Ajker Patrika

ঘিয়ে ভাজা টক-মিষ্টি জিলাপি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭: ৫৫
ঘিয়ে ভাজা টক-মিষ্টি জিলাপি। প্রতিবছর রমজানে ইফতারসামগ্রী হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘিয়ে ভাজা টক-মিষ্টি জিলাপি। প্রতিবছর রমজানে ইফতারসামগ্রী হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্থানীয় ভোজনরসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ঘি দিয়ে ভাজা ময়মনসিংহের জাকির মামার টক-মিষ্টি জিলাপি। আর রমজানে ইফতারসামগ্রী হিসেবে এর চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রথম রোজা থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেককে এ জিলাপি কিনতে দেখা যায়। ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে হোটেল মেহেরবানে তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের টক-মিষ্টি জিলাপি।

কথা বলে জানা গেছে, আতপ চালের গুঁড়া, ময়দা, মাষকলাই ডালের গুঁড়া ও তেঁতুল গোলা পানি দিয়ে প্রথমে তৈরি হয় এ জিলাপির খামির। খামির এক দিন মজানোর পর জিলাপি তৈরি করে দুইবার তেলে ডুবিয়ে ভাজা হয়। পরে ডুবানো হয় ঘি মেশানো চিনির সিরায়।

মেহেরবান হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, তেল ও চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার জিলাপির দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। অন্য দিকে রেশমি ঘিয়ে ভাজা স্পেশাল জিলাপির দাম ৩৬০ টাকা কেজি। এই দাম নিয়ে ক্রেতাদের কেউ কেউ একটু অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এস এম মিন্টু নামে এক ক্রেতা বললেন, ‘১২ থেকে ১৫ বছর হবে, আমি এই টক-মিষ্টি জিলাপি কিনে খাচ্ছি। রমজান এলে প্রায়ই জিলাপি কেনা হয়। তবে এ বছর দাম একটু বেশি। দাম আরেকটু কমালে সীমিত আয়ের ক্রেতাদের জন্য ভালো হতো।’ মাহিয়া নামের আরেক নারী ক্রেতা বলেন, ‘এ জিলাপি ছাড়া এখন আমাদের পরিবারের ইফতার হয় না বললেই চলে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে হাফ কেজি স্পেশাল জিলাপি কিনেছি। এ জিলাপির স্বাদ ভিন্ন রকম। মচমচে হওয়ায় খেতে ভালো লাগে।’

হোটেল মেহেরবানের কর্মচারী ইব্রাহিম খলিল জানালেন, চাহিদামতো জিলাপি বানাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। প্রায়ই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে জিলাপি কিনতে পারছেন না। আসরের নামাজের পর থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমান।

আরেক কর্মী গোলাম মিয়া বললেন, ‘এ টক-মিষ্টি জিলাপি অনেকে নকল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারে নাই। এ জিলাপির বিশেষ খামির তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।’

হোটেল মেহেরবানের পরিচালক জাকির হোসেন বিশেষ এ জিলাপির গোড়ার কথা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘৩৩ বছর আগে এক দিন মুষলধারে বৃষ্টি নামে। ক্রেতা তেমন ছিল না। তাই জিলাপি না বানিয়ে খামিরটা রেখে দিই। পরদিন সেই খামির কিছুটা বাসি হয়ে একটু টক স্বাদ নেয়। পরে আরও কিছু প্রক্রিয়া করে ওই খামিরে জিলাপি বানাই। খেয়ে সবাই পছন্দ করেন। তখন থেকে ধীরে ধীরে এ জিলাপির পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত