Ajker Patrika

রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই, ক্লিনিকের ওটি সিলগালা

নড়াইল প্রতিনিধি 
নড়াইলে মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অভিযান চালায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়াইলে মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অভিযান চালায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়ার অভিযোগে একটি ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে এ ব্যবস্থা নিয়েছে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে সদরের সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তায় অবস্থিত ক্লিনিকটিতে অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে আবুল হাসনাত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। যার মধ্যে রয়েছে—ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক না থাকা, ডিপ্লোমাধারী সেবিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম। এ কারণে অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে ক্লিনিকের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপারেশন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লিনিকটিতে অস্ত্রোপচারের সময় সুমি খানম নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারীর ফুফাতো ভাই ইয়াজুর রহমান বাবু নড়াইলের সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগপত্রের সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর অন্তঃসত্ত্বা সুমি খানমকে মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বজনেরা। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নেওয়াজ মোর্শেদ, চিকিৎসক আল খাদিজা সম্পা, ক্লিনিকমালিক জাকির হোসেন, ম্যানেজার সুমন তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। পরে ১৩ হাজার টাকা চুক্তিতে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। নবজাতকের জন্মের পর রোগীর পেট ফুলে যায় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকদের অসুবিধার কথা জানালে তাঁরা জানান, রোগীর গ্যাসের ব্যথা রয়েছে। পরে ২৭ নভেম্বর ছাড়পত্র দেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর তাঁকে খুলনায় নেওয়া হয়। সেখানে গাজী মেডিকেল নামের এক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, সিজারিয়ান অপারেশনের সময় রোগীর পেটে নাড়ি কেটে যায়, ঘটনাটি জেনেও সঠিক চিকিৎসা না করে গজ দিয়ে নাড়ি চেপে সেলাই দেওয়া হয়, যার ফলে সেখানে পচন ধরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরের বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নাগেরহাট এলাকায় যমুনেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাগেরহাট সেতুর ওপর এ মানববন্ধন হয়। এতে এলাকার দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, যমুনেশ্বরী নদীর ওপর প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগেরহাট সেতুর নিচে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। এর ফলে মাদাই খামার, সোনাপাড়া ও নাগেরহাট ব্রিজসংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েছে।

বক্তাদের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতা এই বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং থানা-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেই বছরের পর বছর বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হচ্ছে। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আমিন সরকার বলেন, ‘পুলিশের টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফার্মগেটের সড়ক ছেড়েছেন তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সহপাঠীর মৃত্যুর জেরে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সহপাঠীর মৃত্যুর জেরে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর ফার্মগেটের সড়ক থেকে সরে গেছেন তেজগাঁও কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।

তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার মৃত্যুর জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সহপাঠীরা। বিক্ষোভে কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং আশ্বাস দেন, হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া কলেজের ভেতরের সমস্যাগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে একটি রাজনৈতিক দলের দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন, বহিরাগত ছাত্র রাখা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছিল। ৬ ডিসেম্বর রাতে হলে বসে মাদক সেবনের চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। এতে তিনজন আহত হন, যার মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের সাকিবুল হাসান রানা। সাকিবুল হাসান রানা চার দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার মারা যান।

অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মহিমান ফাহিম অভিযোগ করে বলেন,‘সাকিবুল হাসান রানাকে রাজনৈতিক সহিংসতার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অনুমতি না দিয়ে কলেজে তার জানাজা পড়তে দেওয়া হয়নি, তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছিলাম।’

তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোরশেদ আলম বলেন, ছাত্রাবাসে কিছু আবাসিক ও বাইরের লোক মাদক সেবন করছিল। রানা ও অন্যান্য শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাঁধে।

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই দিন ঘটনাস্থলে উত্তেজনার পর রানা মাথায় গুরুতর আঘাত পান। মরদেহ হাসপাতালে না জানিয়ে গাজীপুরে নেওয়া হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরির দায়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর এক দিন পরই পালাল কিশোর

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) থেকে এক কিশোর পালিয়ে গেছে। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে অভ্যন্তরীণ সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে পালায়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিশোরটি নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রটি যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় অবস্থিত। এর আগে ৯ ডিসেম্বর একটি চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তাকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়।

কেন্দ্র ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। অনেকেই খেলায় অংশ নেয়, কেউ কেউ ছিল দর্শক। দুপুর ১২টার দিকে খেলা শেষে খাবারের সময় কিশোরটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, খেলাধুলার একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে পালিয়ে যায় সে। পালানোর মুহূর্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা বিষয়টি টের পাননি। পরে নিয়মিত গণনার সময় একজন কম পাওয়া গেলে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় যে কিশোরটি কেন্দ্র থেকে পালিয়েছে। কীভাবে সে পালাতে সক্ষম হলো, নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল কি না—তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খেলাধুলা শেষে একজনকে কম পাওয়া যাওয়ার পর খোঁজাখুঁজি করা হয়। তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সিসি ক্যামেরায়ও পালানোর দৃশ্য ধরা পড়েনি। ধারণা করছি, প্রাচীর ডিঙিয়ে পালিয়েছে। ছেলেটি নতুন এসেছিল। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। পাশাপাশি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বাড়িতে ফিরলে তাকে আবার কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ বন্দী পালালেও নিরাপত্তায় ঘাটতি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘পালানো বন্দীকে আটক করতে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া ও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আশপাশের এলাকা, পরিবহন স্ট্যান্ড ও সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার স্থানগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোকে আগে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র বলা হতো। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত শিশু-কিশোরদের সাজার পরিবর্তে সংশোধনের জন্য ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে রাখা হয়। দেশে ছেলেদের জন্য দুটি ও মেয়েদের জন্য একটি—মোট তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। যশোর কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ২৬২ জন শিশু-কিশোর রয়েছে। এর আগে অন্তত সাত-আটবার বন্দী পালানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দেড় বছর পর আবার পালানোর ঘটনা ঘটল গতকাল।

এর আগে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর একসঙ্গে জানালা ভেঙে আট কিশোর পালানোর ঘটনা ঘটে। একই বছরের ১৩ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৮ বন্দী কিশোরকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে তিন কিশোর নিহত হন এবং ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ কর্মকর্তা ও সাত বন্দী কিশোরের নামে মামলা হয়। ওই ঘটনার পর কেন্দ্রটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় চলছে ১৫-২০ লাখ অটোরিকশা: নিসআ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকায় চলছে ১৫-২০ লাখ অটোরিকশা: নিসআ

প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২ লাখ থেকে বেড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সভায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতারা জানান, মহাসড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনার দু-তৃতীয়াংশই ঘটছে ধীর গতির অটোরিকশার জন্য। গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৫ হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে ২৫ হাজারের বেশি।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক শতাংশ ভুক্তভোগীই (৪৩৭ জন) ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি ৯৯ শতাংশ ভুক্তভোগী প্রচারের অভাবে এই সুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ বলেও জানায় নিসআ।

সভায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরিকল্পনা গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়। বাসমালিকদের রেষারেষি এবং প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা অকার্যকর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এখনো সনাতন হস্তচালিত পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিআরটিএ দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

সড়ক ও পরিবহনব্যবস্থা ‘সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ’ করার লক্ষ্যে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করে নিসআ। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও কার্যকর কমিশন গঠন করতে হবে, যেটি বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ করবে; আইন প্রয়োগ ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ করতে হবে; স্বাধীন নিরাপত্তা কমিশনের অধীনে সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি স্পষ্ট করতে হবে এবং নিয়মিত অডিট, অভিযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট কমানো।

এ ছাড়া সম্মিলিত পরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব করে নিসআ; যেখানে জাতীয় মানদণ্ড অনুযায়ী রুট রেশনালাইজেশন ও একীভূত গণপরিবহন নেটওয়ার্ক এবং বাস-রেল-নৌপথে ইন্টিগ্রেটেড মাস ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।

সড়কের নিরাপদ অবকাঠামো ও নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে জাতিসংঘের ‘সেফটি সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন।

সভায় সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতায় দীর্ঘমেয়াদি রোড সেফটি এডুকেশন প্রোগ্রাম গ্রহণ করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।

পরিবহনচালকদের দক্ষতা ঘাটতি লাইসেন্সিংয়ে অনিয়ম ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা সচেতনতার অভাবকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পেশাগত প্রশিক্ষণ ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শনাক্তকরণে প্রত্যেক চালকের ট্রেনিং, দুর্ঘটনার ইতিহাস রেকর্ডে রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব করে নিসআ।

সর্বজনীন গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয় সভায়।

দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীকে সহায়তার জন্য দ্রুত সাড়া প্রদানকারী রেসকিউ টিম, হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স নেটওয়ার্ক এবং সমন্বিত ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করে হয়।

সড়কের নিরাপত্তা শুধু একটি প্রশাসনিক বা প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সিদ্ধান্তের বিষয় বলেও জানান নিসআর নেতারা। তাঁদের প্রস্তাব—পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে আইন প্রয়োগে রাজনৈতিক চাপ দূর করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আহম্মেদ খোকন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর পাহাড়ি ভট্টাচার্য, বুয়েটের এআরআই বিভাগের শিক্ষক আরমানা সাবিহা হকসহ পরিবহন খাত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত