Ajker Patrika

প্রবাসফেরত কর্মীদের প্রণোদনার টাকায় ভাগ বসালেন ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ১৪: ৫৮
প্রবাসফেরত কর্মীদের প্রণোদনার টাকায় ভাগ বসালেন ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী

রূপালী ব্যাংকের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর শাখার হিসাবধারী প্রবাসফেরত ১৭ জনের প্রণোদনার টাকায় ভাগ বসিয়েছেন ওই ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম। তিনি ওই কর্মীদের ব্যাংকে হিসাব খুলে দিয়ে তাঁদের স্বাক্ষরিত তিনটি চেকের পাতাসহ চেক বই নিজের কাছে রেখে দেন। প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হওয়ার পর স্বাক্ষরিত চেকে প্রণোদনার পুরো সাড়ে ১৩ হাজার টাকা তুলে নিয়ে কর্মীদের ৮ হাজার করে দেন। 

এ ঘটনায় প্রতারিত প্রবাসফেরত কর্মীরা আজ সোমবার দুপুরে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মীর কাছে বাকি টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে ব্যাংক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে প্রবাসফেরত কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। ব্যাংকের ভেতর দেন-দরবারে পর নিরাপত্তাকর্মী প্রবাসফেরত চারজনকে তিন হাজার টাকা করে ফেরত দেন। এ সময় আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 

জানতে চাইলে মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আমার একটি কাজে আজ সোমবার দুপুরে রূপালী ব্যাংকে গিয়েছিলাম। আমার সামনে রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম চারজন প্রবাসফেরত কর্মীকে তিন হাজার করে ফেরত দিয়েছেন। অন্যদের একইভাবে টাকা ফেরত দেবেন বলে নিরাপত্তাকর্মী আমার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’ 

রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নে। প্রবাসফেরত কর্মীদের বাড়িও একই এলাকায়। 

ভুক্তভোগী প্রবাসফেরত কর্মীরা জানান, তাঁরা বিদেশে ছিলেন। বিভিন্ন কারণে তাঁরা দেশে চলে এসেছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেইজ প্রকল্পের আওতায় প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম তাঁদের জানিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা শহিদুলের কথামতো নওগাঁ রেইজ প্রকল্পের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন। প্রত্যেকের ব্যাংক হিসাবে প্রণোদনার সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়। 

রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম ব্যাংকে ডেকে তাঁদের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব খুলে নেন। তাঁদের সবার কাছে ব্যাংক চেকের তিনটি পাতায় ফাঁকা স্বাক্ষর নিয়ে পুরো চেক বই শহিদুল ইসলাম নিজের কাছে রেখে দেন। শহিদুল ইসলামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাঁরা সরল বিশ্বাসে এই কাজ করেন। 

ব্যাংক হিসাবে প্রণোদনার সাড়ে ১৩ হাজার টাকা জমা হওয়ার কথা জানতে পারেন তাঁরা। প্রায় ২০ দিন আগে শহিদুল ইসলাম তাঁদের পাঁচ-ছয়জনকে ব্যাংকে ডেকে নগদ ৮ হাজার করে হাতে দেন। এ নিয়ে শহিদুলের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। সেই সময় শহিদুল ইসলাম তাঁদের বাকি টাকা ২০ মে দেওয়ার কথা বলেন। আজকে তাঁরা বাকি টাকা নিতে ব্যাংকে আসেন। তখন শহিদুল ইসলাম তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে টাকা দেবেন না সাফ জানিয়ে দেন। 

এরপর তাঁরা বিষয়টি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে গিয়ে জানান। সেখানে কলেজ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাজী শফিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। কাজী শফিউদ্দীনের মধ্যস্থতায় তিন হাজার করে দিতে চান। এতে তাঁরা রাজি হননি। এরপর তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানান। 

ইউএনও মনজুরুল আলম রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিকেলে ৪টায় প্রবাসফেরত কর্মীদের ব্যাংকে ডেকে নিয়ে আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলমের উপস্থিতিতে চারজনকে তিন হাজার টাকা করে ফেরত দেন। প্রবাসফেরত কর্মীরা ব্যাংক থেকে চলে আসেন। 

প্রবাসফেরত উপজেলার মোহনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলামের বাড়ি একই এলাকায়। শহিদুল ব্যাংক হিসাব খুলতে আমাদের কাছে ৩০০ টাকা নিয়েছিলেন। আমাদের সবার ব্যাংকের তিনটি পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে পুরো চেক বই শহিদুল ইসলাম নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। শহিদুল আমাদের ব্যাংকে ডেকে প্রণোদনার সাড়ে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ৮ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আজকে বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমরা ব্যাংকে আসার পর টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। দেন-দরবারের পর সাড়ে পাঁচ হাজার মধ্যে তিন হাজার টাকা মিটমাট হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম প্রবাসফেরত ওই কর্মীদের স্বাক্ষরিত চেক বই নিজের কাছে ও টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে। 

রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রবাসফেরত কর্মীদের বিষয়টি জেনেছি। তবে প্রবাসফেরত কর্মীদের হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলনে ব্যাংকিং সিস্টেমের ব্যত্যয় ঘটেনি।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ‘প্রবাসফেরত কর্মীদের টাকা কৌশলে কম দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা আমার কাছে এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। তাঁদের আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা কথা বলেছি। এরপর প্রবাসফেরত ওই কর্মীরা আর আমার কাছে আসেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।

রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।

আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত