Ajker Patrika

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৮৬ গুণ, স্ত্রীর বেড়েছে নগদ টাকা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৯
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৮৬ গুণ, স্ত্রীর বেড়েছে নগদ টাকা

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের সম্পত্তি গত ১৫ বছরে ৮৬ গুণ বেড়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫১২ টাকায়।

একই সময়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৩২ গুণ। ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। কৃষি খাত, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, মৎস্য খাত ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সম্মানী থেকে তাঁর এই আয় হয়। ২০০৮ সালে কৃষি ও ব্যবসায় প্রতিমন্ত্রীর ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা আয় ছিল।

গত নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা। তা ছাড়া ব্যবসাবহির্ভূত ১ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৩ টাকা।

ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আফরোজা হকের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ব্যবসা খাতে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং ব্যবসাবহির্ভূত ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৯ টাকা।

নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে হলফনামায় যে আর্থিক বিবরণ দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে প্রতিমন্ত্রীর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ফরিদুল হক খান দুলাল ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য হন তিনি। বর্তমান আমলে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারের হলফনামায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া স্থাবর সম্পত্তির হিসাবে ২ দশমিক ৩২ একর কৃষি ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ অকৃষি জমি দেখিয়েছেন ফরিদুল হক খান দুলাল। তবে এই সম্পদের মূল্য কত, তা উল্লেখ করেননি। ২০০৮ সালে নিজের কোনো গাড়ি না থাকলেও এবার ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে তাঁর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্বর্ণ ছিল ১৫ ভরি। মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকা। এবারের হলফনামায়ও একই পরিমাণ স্বর্ণের একই দাম ধরা হয়েছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮ টাকায়। হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৬ টাকা।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর গয়না ছিল ৩০ ভরি স্বর্ণ। দাম দেখানো হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। ১৫ বছর পরও একই দামে তাঁর স্ত্রীর গয়না একই পরিমাণ আছে।

২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকার। বর্তমানে তা বেড়ে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা হয়েছে।

নবম সংসদ নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর নামে নগদ ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ টাকা দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ৫ হাজার ২৭৯ টাকা।

উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম এইচএসসি পাস দুই কন্যাসন্তানের জনক ফরিদুল হক খান দুলাল মূলত পাট ব্যবসায়ী। ১৯৯০ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য হন।

একাদশ সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ফরিদুল হক খান দুলাল। টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাজারীবাগে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, পুলিশ বলছে পটকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বারইখালী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটেছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এটিকে শক্তিশালী পটকা বলে দাবি করেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী। তবে এতে তিনি আহত হননি।

‎ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বারইখালী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই ভবনটি মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ অন্যরা নির্মাণ করছেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তাঁর পাশেই পটকা জাতীয় কিছু ফাটিয়েছে।’

মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি, এটার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেখানে পরীক্ষা করছে। তবে এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন রাহমানির কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থ আছেন।’

জানা যায়, হাজারীবাগ বারইখালী এলাকায় মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীদের একটি ফাউন্ডেশনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলছিল। ওখানে প্রায়ই যাতায়াত করেন তিনি। তাঁর আত্মীয়-স্বজনরাও সেখানে থাকেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নির্মাণাধীন ভবনে জসীম উদ্দিন ঢোকার সময় পাঁচ থেকে সাত হাত দূরে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

জসীম উদ্দিন রাহমানি গত বছরের ২৬ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। জসীম উদ্দিন বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০২
সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রুমিন ফারহানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রুমিন ফারহানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আজ সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।

রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বোঝার বাইরে। আল্লাহর এই পরিকল্পনায় আমার বাবা ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন। রাব্বুল আলামিনের কী অদ্ভুত পরিকল্পনা, ২০২৬ এসে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র লড়াই করতে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া মানুষের বোঝার বাইরে। সুতরাং আমি দেখব, আল্লাহ কী পরিকল্পনা রাখেন।’

দলের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এত বড় দল, তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি। ৩০০ আসনের প্রার্থীরা আছে, জোটের সঙ্গে আলোচনা আছে, তাদের এখন অনেক কর্মব্যস্ততা। আমারও অনেক কর্মব্যস্ততা। আমাকে মানুষের প্রার্থী হিসেবে জিতে আসতে হবে।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে বিপুল কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছাড়াও অন্তত অর্ধডজন সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে এই আসনটি বিএনপি তাঁদের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। আসনটিতে বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গফরগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত: গতি কম থাকায় রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৭
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুর্ঘটনার সময় আন্তনগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে ছিল। তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন চালক আব্দুল হালিম।

তিনি বলেন, ‘আউটার সিগন্যালে ঝুঁকি থাকায় ট্রেনটি সেখানেই থামানোর কথা ছিল। থামানোর ১০০ গজ আগেই সেই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে পড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি। পরে নেমে দেখি ২০ মিটার রেললাইনের পাত অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে।’

আজ সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগে দুর্বৃত্তরা ২০ ফুট রেললাইনের পাত সরিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারাকান্দি থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন হয়ে ঢাকাগামী অগ্নিবীণা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সহস্রাধিক যাত্রী ছিলেন।

ট্রেনটির সহকারী চালক হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘কুয়াশার কারণে ট্রেনের গতি ছিল ৫০ কিলোমিটার। স্টেশনের আগে আউটার সিগনাল ঝুঁকি থাকায় সেখানে ট্রেনটি থামানোর কথা ছিল। যার কারণে গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হয়। ২০ কিলোমিটার গতি থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়। তখন বাসা থেকে উঠে দেখি যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নামছে। এমন কাজ করা মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যারা রেলের পাত কেটেছে তারা দেশের শত্রু। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আওয়ামী দোসরা এমন কাজ করে থাকতে পারে। বিএনপির পক্ষে এ কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসেছে। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। দুর্বৃত্তরা রেলের পাতা খুলে নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুর দুইটার মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। বিষয়টি জানাজানি হলে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকে রেললাইন অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫টি সাজাসহ ২৩টি ওয়ারেন্টে সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৭
হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তারকৃত এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তারকৃত এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিমকে পাঁচটি সাজাপ্রাপ্তসহ ২৩টি ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে তাঁকে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার মধ্যরাতে রংপুরের হাজিরহাট থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম হাতীবান্ধা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান যুবদল নেতা শামসুজ্জামান সেলিম বিভিন্নজনের কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। যা সময়মতো পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা একের পর এক মামলা দায়ের করেন। এভাবে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে পাঁচটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেন আদালত। পলাতক থাকায় সাজাপ্রাপ্তসহ ২৩টি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।

২৩টি ওয়ারেন্টের আসামি শামসুজ্জামান সেলিম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ রংপুরের হাজিরহাট থানা-পুলিশের সহায়তায় রোববার রাতে হাজিরহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে তাঁকে লালমনিরহাট আদালতে পাঠায় পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ জানান, শামসুজ্জামান সেলিমকে পাঁচটি সাজাসহ মোট ২৩টি ওয়ারেন্ট মূলে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত