Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়া: খাদ্যমন্ত্রী

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৪৪
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়া: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারকে হত্যার পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। যে সমস্ত বিপথগামী সেনা সদস্যদের নিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলেন, তাঁরাই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন। বিপথগামী সেনা সদস্যদের তিনি (জিয়াউর রহমান) মন্ত্রী বানিয়েছেন।’ 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন ‘১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে।’ কিন্তু ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে আজ ১৫ আগস্ট চললেও শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। তাঁদের কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। 

তারেক রহমান-খালেদা জিয়ার দ্বন্দ্বে বিএনপি বিপাকে বলে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা এখন আর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে পারছেন না। তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিদেশি শক্তি তাঁদের যড়যন্ত্র বুঝে যাওয়ায় বিএনপি নেতারা সুর পরিবর্তন করে ভুলভাল বকছেন। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে থেকে সোনার বাংলা করার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন দেশ পরিচালনা করে যাবেন। 

শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ প্রমুখ। 

শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে কবরস্থান থেকে ৫ রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে চন্দ্রগঞ্জ-বেগমগঞ্জ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অস্ত্র কেনাবেচা করছিল। সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে ডিবি পুলিশের অভিযানে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এবারের অভিযান। তবে পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রগুলো কবরস্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্রগুলো একেবারে নতুন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরে মধ্যরাতে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হন তানভীর, চাকুসহ আটক দুই

­যশোর প্রতিনিধি
আটক দুজনকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক দুজনকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন তানভীর। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় তানভীরকে। পরে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তানভীর শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টুর ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, ‘ঘটনার পর রাতেই কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম অভিযানে নামে। তারা রক্তের ছাপ পর্যবেক্ষণ করে আনসার ক্যাম্প এলাকার সোনা মিয়াকে আটক করে। পরে তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় একই এলাকার সাক্ষরকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামের দুই যুবককে আটক করে। এ সময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর পকেট তল্লাশি করে ৬১টি ইয়াবা উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত এমরান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত এমরান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ নামের আরও একজন গুরুতর আহত হন।

দুই সন্তানের বাবা এমরান চৌধুরী ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারিয়া সিকদারপাড়া মোয়াজ্জেম বাড়ির মৃত বাদশা সারাংয়ের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গভীর রাতে এমরান চৌধুরী ও তাঁর বাড়ির মুছার ছেলে আরিফ বুড়িপুকুরপাড় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পেছন দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির কাঠবোঝাই একটি চাঁদের গাড়ি তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে দুজনই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলটিও চাঁদের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।

আহত দুজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক এমরান চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কামাল ও চারিয়া এলাকার আবদুল মতিন রুবেল জানান, আরিফ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভাঙ্গায় মহাসড়কে মধ্যরাতে গাড়ির চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০২
গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।

গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত