শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকও রয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার তিনি এই উকিল নোটিশ পাঠান।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ওই ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলে জানান ববি।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, শাহজামাল সিরাজী, মোকারিম হোসেন রবি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা দেবতোষ চক্রবর্তী লিটন, আব্দুল হামিদ ও জাকির হোসেন।
শেরপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। স্থানীয় সাংসদ হাবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ, অন্যটি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুর নেতৃত্বে চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য দুই গ্রুপই মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। সম্প্রতি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন ও ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, মজনু গ্রুপের লোকজন দিয়ে একতরফাভাবে কমিটি গঠন করার।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ৯টায় শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার রহমান মিন্টু শহরের একটি মার্কেটে প্রবেশ করলে পদবঞ্চিত এমপি গ্রুপের নেতা–কর্মীরা তাদেরকে মধ্যরাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় মৃদু সংঘর্ষে একজন আহত হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষই সড়ে দাঁড়ায়।
এর জের ধরে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিগত সম্মেলনে অগঠনতান্ত্রিক, অসাংগঠনিক এবং স্বৈরতান্ত্রিকভাবে নিজের মন গড়া আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের দিয়ে ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণের ২৭ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়া ও মজিবুর রহমান মজনু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা কলেজের সভাপতি থাকার সময় প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়।
এদিকে ওই সংবাদ সম্মেলনের উত্থাপিত অভিযোগগুলো খণ্ডন করে গত ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি ও তাঁর সঙ্গীদের মজিবুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে।’ সেখানে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববিকে একজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, নেশাগ্রস্ত, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু বলে দাবি করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য মানহানিকর অভিযোগ তুলে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ১৬ মে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি। তাঁর পক্ষের আইনজীবীর পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ওই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি তার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি ব্যবসায়িকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ সব মিলে তাঁর দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে উকিল নোটিশে দাবি করা হয়।
জানতে চাইলে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘আমি ২৬ বছর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং ৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। তখন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। এখন আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। তাই আইনি প্রতিকার চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
নোটিশ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। আমার তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেহেতু তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তা সমাধান করা হবে। তবে এই কু-চক্রী মহলের অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকও রয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার তিনি এই উকিল নোটিশ পাঠান।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ওই ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলে জানান ববি।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, শাহজামাল সিরাজী, মোকারিম হোসেন রবি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা দেবতোষ চক্রবর্তী লিটন, আব্দুল হামিদ ও জাকির হোসেন।
শেরপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুটি গ্রুপে বিভক্ত। স্থানীয় সাংসদ হাবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ, অন্যটি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুর নেতৃত্বে চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য দুই গ্রুপই মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। সম্প্রতি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন ও ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, মজনু গ্রুপের লোকজন দিয়ে একতরফাভাবে কমিটি গঠন করার।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ৯টায় শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার রহমান মিন্টু শহরের একটি মার্কেটে প্রবেশ করলে পদবঞ্চিত এমপি গ্রুপের নেতা–কর্মীরা তাদেরকে মধ্যরাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় মৃদু সংঘর্ষে একজন আহত হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষই সড়ে দাঁড়ায়।
এর জের ধরে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিগত সম্মেলনে অগঠনতান্ত্রিক, অসাংগঠনিক এবং স্বৈরতান্ত্রিকভাবে নিজের মন গড়া আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের দিয়ে ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস নির্মাণের ২৭ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়া ও মজিবুর রহমান মজনু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা কলেজের সভাপতি থাকার সময় প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়।
এদিকে ওই সংবাদ সম্মেলনের উত্থাপিত অভিযোগগুলো খণ্ডন করে গত ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি ও তাঁর সঙ্গীদের মজিবুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে।’ সেখানে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববিকে একজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, নেশাগ্রস্ত, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু বলে দাবি করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য মানহানিকর অভিযোগ তুলে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ১৬ মে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি। তাঁর পক্ষের আইনজীবীর পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ওই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি তার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি ব্যবসায়িকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ সব মিলে তাঁর দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে উকিল নোটিশে দাবি করা হয়।
জানতে চাইলে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘আমি ২৬ বছর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং ৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। তখন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। এখন আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। তাই আইনি প্রতিকার চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
নোটিশ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। আমার তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেহেতু তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তা সমাধান করা হবে। তবে এই কু-চক্রী মহলের অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্
১৭ মে ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্
১৭ মে ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্
১৭ মে ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মাঠের রাজনীতি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্
১৭ মে ২০২৩
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে