Ajker Patrika

প্রতিমন্ত্রীর চাচা অবসরে গিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতেন অফিস, শত কোটির সম্পত্তি

  • অভিযুক্ত অফিস সহায়ক বারেক সরকার সম্পর্কে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের চাচা
  • তাঁর নামে প্রতি দলিলে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ  
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৬
আব্দুল বারেক সরকার। ছবি: সংগৃহীত
আব্দুল বারেক সরকার। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন আব্দুল বারেক সরকার। ২০১৫ সালে অবসরে গিয়েও ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত সাবরেজিস্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। পটপরিবর্তনের পর ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাঁর নামে প্রতি দলিলে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারত না। কেননা বারেক সরকার সম্পর্কে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের চাচা। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সাবরেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নকলনবিশ থেকে পদোন্নতি পেয়ে তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক হয়েছিলেন আব্দুল বারেক সরকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারেক সরকারের বাবা এবং ময়মনসিংহ-২ (তারাকান্দা-ফুলপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বাবা মামাতো-ফুফাতো ভাই। প্রতিমন্ত্রীর প্রভাবের পাশাপাশি নিজেদের জায়গায় ভাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিস পরিচালিত হওয়ায় সেটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন বারেক সরকার। অবসরে গেলেও সেই নিয়ন্ত্রণ বজায় ছিল বলে জানিয়েছে দলিল লেখক সমিতি।

বারেক সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তারাকান্দা শহরে ৬০ শতাংশ জমি; উপজেলায় আড়াই একর কৃষিজমি, দুই একর জমির মধ্যে মৎস্যখামার, গ্রামের বাড়িতে বহুতল ভবন এবং ময়মনসিংহ শহরে শেয়ারে ছয়তলা বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে বারেক সরকারের। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম এলাকায় ৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন বারেক সরকারসহ তিনজন। বাড়ির কেয়ারটেকার মাঈন উদ্দিন বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ নেই। তবে বাড়িটির কাজ গত বছর সম্পন্ন হয়েছে। বাড়িটি বাবুল মিয়া সরকার তাঁর ভাই বারেক সরকার এবং তাঁদের ভাগনে আব্দুল করিম নির্মাণ করেছেন।

জমির দলিল করতে গিয়ে ঘুষ দিতে হওয়া ঢাকুয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন বলেন, ‘২০২৩ সালে ২০ শতাংশ জমির দলিল করতে আমার অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দলিল লেখক আমার কাছ থেকে বারেক সরকারের কথা বলে নিয়েছে। ওনার কথা বলায় আমি কাউকে না জানিয়ে চুপচাপ টাকাটা দিয়ে দিয়েছি। না হয় আমার দলিলটাই হতো না।’

স্থানীয় ফজর আলী বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বারেক সরকার যা করেছেন, তা বলার ভাষা রাখে না। আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনি। এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের খুঁজে বের করে বিচার করা হোক।’

তারাকান্দা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘২০১৮ সালে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। তার আগে থেকেই বারেক সরকারকে দেখেছি অফিস নিয়ন্ত্রণ করতে; যা সরকার পরিবর্তনের আগপর্যন্ত ছিল। তিনি অবসরে গেছেন কি না, আমরা তা জানতাম না। আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেওয়া আমার পক্ষে শোভা পায় না। তবে অফিশিয়াল সব কাজ বারেক সরকারই করেছেন।’

তবে আব্দুল বারেক সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কারও প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি-গাড়ি, জায়গা-জমি করিনি। ১১ বছরে মন্ত্রীর সঙ্গে দুই দিন দেখা হয়েছে, সে আমার দোয়া নিয়েছে। তাহলে তাঁর প্রভাব কেমনে খাটিয়েছি। চাকরির পাশাপাশি মাছ চাষ এবং গরুর খামার করে উপার্জন করেছি। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলেকে মানুষ করেছি মাত্র। সাবরেজিস্ট্রি অফিস আমাদের জায়গায় হওয়ায় মানুষ মনে করে প্রভাব বিস্তার করছি, আসলে তা কিন্তু না।’

তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার শেখ নাছিমুল আরিফ বলেন, ‘অফিসটি তাদের (বারেক সরকার) জায়গার মধ্যে। দোতলা ভবনের নিচতলায় আমাদের কার্যক্রম, আর ওপরের তলায় তিনি মাঝেমধ্যে যেতেন। তবে বারেক সরকার অবসরে যাওয়ার পর আমাদের অফিসে তাঁকে খুব একটা পাইনি।’

সাবরেজিস্ট্রার আরও বলেন, ‘দৈনিক ২৫-৩০টি দলিল হয়ে থাকে, যা নিয়ম মেনেই হয়। সেখানে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ২০২২ সালের আগে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’

ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন যখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়, তাহলে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন ২০০ কোটি টাকার মালিক হলে বিষয়টি আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।

এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।

রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।

বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’

জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত ৩২

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একযোগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের আলহাজ্ব মোড়ে পূর্বঘোষিত অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে ঈশ্বরদী-পাবনা ও ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, ‘দাবি জানানোর জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করিনি। তবে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা হয়নি।’

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়নি। তবে সড়ক অবরোধের কারণে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরে ১৯ মামলার আসামি ‘ত্রাস সোহাগ’ গ্রেপ্তার

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৪
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সোহাগ খান ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘ত্রাস সোহাগ’ হিসেবে পরিচিত।

পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার কাউরিয়া এলাকায় সোহাগের হাঁসের খামারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ তখন পালিয়ে যান। ওই খামার থেকে চায়নিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল, লোহার শাবল, ওয়াকিটকি, ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, করাত, জ্যাকেটসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে পুলিশ সোহাগের খোঁজ করতে থাকে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ বিকেলে সোহাগ খানকে প্যারিস রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত