Ajker Patrika

খুলনার ৬ আসন: বিএনপির মনোনয়ন-দৌড়ে যাঁরা

  • হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে।
  • কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত না করলে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার শঙ্কা।
  • ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চলছে।
  • মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে সবাই শতভাগ আশাবাদী।
শেখ আবু হাসান, খুলনা
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০২
খুলনার ৬ আসন: বিএনপির মনোনয়ন-দৌড়ে যাঁরা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাঁদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের আসনগুলোয় দলটি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে দলের মধ্যেই প্রার্থী হওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি রয়েছে দলীয় কোন্দল। কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান পাপুল। দলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

খুলনার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা-হরিণটানা ও লবণচরা থানা) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে জটিল সমীকরণের মুখে পড়েছে বিএনপি। এ আসনে দলীয় কোন্দল তীব্র। মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভেদের রাজনীতিতে এই দুই নেতা দলের দুটি অংশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

নগর বিএনপির সভাপতি মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে দলের হাইকমান্ড ও তারেক রহমানের প্রতি তিনি পূর্ণ আস্থাশীল। তাঁদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তাঁরা যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষেই তিনি কাজ করবেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছেন। সব গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনে যেসব নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন, তাঁরা আজ দলের মনোনয়ন চাইছেন। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এ বিষয় বিবেচনায় নেবেন।

মঞ্জু বলেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারকেদের ওপর আস্থাশীল। দল নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।

খালিশপুর, দৌলতপুর উপজেলা এবং আড়ংঘাটা ইউনিয়ন ও খানজাহান আলী থানার একাংশ নিয়ে খুলনা-৩ আসন। এখানে প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সব নেতাই তাঁর অনুসারী। কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান মজবুত। বর্তমানে এলাকায় বকুলের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।

তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও আসনটি থেকে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।

রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।

খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে তাঁর পক্ষে কাজ করতে অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। লবির পাশাপাশি তাঁকেও এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।

কয়রা-পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ও বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। প্রায়ই তাঁরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত