শেখ আবু হাসান, খুলনা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাঁদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের আসনগুলোয় দলটি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে দলের মধ্যেই প্রার্থী হওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি রয়েছে দলীয় কোন্দল। কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান পাপুল। দলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা-হরিণটানা ও লবণচরা থানা) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে জটিল সমীকরণের মুখে পড়েছে বিএনপি। এ আসনে দলীয় কোন্দল তীব্র। মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভেদের রাজনীতিতে এই দুই নেতা দলের দুটি অংশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নগর বিএনপির সভাপতি মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে দলের হাইকমান্ড ও তারেক রহমানের প্রতি তিনি পূর্ণ আস্থাশীল। তাঁদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তাঁরা যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষেই তিনি কাজ করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছেন। সব গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনে যেসব নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন, তাঁরা আজ দলের মনোনয়ন চাইছেন। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এ বিষয় বিবেচনায় নেবেন।
মঞ্জু বলেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারকেদের ওপর আস্থাশীল। দল নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
খালিশপুর, দৌলতপুর উপজেলা এবং আড়ংঘাটা ইউনিয়ন ও খানজাহান আলী থানার একাংশ নিয়ে খুলনা-৩ আসন। এখানে প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সব নেতাই তাঁর অনুসারী। কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান মজবুত। বর্তমানে এলাকায় বকুলের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।
তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও আসনটি থেকে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।
খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে তাঁর পক্ষে কাজ করতে অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। লবির পাশাপাশি তাঁকেও এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রা-পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ও বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। প্রায়ই তাঁরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাঁদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের আসনগুলোয় দলটি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে দলের মধ্যেই প্রার্থী হওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি রয়েছে দলীয় কোন্দল। কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান পাপুল। দলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা-হরিণটানা ও লবণচরা থানা) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে জটিল সমীকরণের মুখে পড়েছে বিএনপি। এ আসনে দলীয় কোন্দল তীব্র। মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভেদের রাজনীতিতে এই দুই নেতা দলের দুটি অংশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নগর বিএনপির সভাপতি মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে দলের হাইকমান্ড ও তারেক রহমানের প্রতি তিনি পূর্ণ আস্থাশীল। তাঁদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তাঁরা যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষেই তিনি কাজ করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছেন। সব গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনে যেসব নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন, তাঁরা আজ দলের মনোনয়ন চাইছেন। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এ বিষয় বিবেচনায় নেবেন।
মঞ্জু বলেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারকেদের ওপর আস্থাশীল। দল নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
খালিশপুর, দৌলতপুর উপজেলা এবং আড়ংঘাটা ইউনিয়ন ও খানজাহান আলী থানার একাংশ নিয়ে খুলনা-৩ আসন। এখানে প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সব নেতাই তাঁর অনুসারী। কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান মজবুত। বর্তমানে এলাকায় বকুলের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।
তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও আসনটি থেকে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।
খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে তাঁর পক্ষে কাজ করতে অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। লবির পাশাপাশি তাঁকেও এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রা-পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ও বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। প্রায়ই তাঁরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
শেখ আবু হাসান, খুলনা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাঁদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের আসনগুলোয় দলটি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে দলের মধ্যেই প্রার্থী হওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি রয়েছে দলীয় কোন্দল। কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান পাপুল। দলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা-হরিণটানা ও লবণচরা থানা) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে জটিল সমীকরণের মুখে পড়েছে বিএনপি। এ আসনে দলীয় কোন্দল তীব্র। মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভেদের রাজনীতিতে এই দুই নেতা দলের দুটি অংশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নগর বিএনপির সভাপতি মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে দলের হাইকমান্ড ও তারেক রহমানের প্রতি তিনি পূর্ণ আস্থাশীল। তাঁদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তাঁরা যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষেই তিনি কাজ করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছেন। সব গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনে যেসব নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন, তাঁরা আজ দলের মনোনয়ন চাইছেন। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এ বিষয় বিবেচনায় নেবেন।
মঞ্জু বলেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারকেদের ওপর আস্থাশীল। দল নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
খালিশপুর, দৌলতপুর উপজেলা এবং আড়ংঘাটা ইউনিয়ন ও খানজাহান আলী থানার একাংশ নিয়ে খুলনা-৩ আসন। এখানে প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সব নেতাই তাঁর অনুসারী। কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান মজবুত। বর্তমানে এলাকায় বকুলের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।
তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও আসনটি থেকে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।
খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে তাঁর পক্ষে কাজ করতে অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। লবির পাশাপাশি তাঁকেও এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রা-পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ও বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। প্রায়ই তাঁরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেনদরবার চালাচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাঁদের কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের আসনগুলোয় দলটি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে দলের মধ্যেই প্রার্থী হওয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি রয়েছে দলীয় কোন্দল। কোন্দল মিটিয়ে দ্রুত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে বিএনপির দুই নেতা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর রহমান পাপুল। দলে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা-হরিণটানা ও লবণচরা থানা) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে জটিল সমীকরণের মুখে পড়েছে বিএনপি। এ আসনে দলীয় কোন্দল তীব্র। মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিভেদের রাজনীতিতে এই দুই নেতা দলের দুটি অংশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নগর বিএনপির সভাপতি মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে দলের হাইকমান্ড ও তারেক রহমানের প্রতি তিনি পূর্ণ আস্থাশীল। তাঁদের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। তাঁরা যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষেই তিনি কাজ করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছেন। সব গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনে যেসব নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন, তাঁরা আজ দলের মনোনয়ন চাইছেন। দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এ বিষয় বিবেচনায় নেবেন।
মঞ্জু বলেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারকেদের ওপর আস্থাশীল। দল নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
খালিশপুর, দৌলতপুর উপজেলা এবং আড়ংঘাটা ইউনিয়ন ও খানজাহান আলী থানার একাংশ নিয়ে খুলনা-৩ আসন। এখানে প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সব নেতাই তাঁর অনুসারী। কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান মজবুত। বর্তমানে এলাকায় বকুলের প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।
তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও আসনটি থেকে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে কাজ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক।
খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে তাঁর পক্ষে কাজ করতে অন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। লবির পাশাপাশি তাঁকেও এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
কয়রা-পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ও বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। প্রায়ই তাঁরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাঁদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২২ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি।
০২ অক্টোবর ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি।
০২ অক্টোবর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি।
০২ অক্টোবর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২২ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থী চূড়ান্তের কার্যক্রম চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বসে নেই বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলটি বিভিন্ন আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। কিন্তু খুলনার ৬ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি।
০২ অক্টোবর ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২২ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে