Ajker Patrika

শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির তোরণের যে ব্যাখ্যা মিলল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ১৩: ০৯
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির তোরণের যে ব্যাখ্যা মিলল

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে অস্থায়ী তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় সংসদের বিরোধ দল জাতীয় পার্টি। স্থানীয় নেতারা বলছেন, বিকেলে শেখ হাসিনার সমাবেশে থাকবেন জাতীয় পার্টির কর্মীরাও। এ বিষয়ে দলের ভেতরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জাপার স্থানীয় নেতারা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও  কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। স্থানীয় নেতারা তোরণ লাগিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গেছেন দলীয় সভায়। আমরা তো বিরোধী দল, আমাদের তো এ রকম তোরণ লাগানোর কথা নয়। স্থানীয়ভাবে কেন এগুলো লাগানো হয়েছে তা আমরা দেখব।’

এ দিকে প্রায় সাড়ে চার বছর পর আজ শনিবার ময়মনসিংহে আসছেন শেখ হাসিনা। আজ বেলা ৩টা থেকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠের দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা ও নগরীর বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লক্ষাধিক ব্যানার, পোস্টার, তোরণ লাগিয়েছেন। জনসমাবেশস্থল ও শহরের প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সড়কে জাতীয় পার্টির কয়েকটি তোরণ দেখা গেছে।

বিরোধী দলের তোরণ নির্মাণের বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও দলটির মহাসচিবের মতো বক্তব্য দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তো আওয়ামী লীগের মিটিং। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। কারা, কোন গ্রুপ এই তোরণ নির্মাণ করেছে সেটাও জানি না।’

নগরীর কাচারি রোডে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি সুন্দর মহল। এই বাড়ির সামনেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের ছবি দিয়ে ওই তোরণে লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে, তিলোত্তমা নগরী আমার প্রাণের শহর ময়মনসিংহে আপনার আগমনে আমি উচ্ছ্বসিত।’ এতে আরও লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্রের তীরে আপনাকে স্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’

এসব তোরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব  মুজিবুল হক চুন্নুসহ জেলার নেতাদের ছবি রয়েছে। কাচারি রোড ছাড়াও টাউন হল মোড় গাঙিনার পাড়সহ বেশ কয়েকটি সড়কে তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় পার্টি।

ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আবদুল আউয়াল সেলিম বলেন, ‘ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য হচ্ছেন রওশন এরশাদ। এখানকার উন্নয়নের দাবিদার হচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই দাবিগুলো পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে আমাদের নেত্রী মনে করেন এই অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী। তাই ওনাকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিরোধীদলীয় নেতা। সে কারণে তাঁর নির্দেশে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণসহ বিলবোর্ড স্থাপন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানোর জন্যই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান জাপার এই নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীরাও জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানান সেলিম। ২০০৮ সাল থেকেই ময়মনসিংহ-৪ আসন তথা সদরের সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। এখানে তাঁকে ঘিরেই জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ-৪ আসনে অবস্থিত সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এই আসনটি বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আমাদের সবার প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর শহরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ স্বাগতম জানিয়েছেন।’

কাজী মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের তোরণের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতিতে একটি উদাহরণ তৈরি করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ময়মনসিংহে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিকশায় চড়ে ডিসি অফিসে মির্জা ফখরুল, জমা দিলেন মনোনয়নপত্র

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৭
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত ফারজানার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত ফারজানার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রিকশায় চড়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়া মহল্লার পৈতৃক বাসভবন থেকে বের হন মির্জা ফখরুল। প্রথমে তিনি জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিমকে সঙ্গে নিয়ে একটি রিকশায় চড়ে বসেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুলের রিকশা যখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়, তখন পেছনে হেঁটে অনুগমন করেন কয়েক শ দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ পেশাজীবী। বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছান।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত ফারজানা কার্যালয়ের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফরউল্লাহসহ স্থানীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার পেয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ায় আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

মির্জা ফখরুলের রিকশা যখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়, তখন পেছনে হেঁটে অনুগমন করেন কয়েক শ দলীয় নেতা-কর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা
মির্জা ফখরুলের রিকশা যখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়, তখন পেছনে হেঁটে অনুগমন করেন কয়েক শ দলীয় নেতা-কর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত হলে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের সামাজিক পরিবেশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়নে কাজ করব। বিশেষ করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমার অগ্রাধিকার থাকবে।’ এ সময় তিনি এলাকার মানুষের কাছে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট চেয়ে দোয়া কামনা করেন।

বিএনপি মহাসচিবের প্রস্থানের পর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও জেলার তিনটি আসনের জন্য তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

রাজধানীর বৃহত্তম কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে হামলার পর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

দুপুরে কিচেন মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এই হামলার প্রতিবাদে লাঠিমিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এখনো সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় শ্রমিকবাহী বাস উল্টে এক শ্রমিক নিহত, আহত ২০

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্রমিকবাহী বাস উল্টে এক শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের ভালুকা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টায় ভরাডোবা-ঘাটাইল সড়কের ভালুকা উপজেলার নারাঙ্গী হাইজ্যাক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন মিয়া ভালুকা উপজেলার উথুরা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কোনাবাকাইল থেকে ছেড়ে আসা নিঝুরী গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার একটি শ্রমিকবাহী বাস ভরাডোবা-ঘাটাইল সড়কের ভালুকা উপজেলার নারাঙ্গী হাইজ্যাক মোড় এলাকায় পৌঁছালে বাসটির চাকা পাংচার হয়ে উল্টে যায়। এতে কারখানার ইউনিট-৩-এর কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক সুমন মিয়াসহ (২৫) অন্তত ২১ জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমন মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জে বাসচাপায় পুলিশের কনস্টেবল নিহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি নড়াইল সদর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারি কাজে মোটরসাইকেলে নড়াইল সদর থানা থেকে মুকসুদপুর থানায় যাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম। পথে ভাঙ্গাপোল এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী বনফুল পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

নিহত রবিউল ইসলাম মুকসুদপুর উপজেলার নওহাটা গ্রামের বজলার রহমান ওরফে হিরু মিয়ার ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত