সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: গতকাল গ্যাস লিকেজের জন্য তিতাস অতিরিক্ত গ্যাসের চাপকে দায়ী করেছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ লাইনে অতিরিক্ত গ্যাস থাকার কারণে গ্যাস লিক করেছে। এই ব্যাখ্যা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
ম তামিম: ঈদের ছুটির কারণে অধিকাংশ কলকারখানা ও গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় সরবরাহ লাইনে গ্যাস উদ্বৃত্ত ছিল। চাহিদা কমে যাওয়ার পরেও তিতাস গ্যাস সরবরাহ না কমানোয় গ্যাসের অতিরিক্ত প্রেশারে আগে ঢাকা শহরে যেসব ছোটখাটো লিকেজ ছিল, সেগুলো দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে গেছে। গতকাল গ্যাসের লিকেজ নিয়ে তিতাসের যে বক্তব্য, সেটা আমার মনে হয় যুক্তিযুক্ত।
আজকের পত্রিকা: আগে আমরা শুনতাম, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় গ্যাসের লিকেজ হচ্ছে। কিন্তু গতকাল (সোমবার) ঢাকার অধিকাংশ জায়গায় লিকেজ ধরা পড়ার কারণ কী?
ম তামিম: ঢাকা শহরে তিতাসের যেসব বিতরণ লাইন আছে, সেগুলো ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এই পুরোনো লাইনগুলো নিয়মিত সংস্কার করা দরকার। কিন্তু তিতাস সেটা করে না। এর ফলে যেটা হয়েছে, আগে কোনো জায়গায় ছোটখাটো লিকেজ থাকলেও পাইপ লাইনে গ্যাসের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকার কারণে গ্যাসের প্রেশার ছিল কম। ফলে ওই সব ছোটখাটো ফুটো দিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস বের হয়ে যায়নি। কিন্তু গতকাল সরবরাহ লাইনে অতিরিক্ত গ্যাসের চাপ থাকায় পুরো ঢাকা শহরে থাকা অসংখ্য ফুটো দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে গেছে। আগে ছোটখাটো লিকেজ অথবা সরবরাহ লাইনে জং ধরে থাকলে, সেগুলো গতকাল গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এক্সপোজ হয়ে গেছে।
আজকের পত্রিকা: গ্যাসের এই লিকেজ আমাদের সরবরাহ লাইনের বড় দুর্বলতাকে ফুটিয়ে তুলেছে কি না?
ম তামিম: তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইনে লিকেজ আছে, সেটা আমরা আগে থেকে জানতাম। গতকালের ঘটনা লিকেজের ব্যাপকতাকে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। কাল ঢাকা শহরে যেভাবে লিকেজ ধরা পড়েছে, সেটা একটা বিশাল বিপদের কারণ হতে পারত। গ্যাস সরবরাহ লাইনের দীর্ঘদিনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গতকাল এ ঘটনা ঘটেছে। গতকালের ঘটনায় আমাদের গ্যাস সরবরাহ লাইনে যে প্রচুর লিকেজ আছে, সেটার একটা পরীক্ষাও হয়ে গেল।
আজকের পত্রিকা: ঢাকা শহর এমনিতেই একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ভূমিকম্পের সময় গ্যাসের লাইন এমনিতে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। তার ওপর তিতাসের লাইনের যে ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেটা নাগরিক নিরাপত্তায় বড় একটা হুমকি কি না?
ম তামিম: ভূমিকম্পের সময় গ্যাসের লাইন সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। তার ওপর আমরা গতকাল দেখলাম, ঢাকা শহরের সব জায়গায় তিতাসের সরবরাহ লাইনে প্রচুর ফুটো রয়েছে। তিতাসের সরবরাহ লাইনের বর্তমান যে অবস্থা, তার ওপর যদি ভূমিকম্প হয়, তাহলে ঢাকা শহরে বড় বিপদ, যেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে। ভূমিকম্পের সময় মূল সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিতে হয়। আমি জানি না, তিতাসের সে রকম কোনো ব্যবস্থা আছে কি না। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিতাস কীভাবে গ্যাস সরবরাহ লাইন ম্যানেজ করবে, সে রকম প্রস্তুতি তাদের থাকা উচিত। অনেক ভালো ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও ভূমিকম্পের সময় গ্যাস সরবরাহ লাইনে আগুন ধরে যায়। সরবরাহ লাইনে আমাদের মতো দুরবস্থা থাকলে আর তো কোনো কথা নেই।
আজকের পত্রিকা: গ্যাস সরবরাহ লাইনে তিতাসের দুর্বলতা আছে, সেটা সবাই জানে। কিন্তু তারপরও সরবরাহ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভার হোলিংয়ের জন্য তিতাস কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে?
ম তামিম: আমরা দেখে আসছি, তিতাস সব সময় অ্যাডহক বেসিসে কাজ করে। কোথাও একটা লাইনে ফুটো দেখা গেছে, কোনো গ্রাহক অভিযোগ করলে তিতাস সেখানে সাময়িকভাবে সেই ফুটো সংস্কার করে। গ্যাস সরবরাহ লাইন আমূল সংস্কার করার কোনো পদক্ষেপ আমরা এখনো তিতাসের পক্ষ থেকে দেখিনি। আমরা অনেক দিন ধরে দেখে আসছি, তিতাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ করবে কি না, সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিতাসের উচিত সরবরাহ লাইনে গ্যাসের সরবরাহ বিষয়ে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরবরাহ লাইন সংস্কার করা। গ্যাস সরবরাহ লাইনে এখন যে অবস্থা, তাতে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গতকালের ঘটনায় দেখা গেল, তিতাস গ্যাসের লিকেজ বন্ধ করার জন্য সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে আপাতত আর কোনো টেকসই পদক্ষেপ তিতাস নিতে পারে কি না?
ম তামিম: গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে পাইপলাইনের লিকেজ বন্ধ করার যে পদক্ষেপ তিতাস গতকাল নিয়েছে, সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য নিতে পারে। তবে সেটা কোনো টেকসই পদক্ষেপ নয়। বাসাবাড়িতে এক-দেড় ইঞ্চির ছোট ছোট সরবরাহ লাইনের পাশাপাশি যেসব বড় লাইন আছে, সেগুলোর লিকেজ চিহ্নিত করে তিতাসকে বন্ধ করার উপায় বের করতে হবে। ঢাকা শহরে কোথায় লিকেজ আছে, সেটা বের করতে তিতাসের উচিত প্রথমে ম্যাপিং করা, যাতে তারা সরবরাহ লাইনের লিকেজ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটা চিত্র পায়।
আজকের পত্রিকা: দেশের গ্যাস-সংকট নিরসনে জনগণের টাকা ব্যয় করে অতিরিক্ত দামে বিদেশ থেকে এলএনজি নিয়ে আসছে সরকার। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, লিকেজের কারণে মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের প্রায় ২ শতাংশ অপচয় হয়, যা প্রায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট। একদিকে বেশি দামে গ্যাস আনছি, অন্যদিকে আমরা অপচয়ও করছি।
ম তামিম: কিছুদিন আগেও আমরা টাকার অভাবে গ্যাস আনতে পারিনি। তিতাসের অদক্ষতার কারণে আমাদের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। লিকেজের কারণে প্রায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে। তিতাসের গ্যাস চুরি মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সিস্টেম লসে যাচ্ছে। এটা আমাদের জ্বালানি খাতের জন্য অনেক বড় বোঝা। তিতাস যদি সরবরাহ লাইনের লিকেজগুলো সংস্কার না করে, তাহলে প্রতি বছর কয়েক শ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হবে। আবার এলএনজি এনে অপচয় করার মতো বিলাসিতাও আমাদের মানায় না। তিতাসের উচিত ফরেন কারেন্সি সাশ্রয়ে গ্যাস অপচয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন:

আজকের পত্রিকা: গতকাল গ্যাস লিকেজের জন্য তিতাস অতিরিক্ত গ্যাসের চাপকে দায়ী করেছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ লাইনে অতিরিক্ত গ্যাস থাকার কারণে গ্যাস লিক করেছে। এই ব্যাখ্যা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
ম তামিম: ঈদের ছুটির কারণে অধিকাংশ কলকারখানা ও গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় সরবরাহ লাইনে গ্যাস উদ্বৃত্ত ছিল। চাহিদা কমে যাওয়ার পরেও তিতাস গ্যাস সরবরাহ না কমানোয় গ্যাসের অতিরিক্ত প্রেশারে আগে ঢাকা শহরে যেসব ছোটখাটো লিকেজ ছিল, সেগুলো দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে গেছে। গতকাল গ্যাসের লিকেজ নিয়ে তিতাসের যে বক্তব্য, সেটা আমার মনে হয় যুক্তিযুক্ত।
আজকের পত্রিকা: আগে আমরা শুনতাম, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় গ্যাসের লিকেজ হচ্ছে। কিন্তু গতকাল (সোমবার) ঢাকার অধিকাংশ জায়গায় লিকেজ ধরা পড়ার কারণ কী?
ম তামিম: ঢাকা শহরে তিতাসের যেসব বিতরণ লাইন আছে, সেগুলো ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এই পুরোনো লাইনগুলো নিয়মিত সংস্কার করা দরকার। কিন্তু তিতাস সেটা করে না। এর ফলে যেটা হয়েছে, আগে কোনো জায়গায় ছোটখাটো লিকেজ থাকলেও পাইপ লাইনে গ্যাসের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকার কারণে গ্যাসের প্রেশার ছিল কম। ফলে ওই সব ছোটখাটো ফুটো দিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস বের হয়ে যায়নি। কিন্তু গতকাল সরবরাহ লাইনে অতিরিক্ত গ্যাসের চাপ থাকায় পুরো ঢাকা শহরে থাকা অসংখ্য ফুটো দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে গেছে। আগে ছোটখাটো লিকেজ অথবা সরবরাহ লাইনে জং ধরে থাকলে, সেগুলো গতকাল গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এক্সপোজ হয়ে গেছে।
আজকের পত্রিকা: গ্যাসের এই লিকেজ আমাদের সরবরাহ লাইনের বড় দুর্বলতাকে ফুটিয়ে তুলেছে কি না?
ম তামিম: তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইনে লিকেজ আছে, সেটা আমরা আগে থেকে জানতাম। গতকালের ঘটনা লিকেজের ব্যাপকতাকে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। কাল ঢাকা শহরে যেভাবে লিকেজ ধরা পড়েছে, সেটা একটা বিশাল বিপদের কারণ হতে পারত। গ্যাস সরবরাহ লাইনের দীর্ঘদিনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গতকাল এ ঘটনা ঘটেছে। গতকালের ঘটনায় আমাদের গ্যাস সরবরাহ লাইনে যে প্রচুর লিকেজ আছে, সেটার একটা পরীক্ষাও হয়ে গেল।
আজকের পত্রিকা: ঢাকা শহর এমনিতেই একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ভূমিকম্পের সময় গ্যাসের লাইন এমনিতে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। তার ওপর তিতাসের লাইনের যে ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেটা নাগরিক নিরাপত্তায় বড় একটা হুমকি কি না?
ম তামিম: ভূমিকম্পের সময় গ্যাসের লাইন সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। তার ওপর আমরা গতকাল দেখলাম, ঢাকা শহরের সব জায়গায় তিতাসের সরবরাহ লাইনে প্রচুর ফুটো রয়েছে। তিতাসের সরবরাহ লাইনের বর্তমান যে অবস্থা, তার ওপর যদি ভূমিকম্প হয়, তাহলে ঢাকা শহরে বড় বিপদ, যেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে। ভূমিকম্পের সময় মূল সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিতে হয়। আমি জানি না, তিতাসের সে রকম কোনো ব্যবস্থা আছে কি না। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিতাস কীভাবে গ্যাস সরবরাহ লাইন ম্যানেজ করবে, সে রকম প্রস্তুতি তাদের থাকা উচিত। অনেক ভালো ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও ভূমিকম্পের সময় গ্যাস সরবরাহ লাইনে আগুন ধরে যায়। সরবরাহ লাইনে আমাদের মতো দুরবস্থা থাকলে আর তো কোনো কথা নেই।
আজকের পত্রিকা: গ্যাস সরবরাহ লাইনে তিতাসের দুর্বলতা আছে, সেটা সবাই জানে। কিন্তু তারপরও সরবরাহ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভার হোলিংয়ের জন্য তিতাস কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে?
ম তামিম: আমরা দেখে আসছি, তিতাস সব সময় অ্যাডহক বেসিসে কাজ করে। কোথাও একটা লাইনে ফুটো দেখা গেছে, কোনো গ্রাহক অভিযোগ করলে তিতাস সেখানে সাময়িকভাবে সেই ফুটো সংস্কার করে। গ্যাস সরবরাহ লাইন আমূল সংস্কার করার কোনো পদক্ষেপ আমরা এখনো তিতাসের পক্ষ থেকে দেখিনি। আমরা অনেক দিন ধরে দেখে আসছি, তিতাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ করবে কি না, সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিতাসের উচিত সরবরাহ লাইনে গ্যাসের সরবরাহ বিষয়ে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরবরাহ লাইন সংস্কার করা। গ্যাস সরবরাহ লাইনে এখন যে অবস্থা, তাতে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গতকালের ঘটনায় দেখা গেল, তিতাস গ্যাসের লিকেজ বন্ধ করার জন্য সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে আপাতত আর কোনো টেকসই পদক্ষেপ তিতাস নিতে পারে কি না?
ম তামিম: গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে পাইপলাইনের লিকেজ বন্ধ করার যে পদক্ষেপ তিতাস গতকাল নিয়েছে, সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য নিতে পারে। তবে সেটা কোনো টেকসই পদক্ষেপ নয়। বাসাবাড়িতে এক-দেড় ইঞ্চির ছোট ছোট সরবরাহ লাইনের পাশাপাশি যেসব বড় লাইন আছে, সেগুলোর লিকেজ চিহ্নিত করে তিতাসকে বন্ধ করার উপায় বের করতে হবে। ঢাকা শহরে কোথায় লিকেজ আছে, সেটা বের করতে তিতাসের উচিত প্রথমে ম্যাপিং করা, যাতে তারা সরবরাহ লাইনের লিকেজ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটা চিত্র পায়।
আজকের পত্রিকা: দেশের গ্যাস-সংকট নিরসনে জনগণের টাকা ব্যয় করে অতিরিক্ত দামে বিদেশ থেকে এলএনজি নিয়ে আসছে সরকার। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, লিকেজের কারণে মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের প্রায় ২ শতাংশ অপচয় হয়, যা প্রায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট। একদিকে বেশি দামে গ্যাস আনছি, অন্যদিকে আমরা অপচয়ও করছি।
ম তামিম: কিছুদিন আগেও আমরা টাকার অভাবে গ্যাস আনতে পারিনি। তিতাসের অদক্ষতার কারণে আমাদের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। লিকেজের কারণে প্রায় ৬ মিলিয়ন ঘনফুট প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে। তিতাসের গ্যাস চুরি মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সিস্টেম লসে যাচ্ছে। এটা আমাদের জ্বালানি খাতের জন্য অনেক বড় বোঝা। তিতাস যদি সরবরাহ লাইনের লিকেজগুলো সংস্কার না করে, তাহলে প্রতি বছর কয়েক শ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হবে। আবার এলএনজি এনে অপচয় করার মতো বিলাসিতাও আমাদের মানায় না। তিতাসের উচিত ফরেন কারেন্সি সাশ্রয়ে গ্যাস অপচয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৪ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৮ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১৩ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।
যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—
জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।
যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—
১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।
২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।
৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।
৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।
৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।
১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।
পার্কিং ব্যবস্থা—
১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।
২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
সূত্র: বাসস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।
যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—
জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।
যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—
১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।
২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।
৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।
৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।
৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।
১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।
পার্কিং ব্যবস্থা—
১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।
২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
সূত্র: বাসস

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেছেন, তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইন বেশ পুরোনো, সেটা জেনেও তিতাস তাদের গ্যাস সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে না। তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে গতকাল রাতের ঘটনা ঘটেছে
২৫ এপ্রিল ২০২৩
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৮ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১৩ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা।
একই কথা জানান সদর উপজেলার আরেক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।
ঠাকুরগাঁও ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা।
একই কথা জানান সদর উপজেলার আরেক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।
ঠাকুরগাঁও ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেছেন, তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইন বেশ পুরোনো, সেটা জেনেও তিতাস তাদের গ্যাস সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে না। তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে গতকাল রাতের ঘটনা ঘটেছে
২৫ এপ্রিল ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৪ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১৩ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেজীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, তবে আর্দ্রতা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে।
এই হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

ভ্যানচালক রনি আহমেদ বলেন, ‘ভোরে রাস্তায় নামতেই গা জমে যায়। কাজ না করলে খাওন জোটে না, আবার এই শীতে শরীরও সয় না।’
দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়লে কাজ কমে যায়। কাজ না থাকলে খাওন জোটে না। গরিব মানুষের শীতটা সবচেয়ে বেশি কষ্টের।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শীত আরও তীব্র হওয়ার আগেই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রয়োজন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমীন বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। ছিন্নমূল, গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কম্বল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, তবে আর্দ্রতা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে।
এই হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

ভ্যানচালক রনি আহমেদ বলেন, ‘ভোরে রাস্তায় নামতেই গা জমে যায়। কাজ না করলে খাওন জোটে না, আবার এই শীতে শরীরও সয় না।’
দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়লে কাজ কমে যায়। কাজ না থাকলে খাওন জোটে না। গরিব মানুষের শীতটা সবচেয়ে বেশি কষ্টের।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শীত আরও তীব্র হওয়ার আগেই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রয়োজন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমীন বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। ছিন্নমূল, গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কম্বল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেছেন, তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইন বেশ পুরোনো, সেটা জেনেও তিতাস তাদের গ্যাস সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে না। তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে গতকাল রাতের ঘটনা ঘটেছে
২৫ এপ্রিল ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৪ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৮ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেছেন, তিতাসের গ্যাস সরবরাহ লাইন বেশ পুরোনো, সেটা জেনেও তিতাস তাদের গ্যাস সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে না। তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে গতকাল রাতের ঘটনা ঘটেছে
২৫ এপ্রিল ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৪ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৮ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১৩ মিনিট আগে