করতেন। এর পেছনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রতন। তাই তাঁরা রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে এসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কথিত মিলনমেলা হয়নি।
উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে ওই মিলনমেলা করার কথা বলা হয়েছিল। সেটি না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট। সেখানে দাবি করা হয়, আগের দিন বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু অনুষ্ঠান আয়োজনে বাগড়া দেন। তিনি সহদেব কুমার পান্না নামের এক ভক্তকে মারধর করে ধাম থেকে বের করে দেন। পরে ওই মিলনমেলা স্থগিত করা হয়।
জানতে চাইলে টুকু দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন—এ কথা শোনার পর তিনি প্রস্তুতি দেখতে ধামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পান। তিনি তাঁকে বিএনপির অনুষ্ঠানে থাকতে না করেছিলেন। পান্নাকে কোনো রকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
এদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে আজ রোববার দুপুরে ধামেই সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাস্টি বোর্ড। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। এ ছাড়া সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য ট্রাস্টি শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।
সহদেব কুমার পান্নাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা দাবি করেন, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর ভেতর কাউকে মারধর করা সম্ভব নয়। ধামজুড়ে থাকা সিসি ক্যামেরাতেও এমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য এমন কথা প্রচার করা হয়েছে। আর আগের দিন বিকেলে অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তাই অনুমতি দেওয়া যায়নি। তা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়েরও আসার কথা ছিল না। তাঁর নাম ভাঙানো হয়েছে।
তাঁরা জানান, ট্রাস্টি বোর্ড চলে ১১৩ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে রেজিস্টার্ড এক নীতিমালা মেনে। চাইলেই বোর্ড ভেঙে দেওয়া যায় না। সুনন্দন দাস রতন তাঁর জমিতে যাওয়ার জন্য ধামের ভেতর দিয়ে রাস্তা করছিলেন। ব্যক্তিস্বার্থে এমন কাজ করার জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর এখন তিনি বিএনপির জেলার সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে দিয়ে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই বিশ্বনাথ সরকার ১১ জুন রতনের গাড়িতে চড়েই ধামে আসেন। এই গাড়ি ও গাড়ির চালক ইসরাইল হোসেনকে তাঁরা সবাই চেনেন। সেদিন দেখেছেনও।
রতনের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘রতনকে আমি চিনিই না। তার গাড়িতে চড়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি দাবি করেন, তাঁরা ধামে শুধু একটি মিলনমেলা ও আলোচনা সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।
তবে ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের জন্যই ওই মিলনমেলা বলে স্বীকার করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু। তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর গঠন করে দেওয়া। কমিটিতে যারা আছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমরা এটা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, হিন্দু কমিউনিটির সবাই এটা চায়। সে জন্যই মিলনমেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন ছিল।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতনের সেই গাড়িতে উঠেছিলেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো ও সেন্টু সরকার নামের আরেকজনও। যদিও রতনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং নানা বিতর্কে জড়ানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে খেতুরী ধামের ট্রাস
১৫ জুন ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতনের সেই গাড়িতে উঠেছিলেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো ও সেন্টু সরকার নামের আরেকজনও। যদিও রতনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং নানা বিতর্কে জড়ানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে খেতুরী ধামের ট্রাস
১৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতনের সেই গাড়িতে উঠেছিলেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো ও সেন্টু সরকার নামের আরেকজনও। যদিও রতনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং নানা বিতর্কে জড়ানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে খেতুরী ধামের ট্রাস
১৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪০ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতনের সেই গাড়িতে উঠেছিলেন বিশ্বনাথ সরকারের ভাতিজা অলোক সরকার আলো ও সেন্টু সরকার নামের আরেকজনও। যদিও রতনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং নানা বিতর্কে জড়ানোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে খেতুরী ধামের ট্রাস
১৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে