রাবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কর্মসূচি শুরুর আগেই ছাত্রলীগ দাবি করে, এতে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে। আয়োজনে আগত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন কর্মসূচির আয়োজক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর জোহার সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি যাচাই করতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তাঁর সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ‘ক্যাম্পাসের পাহারাদার’ হিসেবে গণ ইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব ও অন্যান্য নেতা–কর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা গণ ইফতারে অংশ নিতে আসতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের জানান, ‘গণ ইফতার হবে না’। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা তাঁকে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চের পেছনে নিয়ে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর এসে দুই ছাত্রলীগ নেতা গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন শুরু করতে বলেন। এরপর শামিয়ানা বিছিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গণ ইফতার শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ইফতার পার্টি শেষে কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতারা নিয়ে যেতে চান। তখন শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান ও গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস তাঁদের বাধা দেন। শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোহাকে জোর করে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এ সময় দুই শিক্ষক তাঁদের বলেন, জোহাকে তোমাদের জিম্মায় ছেড়ে দিলাম। ওর যদি কোনো কিছু হয় তাহলে তোমাদের দায়ভার নিতে হবে।
পরে জোহাকে শেরে বাংলা হল সংলগ্ন দোকানের পেছনে নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। সেখানে জোহার সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেন এবং রাত ১০টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আবার দেখা করতে বলেন। এরপর জোহা রিকশায় করে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জোহার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপর পাশ থেকে তাঁর বন্ধু পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, ‘জোহা সারা দিনের ধকল নিতে পারেনি। এ ছাড়া ইফতারের সময় ঝামেলার কারণে সে ঠিকমতো ইফতারও করতে পারেনি। এই কারণে সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে, বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জায়িদ হাসান জোহা নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে গণ ইফতার কর্মসূচির ডাক দেন এবং এ বিষয়ে ‘ব্যানার’ তৈরি করে প্রচার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন—সকলে সাধ্য অনুযায়ী ইফতারি আনার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে সরাসরি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণও করতে পারবে।
বুধবার ইফতারের আগে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব বলেন, ‘ফেসবুকে আমরা গণ ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্রিয়াশীল কোনো ছাত্র সংগঠন অবগত ছিল না। এখানে এসে দেখলাম অনেক জটলা বেঁধে আছে। শিক্ষার্থীরা ইফতারি করবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছি, যাতে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। সে জন্য ক্যাম্পাসের পাহারাদার হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, আজ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকী। তারা আজ নামে–বেনামে ক্যাম্পাসে কোনো একটা কর্মসূচি পালন করবে। গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জোহা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না জানি না। তবে তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে সে জড়িত না। আপাতত আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করব। তারপর জোহার সঙ্গে আবার কথা হবে সে শিবির বা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কি না।’
ইফতার শুরুর আগে জায়িদ হাসান জোহা বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়। সম্প্রতি শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুই ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে আমরাও আয়োজন করছি গণ ইফতার কর্মসূচি। তবে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বিষয়টি না জানায় আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন। এখন ভাইয়েরা মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারি করতে বসেছি। কোনো বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জোহা নামে একজন ছেলে আমাকে কল দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে। তারপর আরেকজন কল দিয়ে বলল, একটা সংগঠনের ছেলেরা আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। সেটি শুনেই মূলত এখানে এসেছি। পরে এসে দেখলাম ঝামেলা মিটে গেছে।’
ইফতারের শেষে ঝামেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা জোহাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছিল। তখন তাকে দেখে মনে হলো সে অনিরাপত্তা বোধ করছে। তাই তাকে এক শিক্ষকের বাইকে করে মেসে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা জোহাকে জোর করে নিয়ে গেছে। তখন বাবু–গালিবকে আমি বলেছি, তোমাদের জিম্মায় ওকে দিয়ে দিলাম। কোনো সমস্যা হলে এর দায়ভার তোমাদের নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১১ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করছেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কর্মসূচি শুরুর আগেই ছাত্রলীগ দাবি করে, এতে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে। আয়োজনে আগত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন কর্মসূচির আয়োজক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর জোহার সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি যাচাই করতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তাঁর সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ‘ক্যাম্পাসের পাহারাদার’ হিসেবে গণ ইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব ও অন্যান্য নেতা–কর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা গণ ইফতারে অংশ নিতে আসতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের জানান, ‘গণ ইফতার হবে না’। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা তাঁকে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চের পেছনে নিয়ে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর এসে দুই ছাত্রলীগ নেতা গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন শুরু করতে বলেন। এরপর শামিয়ানা বিছিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গণ ইফতার শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ইফতার পার্টি শেষে কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতারা নিয়ে যেতে চান। তখন শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান ও গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস তাঁদের বাধা দেন। শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোহাকে জোর করে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এ সময় দুই শিক্ষক তাঁদের বলেন, জোহাকে তোমাদের জিম্মায় ছেড়ে দিলাম। ওর যদি কোনো কিছু হয় তাহলে তোমাদের দায়ভার নিতে হবে।
পরে জোহাকে শেরে বাংলা হল সংলগ্ন দোকানের পেছনে নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। সেখানে জোহার সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেন এবং রাত ১০টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আবার দেখা করতে বলেন। এরপর জোহা রিকশায় করে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জোহার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপর পাশ থেকে তাঁর বন্ধু পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, ‘জোহা সারা দিনের ধকল নিতে পারেনি। এ ছাড়া ইফতারের সময় ঝামেলার কারণে সে ঠিকমতো ইফতারও করতে পারেনি। এই কারণে সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে, বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জায়িদ হাসান জোহা নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে গণ ইফতার কর্মসূচির ডাক দেন এবং এ বিষয়ে ‘ব্যানার’ তৈরি করে প্রচার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন—সকলে সাধ্য অনুযায়ী ইফতারি আনার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে সরাসরি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণও করতে পারবে।
বুধবার ইফতারের আগে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব বলেন, ‘ফেসবুকে আমরা গণ ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্রিয়াশীল কোনো ছাত্র সংগঠন অবগত ছিল না। এখানে এসে দেখলাম অনেক জটলা বেঁধে আছে। শিক্ষার্থীরা ইফতারি করবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছি, যাতে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। সে জন্য ক্যাম্পাসের পাহারাদার হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, আজ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকী। তারা আজ নামে–বেনামে ক্যাম্পাসে কোনো একটা কর্মসূচি পালন করবে। গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জোহা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না জানি না। তবে তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে সে জড়িত না। আপাতত আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করব। তারপর জোহার সঙ্গে আবার কথা হবে সে শিবির বা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কি না।’
ইফতার শুরুর আগে জায়িদ হাসান জোহা বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়। সম্প্রতি শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুই ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে আমরাও আয়োজন করছি গণ ইফতার কর্মসূচি। তবে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বিষয়টি না জানায় আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন। এখন ভাইয়েরা মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারি করতে বসেছি। কোনো বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জোহা নামে একজন ছেলে আমাকে কল দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে। তারপর আরেকজন কল দিয়ে বলল, একটা সংগঠনের ছেলেরা আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। সেটি শুনেই মূলত এখানে এসেছি। পরে এসে দেখলাম ঝামেলা মিটে গেছে।’
ইফতারের শেষে ঝামেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা জোহাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছিল। তখন তাকে দেখে মনে হলো সে অনিরাপত্তা বোধ করছে। তাই তাকে এক শিক্ষকের বাইকে করে মেসে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা জোহাকে জোর করে নিয়ে গেছে। তখন বাবু–গালিবকে আমি বলেছি, তোমাদের জিম্মায় ওকে দিয়ে দিলাম। কোনো সমস্যা হলে এর দায়ভার তোমাদের নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১১ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করছেন।
রাবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কর্মসূচি শুরুর আগেই ছাত্রলীগ দাবি করে, এতে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে। আয়োজনে আগত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন কর্মসূচির আয়োজক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর জোহার সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি যাচাই করতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তাঁর সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ‘ক্যাম্পাসের পাহারাদার’ হিসেবে গণ ইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব ও অন্যান্য নেতা–কর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা গণ ইফতারে অংশ নিতে আসতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের জানান, ‘গণ ইফতার হবে না’। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা তাঁকে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চের পেছনে নিয়ে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর এসে দুই ছাত্রলীগ নেতা গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন শুরু করতে বলেন। এরপর শামিয়ানা বিছিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গণ ইফতার শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ইফতার পার্টি শেষে কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতারা নিয়ে যেতে চান। তখন শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান ও গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস তাঁদের বাধা দেন। শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোহাকে জোর করে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এ সময় দুই শিক্ষক তাঁদের বলেন, জোহাকে তোমাদের জিম্মায় ছেড়ে দিলাম। ওর যদি কোনো কিছু হয় তাহলে তোমাদের দায়ভার নিতে হবে।
পরে জোহাকে শেরে বাংলা হল সংলগ্ন দোকানের পেছনে নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। সেখানে জোহার সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেন এবং রাত ১০টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আবার দেখা করতে বলেন। এরপর জোহা রিকশায় করে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জোহার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপর পাশ থেকে তাঁর বন্ধু পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, ‘জোহা সারা দিনের ধকল নিতে পারেনি। এ ছাড়া ইফতারের সময় ঝামেলার কারণে সে ঠিকমতো ইফতারও করতে পারেনি। এই কারণে সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে, বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জায়িদ হাসান জোহা নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে গণ ইফতার কর্মসূচির ডাক দেন এবং এ বিষয়ে ‘ব্যানার’ তৈরি করে প্রচার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন—সকলে সাধ্য অনুযায়ী ইফতারি আনার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে সরাসরি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণও করতে পারবে।
বুধবার ইফতারের আগে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব বলেন, ‘ফেসবুকে আমরা গণ ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্রিয়াশীল কোনো ছাত্র সংগঠন অবগত ছিল না। এখানে এসে দেখলাম অনেক জটলা বেঁধে আছে। শিক্ষার্থীরা ইফতারি করবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছি, যাতে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। সে জন্য ক্যাম্পাসের পাহারাদার হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, আজ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকী। তারা আজ নামে–বেনামে ক্যাম্পাসে কোনো একটা কর্মসূচি পালন করবে। গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জোহা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না জানি না। তবে তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে সে জড়িত না। আপাতত আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করব। তারপর জোহার সঙ্গে আবার কথা হবে সে শিবির বা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কি না।’
ইফতার শুরুর আগে জায়িদ হাসান জোহা বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়। সম্প্রতি শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুই ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে আমরাও আয়োজন করছি গণ ইফতার কর্মসূচি। তবে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বিষয়টি না জানায় আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন। এখন ভাইয়েরা মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারি করতে বসেছি। কোনো বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জোহা নামে একজন ছেলে আমাকে কল দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে। তারপর আরেকজন কল দিয়ে বলল, একটা সংগঠনের ছেলেরা আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। সেটি শুনেই মূলত এখানে এসেছি। পরে এসে দেখলাম ঝামেলা মিটে গেছে।’
ইফতারের শেষে ঝামেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা জোহাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছিল। তখন তাকে দেখে মনে হলো সে অনিরাপত্তা বোধ করছে। তাই তাকে এক শিক্ষকের বাইকে করে মেসে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা জোহাকে জোর করে নিয়ে গেছে। তখন বাবু–গালিবকে আমি বলেছি, তোমাদের জিম্মায় ওকে দিয়ে দিলাম। কোনো সমস্যা হলে এর দায়ভার তোমাদের নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১১ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করছেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কর্মসূচি শুরুর আগেই ছাত্রলীগ দাবি করে, এতে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে। আয়োজনে আগত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন কর্মসূচির আয়োজক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর জোহার সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি যাচাই করতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তাঁর সঙ্গে ‘শিবিরের’ সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ‘ক্যাম্পাসের পাহারাদার’ হিসেবে গণ ইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব ও অন্যান্য নেতা–কর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা গণ ইফতারে অংশ নিতে আসতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের জানান, ‘গণ ইফতার হবে না’। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহা। এরপর শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা তাঁকে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চের পেছনে নিয়ে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর এসে দুই ছাত্রলীগ নেতা গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন শুরু করতে বলেন। এরপর শামিয়ানা বিছিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গণ ইফতার শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ইফতার পার্টি শেষে কর্মসূচির আহ্বায়ক জায়িদ হাসান জোহাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতারা নিয়ে যেতে চান। তখন শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান ও গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস তাঁদের বাধা দেন। শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোহাকে জোর করে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এ সময় দুই শিক্ষক তাঁদের বলেন, জোহাকে তোমাদের জিম্মায় ছেড়ে দিলাম। ওর যদি কোনো কিছু হয় তাহলে তোমাদের দায়ভার নিতে হবে।
পরে জোহাকে শেরে বাংলা হল সংলগ্ন দোকানের পেছনে নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। সেখানে জোহার সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেন এবং রাত ১০টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আবার দেখা করতে বলেন। এরপর জোহা রিকশায় করে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জোহার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে অপর পাশ থেকে তাঁর বন্ধু পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, ‘জোহা সারা দিনের ধকল নিতে পারেনি। এ ছাড়া ইফতারের সময় ঝামেলার কারণে সে ঠিকমতো ইফতারও করতে পারেনি। এই কারণে সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে, বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জায়িদ হাসান জোহা নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে গণ ইফতার কর্মসূচির ডাক দেন এবং এ বিষয়ে ‘ব্যানার’ তৈরি করে প্রচার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন—সকলে সাধ্য অনুযায়ী ইফতারি আনার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে সরাসরি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণও করতে পারবে।
বুধবার ইফতারের আগে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা–হিল–গালিব বলেন, ‘ফেসবুকে আমরা গণ ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্রিয়াশীল কোনো ছাত্র সংগঠন অবগত ছিল না। এখানে এসে দেখলাম অনেক জটলা বেঁধে আছে। শিক্ষার্থীরা ইফতারি করবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছি, যাতে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। সে জন্য ক্যাম্পাসের পাহারাদার হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, আজ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকী। তারা আজ নামে–বেনামে ক্যাম্পাসে কোনো একটা কর্মসূচি পালন করবে। গণ ইফতার কর্মসূচির আহ্বায়ক জোহা এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না জানি না। তবে তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে সে জড়িত না। আপাতত আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করব। তারপর জোহার সঙ্গে আবার কথা হবে সে শিবির বা নোমানীর মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কি না।’
ইফতার শুরুর আগে জায়িদ হাসান জোহা বলেন, ‘বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সাহরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়। সম্প্রতি শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুই ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি জানিয়ে আমরাও আয়োজন করছি গণ ইফতার কর্মসূচি। তবে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বিষয়টি না জানায় আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন। এখন ভাইয়েরা মিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারি করতে বসেছি। কোনো বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জোহা নামে একজন ছেলে আমাকে কল দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে। তারপর আরেকজন কল দিয়ে বলল, একটা সংগঠনের ছেলেরা আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। সেটি শুনেই মূলত এখানে এসেছি। পরে এসে দেখলাম ঝামেলা মিটে গেছে।’
ইফতারের শেষে ঝামেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতারা জোহাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছিল। তখন তাকে দেখে মনে হলো সে অনিরাপত্তা বোধ করছে। তাই তাকে এক শিক্ষকের বাইকে করে মেসে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা জোহাকে জোর করে নিয়ে গেছে। তখন বাবু–গালিবকে আমি বলেছি, তোমাদের জিম্মায় ওকে দিয়ে দিলাম। কোনো সমস্যা হলে এর দায়ভার তোমাদের নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১১ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করছেন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) গণ ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে