Ajker Patrika

মনোহরদীতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ৩৭
মনোহরদীতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

নরসিংদীর মনোহরদীতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার অর্জুনচর গ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কামরুল আহসান কাজল (৫০) নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী এবং মনোহরদী-হেতিমদী সড়কের লাখপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে সোহেল নামে আরেক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়।

কাজল মিয়া মনোহরদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত শমসের আলীর ছেলে এবং সোহেল মিয়ার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

কাজল মিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ব্যবসার কাজে এক সঙ্গীসহ মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনি উপজেলার মৌলভীবাজার চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় অর্জুনচর মালেক মেম্বারের বাড়িসংলগ্ন কালভার্টের কাছে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির আরেকটি মোটরসাইকেল তাঁদের ধাক্কা দিলে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে কাজল মিয়া গুরুতর আহত হন। এ সময় উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাজল মিয়ার মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। দুর্ঘটনায় অন্য মোটরসাইকেলে থাকা ইসমাইল হোসেন (২০) ও তামিম (১৭) গুরুতর আহত হয়েছে।

অন্যদিকে মনোহরদীর হেতিমদী-সাগরদী সড়কের কালভার্ট নির্মাণকাজের রড সোজা করতে গিয়ে ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারে লেগে নির্মাণশ্রমিক সোহেল মিয়া বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন। নিহত শ্রমিকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, মনোহরদীর হেতিমদী-সাগরদী নতুন রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণকাজের শ্রমিক হিসেবে কাজে আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কলেজছাত্র সোহেল (১৭)। আজ সকাল ৭টার দিকে নির্মাণাধীন কালভার্টের রড সোজা করতে গিয়ে ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয় সে।

এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। তার সহকর্মী শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, নিহত শ্রমিক সোহেল গোমস্তাপুর পিএম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ছুটিতে সে এখানে বন্ধুদের সঙ্গে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসে।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতায়িত নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যুর পরপরই মরদেহ তার বাড়িতে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) নিয়ে গেছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার বিষয়টি কেউ জানায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

আজ দুপুরে এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেল অপারেশনের অবশিষ্ট সময় (রাত ১০টা ১০ মিনিট) পর্যন্ত ট্রেন এই স্টেশনে থামবে না।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় খাবার ভেবে বিষ খেল তিন বছরের শিশু, অবস্থা আশঙ্কাজনক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে খাবার ভেবে ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে মিম নামের তিন বছরের এক শিশু অসুস্থ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চণ্ডিগড় মউ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত শিশু মিম ওই গ্রামের শাফিউল্লাহর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় বসবাস করেন। গ্রামে নানির কাছে থাকত শিশু মিম। আজ দুপুরের দিকে বাড়িতে রাখা ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে সে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বমি শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা দীপা সরকার বলেন, শিশুটি খাবার ভেবে জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে ফেলে। হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত মমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় টানা ৫ দিন পর দেখা মিলল সূর্যের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রোদের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত কৃষক ও শ্রমজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনজীবন। বিশেষ করে, সকালে কাজে বেরিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন কৃষকেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, ‘টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।’ বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় গরু-ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।’ আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

গাইবান্ধা শহরের রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি। আজ সূর্য ওঠায় রাস্তাঘাটে লোকজন বের হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের বেলায় তা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরোর বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে।’ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত