Ajker Patrika

জল ও যানজটে দিনভর ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী, ঘটেছে প্রাণহানিও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ২৪
গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ ঢাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ ঢাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

টানা ভারী বর্ষণে আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী শহর ঢাকা। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে গলিপথে জমেছে হাঁটু থেকে কোমরপানি।

বৃষ্টি ও জলজটে সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ। রাস্তায় সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও অনেক যাত্রী পাননি কোনো বাহন। আবার সড়কে জমে থাকা পানিতে প্রাইভেট কার ও বাস আটকা পড়ে। অনেক যানবাহন বিকল হয়ে সড়কেরই দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে অনেকে কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি।

মেরুল বাড্ডায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য অপেক্ষারত ব্যাংক কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, ‘বাসার সামনে পানি জমে আছে। বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়েছে। এখন আবার এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অটোরিকশা পাচ্ছি না।’

গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ ঢাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ ঢাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৃষ্টি ও জলজটের কারণে রিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোতেও ভাড়া বেশি দেখাচ্ছে। জিগাতলার বেসরকারি চাকরিজীবী তৈমুর আলম বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং অ্যাপে প্রতিদিন দেড় শ টাকার মধ্যে সেগুনবাগিচায় পৌঁছাতে পারি। আজ ৩০০ টাকায়ও বাইক পাওয়া যাচ্ছে না।’

দ্বিগুণ ভাড়ার নিচে রিকশাচালকেরা যেতে রাজি হচ্ছেন না বলে জানান শংকরের বাসিন্দা ফারিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তায় পানি জমে আছে। এই সুযোগে রিকশাভাড়া দু-তিন গুণ বেড়ে গেছে। ৩০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা নিচ্ছে।

জলাবদ্ধতা

অন্যদিকে রিকশাচালকেরা জানান, জলজটের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে। তাই ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। জিগাতলার রিকশাচালক কলিম মিয়া বলেন, ‘পানির মইদ্দে কাচভাঙা, লোহাভাঙা—কত কিছু থাকে। কোনোরকমে আমার পা কাডলে হাজার টাকার মামলা—সেলাই, ডাক্তার, ওষুধ। আর রিকশার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাইলে তো কোনো কথাই নাই। মহাজনরে রক্ত বেইচ্চা হইলেও টাহা দেওন লাগব। ভাড়া তো আমরা এমনে এমনে বেশি নিই না।’

বৃষ্টি ও জলজটের কারণে শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন দুর্ভোগে। অনেক স্কুল-কলেজে পরীক্ষা চলমান থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ভেজা কাপড়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হয়েছে। গলিপথে পানিতে নেমে অনেককে জুতা হাতে নিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে।

rain-2

অনেক এলাকায় বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ায় পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। মালিবাগ, মগবাজার, হাতিরঝিল, বাড্ডা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকার বেশ কিছু অংশ, খিলগাঁওয়ের মতো এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে জলজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

টানা বর্ষণে শুধু নাগরিক ভোগান্তিই নয়, এতে যোগ হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষতিও। বাজারে পণ্য পরিবহনে দেরি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দোকান ও শপিং মলে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে পণ্যসামগ্রী। দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজের জন্য বের হতে না পারায় তাঁদের আয়ও ব্যাহত হয়েছে।

জলজটের কারণে প্রাণহানিও ঘটেছে। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার এলাকায় রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আমিন (৩০) নামের বাইসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বেকারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীতে জলজটের চিত্র নতুন নয়। বছরের পর বছর নানা উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ব্যয় হলেও সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।

রামপুরার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী তানভির রহমান বলেন, ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনা এই জলজটের কারণ—এ কথা শুনতে শুনতে আমরা অতিষ্ঠ। সিটি করপোরেশন বলে ওয়াসার দোষ। ওয়াসা বলে করপোরেশনের দোষ। আমাদের দেশে বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি—সবই হবে। একটা রাজধানী শহরে এটার স্থায়ী সমাধান হবে না কেন?’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। আর কিছু এলাকায় পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারক করা হচ্ছে।

rain-3

ডিএসসিসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা এবং ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কেবল রাজধানী ঢাকাতেই বৃষ্টি হয়েছে ১০৫ মিলিমিটার। এর মধ্যে গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার। আজ সারা দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি হয়েছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে। কারণ, মৌসুমি বায়ু সারা দেশে সক্রিয় রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় বেশি। আজকের সারা দিন বৃষ্টি হলেও কাল থেকে (২৩ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি কমে আসবে। বৃষ্টি কমে গেলে এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ আরও জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের দিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত