জাহিদ হাসান, যশোর

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। চার মাসের বেশি সময় ঘরের ভেতরে মাচা করে বসবাস করে আসছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের রেখা মল্লিক। বোন ও এক ছেলে নিয়েই তাঁর সংসার। শুধু বাড়িই নয়; রেখার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ২ বিঘা আবাদি জমিও পানিতে ডুবে রয়েছে। তাই ফলেনি কোনো ফসল। কর্মহীন এই পরিবারে দারিদ্র্যের কারণে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবু রেখার সংগ্রামের কাছে জীবনের রং ফিকে হয়ে এলেও উৎসবের আমেজে ভাটা পড়তে দিচ্ছেন না। চারপাশে অথই পানি থাকলেও কমতি নেই আসন্ন দুর্গাপূজার আয়োজনে। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন ধর্মীয় রীতি রক্ষার।
রেখা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকাপয়সা নেই। বনজঙ্গল থেকে জোগাড় করে শাকভাত করেই খাচ্ছি। ধান-চাল কবে হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না। ভুঁই (জমি) থেকেও তো লাভ হচ্ছে না। সব জলের তলে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বছর আশা করে থাকি, মায়ের মুখটা দর্শনের। ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ করব, ভালোমন্দ খাব, সেটা তো আর হচ্ছে না। কী করে করব, টাকাপয়সা না থাকলি’
টানা চার মাসের বেশি সময় জলাবদ্ধতায় চরম সংকটে রয়েছেন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহবাসী। তারপরও নিরানন্দ পরিবেশে সামর্থ্য অনুযায়ী চলছে দুর্গাকে বরণ করার নানা আনুষ্ঠানিকতা। দুঃখ-দুর্দশায় দিন পার করা পরিবারগুলোও নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ধর্মীয় রীতি রক্ষার। পানি আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই মানুষেরা বলছেন, জাঁকজমক না হলেও সীমিত পরিসরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলবে মায়ের পূজা-অর্চনা।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদী নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে নদ দিয়ে পানি নামছে না। এই অঞ্চলে যত দূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। খেতের ফসল, ঘেরের মাছ— সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। কেড়ে নিয়েছে মানুষের থাকার জায়গাটুকুও। দুই শটি গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। হিন্দু-অধ্যুষিত ভবদহ এলাকায় আবহমানকাল থেকে জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন করা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পূজার আনন্দ নেই। যে কয়েকটি স্থানে হচ্ছে, তা-ও সীমিত।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, জেলায় ৭০৬টি পূজামণ্ডপে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্য ভবদহ এলাকায় ৩০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবদহ এলাকায় পূজার আনন্দ নেই। বাড়িতে বাড়িতে নেই প্রস্তুতিও। তবে কয়েকটি স্থানে সীমিত পরিসরে পূজামণ্ডপে প্রতিমা বসানো হয়েছে।
অভয়নগরের সুন্দলী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বালু দিয়ে উঁচু করে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে জাঁকজমক নেই। মানুষের বাড়ি বাড়ি জল। ফসল না হওয়া, মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি অভাব। তাই চাঁদা না দেওয়ায় সীমিত পরিসরে পূজা করা হচ্ছে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, ভবদহপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসব নেই। তাঁরা বাঁচতে চান। উৎসব না থাকলেও সরকারিভাবে নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদী পুনঃখনন করবে সেনাবাহিনী। পূজায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।
এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যশোরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। তিনি বলেন, পুরো জেলাকে চারটি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশের স্ট্রাইকিং টিম কাজ করবে।

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। চার মাসের বেশি সময় ঘরের ভেতরে মাচা করে বসবাস করে আসছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের রেখা মল্লিক। বোন ও এক ছেলে নিয়েই তাঁর সংসার। শুধু বাড়িই নয়; রেখার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ২ বিঘা আবাদি জমিও পানিতে ডুবে রয়েছে। তাই ফলেনি কোনো ফসল। কর্মহীন এই পরিবারে দারিদ্র্যের কারণে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবু রেখার সংগ্রামের কাছে জীবনের রং ফিকে হয়ে এলেও উৎসবের আমেজে ভাটা পড়তে দিচ্ছেন না। চারপাশে অথই পানি থাকলেও কমতি নেই আসন্ন দুর্গাপূজার আয়োজনে। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন ধর্মীয় রীতি রক্ষার।
রেখা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকাপয়সা নেই। বনজঙ্গল থেকে জোগাড় করে শাকভাত করেই খাচ্ছি। ধান-চাল কবে হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না। ভুঁই (জমি) থেকেও তো লাভ হচ্ছে না। সব জলের তলে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বছর আশা করে থাকি, মায়ের মুখটা দর্শনের। ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ করব, ভালোমন্দ খাব, সেটা তো আর হচ্ছে না। কী করে করব, টাকাপয়সা না থাকলি’
টানা চার মাসের বেশি সময় জলাবদ্ধতায় চরম সংকটে রয়েছেন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহবাসী। তারপরও নিরানন্দ পরিবেশে সামর্থ্য অনুযায়ী চলছে দুর্গাকে বরণ করার নানা আনুষ্ঠানিকতা। দুঃখ-দুর্দশায় দিন পার করা পরিবারগুলোও নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ধর্মীয় রীতি রক্ষার। পানি আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই মানুষেরা বলছেন, জাঁকজমক না হলেও সীমিত পরিসরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলবে মায়ের পূজা-অর্চনা।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদী নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে নদ দিয়ে পানি নামছে না। এই অঞ্চলে যত দূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। খেতের ফসল, ঘেরের মাছ— সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। কেড়ে নিয়েছে মানুষের থাকার জায়গাটুকুও। দুই শটি গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। হিন্দু-অধ্যুষিত ভবদহ এলাকায় আবহমানকাল থেকে জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন করা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পূজার আনন্দ নেই। যে কয়েকটি স্থানে হচ্ছে, তা-ও সীমিত।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, জেলায় ৭০৬টি পূজামণ্ডপে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্য ভবদহ এলাকায় ৩০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবদহ এলাকায় পূজার আনন্দ নেই। বাড়িতে বাড়িতে নেই প্রস্তুতিও। তবে কয়েকটি স্থানে সীমিত পরিসরে পূজামণ্ডপে প্রতিমা বসানো হয়েছে।
অভয়নগরের সুন্দলী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বালু দিয়ে উঁচু করে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে জাঁকজমক নেই। মানুষের বাড়ি বাড়ি জল। ফসল না হওয়া, মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি অভাব। তাই চাঁদা না দেওয়ায় সীমিত পরিসরে পূজা করা হচ্ছে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, ভবদহপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসব নেই। তাঁরা বাঁচতে চান। উৎসব না থাকলেও সরকারিভাবে নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদী পুনঃখনন করবে সেনাবাহিনী। পূজায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।
এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যশোরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। তিনি বলেন, পুরো জেলাকে চারটি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশের স্ট্রাইকিং টিম কাজ করবে।
জাহিদ হাসান, যশোর

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। চার মাসের বেশি সময় ঘরের ভেতরে মাচা করে বসবাস করে আসছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের রেখা মল্লিক। বোন ও এক ছেলে নিয়েই তাঁর সংসার। শুধু বাড়িই নয়; রেখার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ২ বিঘা আবাদি জমিও পানিতে ডুবে রয়েছে। তাই ফলেনি কোনো ফসল। কর্মহীন এই পরিবারে দারিদ্র্যের কারণে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবু রেখার সংগ্রামের কাছে জীবনের রং ফিকে হয়ে এলেও উৎসবের আমেজে ভাটা পড়তে দিচ্ছেন না। চারপাশে অথই পানি থাকলেও কমতি নেই আসন্ন দুর্গাপূজার আয়োজনে। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন ধর্মীয় রীতি রক্ষার।
রেখা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকাপয়সা নেই। বনজঙ্গল থেকে জোগাড় করে শাকভাত করেই খাচ্ছি। ধান-চাল কবে হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না। ভুঁই (জমি) থেকেও তো লাভ হচ্ছে না। সব জলের তলে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বছর আশা করে থাকি, মায়ের মুখটা দর্শনের। ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ করব, ভালোমন্দ খাব, সেটা তো আর হচ্ছে না। কী করে করব, টাকাপয়সা না থাকলি’
টানা চার মাসের বেশি সময় জলাবদ্ধতায় চরম সংকটে রয়েছেন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহবাসী। তারপরও নিরানন্দ পরিবেশে সামর্থ্য অনুযায়ী চলছে দুর্গাকে বরণ করার নানা আনুষ্ঠানিকতা। দুঃখ-দুর্দশায় দিন পার করা পরিবারগুলোও নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ধর্মীয় রীতি রক্ষার। পানি আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই মানুষেরা বলছেন, জাঁকজমক না হলেও সীমিত পরিসরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলবে মায়ের পূজা-অর্চনা।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদী নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে নদ দিয়ে পানি নামছে না। এই অঞ্চলে যত দূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। খেতের ফসল, ঘেরের মাছ— সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। কেড়ে নিয়েছে মানুষের থাকার জায়গাটুকুও। দুই শটি গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। হিন্দু-অধ্যুষিত ভবদহ এলাকায় আবহমানকাল থেকে জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন করা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পূজার আনন্দ নেই। যে কয়েকটি স্থানে হচ্ছে, তা-ও সীমিত।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, জেলায় ৭০৬টি পূজামণ্ডপে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্য ভবদহ এলাকায় ৩০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবদহ এলাকায় পূজার আনন্দ নেই। বাড়িতে বাড়িতে নেই প্রস্তুতিও। তবে কয়েকটি স্থানে সীমিত পরিসরে পূজামণ্ডপে প্রতিমা বসানো হয়েছে।
অভয়নগরের সুন্দলী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বালু দিয়ে উঁচু করে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে জাঁকজমক নেই। মানুষের বাড়ি বাড়ি জল। ফসল না হওয়া, মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি অভাব। তাই চাঁদা না দেওয়ায় সীমিত পরিসরে পূজা করা হচ্ছে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, ভবদহপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসব নেই। তাঁরা বাঁচতে চান। উৎসব না থাকলেও সরকারিভাবে নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদী পুনঃখনন করবে সেনাবাহিনী। পূজায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।
এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যশোরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। তিনি বলেন, পুরো জেলাকে চারটি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশের স্ট্রাইকিং টিম কাজ করবে।

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। চার মাসের বেশি সময় ঘরের ভেতরে মাচা করে বসবাস করে আসছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের রেখা মল্লিক। বোন ও এক ছেলে নিয়েই তাঁর সংসার। শুধু বাড়িই নয়; রেখার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ২ বিঘা আবাদি জমিও পানিতে ডুবে রয়েছে। তাই ফলেনি কোনো ফসল। কর্মহীন এই পরিবারে দারিদ্র্যের কারণে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। জলাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবু রেখার সংগ্রামের কাছে জীবনের রং ফিকে হয়ে এলেও উৎসবের আমেজে ভাটা পড়তে দিচ্ছেন না। চারপাশে অথই পানি থাকলেও কমতি নেই আসন্ন দুর্গাপূজার আয়োজনে। নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন ধর্মীয় রীতি রক্ষার।
রেখা মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকাপয়সা নেই। বনজঙ্গল থেকে জোগাড় করে শাকভাত করেই খাচ্ছি। ধান-চাল কবে হবে, তা তো বলা যাচ্ছে না। ভুঁই (জমি) থেকেও তো লাভ হচ্ছে না। সব জলের তলে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বছর আশা করে থাকি, মায়ের মুখটা দর্শনের। ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ করব, ভালোমন্দ খাব, সেটা তো আর হচ্ছে না। কী করে করব, টাকাপয়সা না থাকলি’
টানা চার মাসের বেশি সময় জলাবদ্ধতায় চরম সংকটে রয়েছেন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহবাসী। তারপরও নিরানন্দ পরিবেশে সামর্থ্য অনুযায়ী চলছে দুর্গাকে বরণ করার নানা আনুষ্ঠানিকতা। দুঃখ-দুর্দশায় দিন পার করা পরিবারগুলোও নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ধর্মীয় রীতি রক্ষার। পানি আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই মানুষেরা বলছেন, জাঁকজমক না হলেও সীমিত পরিসরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলবে মায়ের পূজা-অর্চনা।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদী নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে নদ দিয়ে পানি নামছে না। এই অঞ্চলে যত দূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। খেতের ফসল, ঘেরের মাছ— সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। কেড়ে নিয়েছে মানুষের থাকার জায়গাটুকুও। দুই শটি গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। হিন্দু-অধ্যুষিত ভবদহ এলাকায় আবহমানকাল থেকে জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন করা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পূজার আনন্দ নেই। যে কয়েকটি স্থানে হচ্ছে, তা-ও সীমিত।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্যমতে, জেলায় ৭০৬টি পূজামণ্ডপে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্য ভবদহ এলাকায় ৩০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবদহ এলাকায় পূজার আনন্দ নেই। বাড়িতে বাড়িতে নেই প্রস্তুতিও। তবে কয়েকটি স্থানে সীমিত পরিসরে পূজামণ্ডপে প্রতিমা বসানো হয়েছে।
অভয়নগরের সুন্দলী সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বালু দিয়ে উঁচু করে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে জাঁকজমক নেই। মানুষের বাড়ি বাড়ি জল। ফসল না হওয়া, মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি অভাব। তাই চাঁদা না দেওয়ায় সীমিত পরিসরে পূজা করা হচ্ছে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন জানান, ভবদহপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসব নেই। তাঁরা বাঁচতে চান। উৎসব না থাকলেও সরকারিভাবে নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদী পুনঃখনন করবে সেনাবাহিনী। পূজায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।
এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যশোরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। তিনি বলেন, পুরো জেলাকে চারটি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশের স্ট্রাইকিং টিম কাজ করবে।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

দোচালা টিনের ঘর। ঘরের চারপাশে কোমরপানি। কালচে রং ধারণ করা সেই পানিতে ভাসছে ছোট-বড় শেওলা। পানি ঢুকেছে রান্নাঘর, গোয়ালঘর, বসতঘরসহ সবখানে। সড়ক থেকে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে