শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অবিলম্বে কমিটি বিলুপ্তির দাবি একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠনসহ পাঁচ দফা দাবি জানান। একই সঙ্গে দাবি আদায়ের জন্য ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক ভিত্তিতে মোট ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ ও তাঁদের মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় দরপত্র জমা না পড়ায় বাংলা ১৪৩২ সালের হাটবাজার ইজারায় ১২টি হাটবাজার খাস আদায়ে উন্মুক্ত ডাক হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে খাস আদায়ে এ ডাক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৩ বছরে হাটবাজার ইজারার গড় টাকার ৬ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে সম্প্রতি নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইজারা দরপত্র...
৩ ঘণ্টা আগে১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
৯ ঘণ্টা আগে