হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ), ফরিদপুর

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে..., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রাজনীতি করত কি না আমরা আগে জানতাম না। আমরা জানতাম ও খালি পড়ে, ও পড়বা লাগছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের মা আসমা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গেলে কথা হয় মোস্তাফিজুর রহমানের মায়ের সঙ্গে।
মোস্তাফিজ ওই এলাকার হতদরিদ্র মজিবুর রহমান খানের ছেলে। সরকারি উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ছোট ঘরে তাঁর মাসহ ছোট দুই ভাইবোন থাকে। জমিজমা কিছুই নেই তাঁদের। বাবা মজিবুর রহমান ঢাকায় একটি ফলের আড়তে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। কোনো রকম বাবার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার ও তাঁর পড়ালেখা।
তবে তাঁর দাদা মরহুম মোমরেজ খান একসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছোট চাচা বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তাঁর চাচা বলেন, ‘ওর বাবা অন্যের দোকানে কাজ করে ও মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় ওর পড়ালেখা চালাইতো। ও কেমনে কী রাজনীতি ঢুকছে আমরা জানি না। এলাকায় কোনো রাজনীতি করত না। সকলেই ওরে ভদ্র হিসেবে জানত।’
মোস্তাফিজদের বাড়িতে গেলে ঘরের এককোণে মা আসমা বেগমকে বিলাপ করতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে ডেবে গেছে তার মায়ের কণ্ঠস্বর। কেঁদে কেঁদে তাঁর মা ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলেডারে কেউ খারাপ কইতে পারবে না, কেউ কবার পারবে না। মানুষের একটা সাইড না একটা সাইড খারাপ থাকে। আমার ছেলে কোনো সাইড খারাপ না। আমার ছেলে এক্কেবারে নির্দোষ বাবা, আমার ছেলের কোনো দোষ নাই। এসব সাজানো, আপনার তদন্ত করে দেখেন। ও জড়িত না, ও জড়িত থাকতে পারে না, আমার বিশ্বাস হয় না।’
মোস্তাফিজুর রহমান নিজ গ্রামে সবার কাছে জয় নামে পরিচিত। স্থানীয় আব্দুল্লাহবাদ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান।
নিজ গ্রামের সবাই তাঁকে নিয়ে গৌরব করত। একজন নম্র-ভদ্র ও বিনয়ী ছেলে হিসেবে সবাই তাঁকে জানে। তাঁর বাবাও একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক তারা। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না এলাকাবাসী।
স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই এলাকায় ওর মতো নম্র-ভদ্র ছেলে নাই। ও খেলাধুলাও করতে যায়নি কখনো, সব সময় পড়ালেখা করত। কখনো কারও সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখি নাই। কিন্তু কীভাবে এ ঘটনায় জড়ায় গেছে, আল্লাহপাক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এ ঘটনা টিভিতে দেখার পর ওদের চোখের পানি কেউ ধরে রাখতে পারতেছে না। আমরা বিশ্বাস করি না ও এমন কাজ করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

আলান খান নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওর বাবা ফলের দোকানে কাজ করে। খুব পরিশ্রম করে ছেলে পড়ালেখা করাইছে। ওরা খুবই গরিব, খুব কষ্ট করে ছেলেডারে মানুষ করছিল। ওর ওপরেই ওর বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ পর্যন্ত শুনি নাই অমুক জায়গা অমুকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে।’
কথা-কাটাকাটির জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোস্তাফিজকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁরা ফুফু সিনহা বেগম দাবি করেন। মোস্তাফিজের বন্ধুদের বরাদ দিয়ে সিনহা বেগম বলেন, ‘আমার ভাতিজারে ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক ব্যাপারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করত। ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে ওর সঙ্গে অন্য এক ছাত্রের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল এবং ওরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছিল। আমার ভাতিজা বলছিল, ক্যাম্পাসে আপনাদের যেমন আধিকার আছে, আমারও অধিকার আছে। আপনার কথায় আমি বের হব কেন। এ ঘটনার জের ধরে আমার ভাতিজারে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’
বাড়িতে তাঁর বাবাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় একটি ফলের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কথা হয় তাঁর চাচা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর জয়ের বাবা আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। ওরে কোলে-পিঠে করে বড় করছি, নিজের সন্তানের মতো। আমার বিশ্বাস হয় না ও এ কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ভাতিজা জড়িত থাকলে বা দোষী হলে যে শাস্তি দেয় মেনে নেব। কিন্তু এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খানও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ও মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। সবাই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিল। আমার জানামতে এলাকায় কেউ বলতে পারবে না, এলাকায় খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ঢাকায় পড়ালেখা করে। অনেকে দেখতে পারে না বা জানতে পারে না যে ও কী করে। হয়তো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে খারাপ পথে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে..., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রাজনীতি করত কি না আমরা আগে জানতাম না। আমরা জানতাম ও খালি পড়ে, ও পড়বা লাগছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের মা আসমা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গেলে কথা হয় মোস্তাফিজুর রহমানের মায়ের সঙ্গে।
মোস্তাফিজ ওই এলাকার হতদরিদ্র মজিবুর রহমান খানের ছেলে। সরকারি উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ছোট ঘরে তাঁর মাসহ ছোট দুই ভাইবোন থাকে। জমিজমা কিছুই নেই তাঁদের। বাবা মজিবুর রহমান ঢাকায় একটি ফলের আড়তে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। কোনো রকম বাবার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার ও তাঁর পড়ালেখা।
তবে তাঁর দাদা মরহুম মোমরেজ খান একসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছোট চাচা বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তাঁর চাচা বলেন, ‘ওর বাবা অন্যের দোকানে কাজ করে ও মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় ওর পড়ালেখা চালাইতো। ও কেমনে কী রাজনীতি ঢুকছে আমরা জানি না। এলাকায় কোনো রাজনীতি করত না। সকলেই ওরে ভদ্র হিসেবে জানত।’
মোস্তাফিজদের বাড়িতে গেলে ঘরের এককোণে মা আসমা বেগমকে বিলাপ করতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে ডেবে গেছে তার মায়ের কণ্ঠস্বর। কেঁদে কেঁদে তাঁর মা ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলেডারে কেউ খারাপ কইতে পারবে না, কেউ কবার পারবে না। মানুষের একটা সাইড না একটা সাইড খারাপ থাকে। আমার ছেলে কোনো সাইড খারাপ না। আমার ছেলে এক্কেবারে নির্দোষ বাবা, আমার ছেলের কোনো দোষ নাই। এসব সাজানো, আপনার তদন্ত করে দেখেন। ও জড়িত না, ও জড়িত থাকতে পারে না, আমার বিশ্বাস হয় না।’
মোস্তাফিজুর রহমান নিজ গ্রামে সবার কাছে জয় নামে পরিচিত। স্থানীয় আব্দুল্লাহবাদ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান।
নিজ গ্রামের সবাই তাঁকে নিয়ে গৌরব করত। একজন নম্র-ভদ্র ও বিনয়ী ছেলে হিসেবে সবাই তাঁকে জানে। তাঁর বাবাও একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক তারা। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না এলাকাবাসী।
স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই এলাকায় ওর মতো নম্র-ভদ্র ছেলে নাই। ও খেলাধুলাও করতে যায়নি কখনো, সব সময় পড়ালেখা করত। কখনো কারও সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখি নাই। কিন্তু কীভাবে এ ঘটনায় জড়ায় গেছে, আল্লাহপাক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এ ঘটনা টিভিতে দেখার পর ওদের চোখের পানি কেউ ধরে রাখতে পারতেছে না। আমরা বিশ্বাস করি না ও এমন কাজ করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

আলান খান নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওর বাবা ফলের দোকানে কাজ করে। খুব পরিশ্রম করে ছেলে পড়ালেখা করাইছে। ওরা খুবই গরিব, খুব কষ্ট করে ছেলেডারে মানুষ করছিল। ওর ওপরেই ওর বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ পর্যন্ত শুনি নাই অমুক জায়গা অমুকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে।’
কথা-কাটাকাটির জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোস্তাফিজকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁরা ফুফু সিনহা বেগম দাবি করেন। মোস্তাফিজের বন্ধুদের বরাদ দিয়ে সিনহা বেগম বলেন, ‘আমার ভাতিজারে ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক ব্যাপারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করত। ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে ওর সঙ্গে অন্য এক ছাত্রের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল এবং ওরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছিল। আমার ভাতিজা বলছিল, ক্যাম্পাসে আপনাদের যেমন আধিকার আছে, আমারও অধিকার আছে। আপনার কথায় আমি বের হব কেন। এ ঘটনার জের ধরে আমার ভাতিজারে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’
বাড়িতে তাঁর বাবাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় একটি ফলের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কথা হয় তাঁর চাচা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর জয়ের বাবা আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। ওরে কোলে-পিঠে করে বড় করছি, নিজের সন্তানের মতো। আমার বিশ্বাস হয় না ও এ কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ভাতিজা জড়িত থাকলে বা দোষী হলে যে শাস্তি দেয় মেনে নেব। কিন্তু এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খানও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ও মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। সবাই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিল। আমার জানামতে এলাকায় কেউ বলতে পারবে না, এলাকায় খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ঢাকায় পড়ালেখা করে। অনেকে দেখতে পারে না বা জানতে পারে না যে ও কী করে। হয়তো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে খারাপ পথে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:
হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ), ফরিদপুর

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে..., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রাজনীতি করত কি না আমরা আগে জানতাম না। আমরা জানতাম ও খালি পড়ে, ও পড়বা লাগছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের মা আসমা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গেলে কথা হয় মোস্তাফিজুর রহমানের মায়ের সঙ্গে।
মোস্তাফিজ ওই এলাকার হতদরিদ্র মজিবুর রহমান খানের ছেলে। সরকারি উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ছোট ঘরে তাঁর মাসহ ছোট দুই ভাইবোন থাকে। জমিজমা কিছুই নেই তাঁদের। বাবা মজিবুর রহমান ঢাকায় একটি ফলের আড়তে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। কোনো রকম বাবার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার ও তাঁর পড়ালেখা।
তবে তাঁর দাদা মরহুম মোমরেজ খান একসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছোট চাচা বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তাঁর চাচা বলেন, ‘ওর বাবা অন্যের দোকানে কাজ করে ও মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় ওর পড়ালেখা চালাইতো। ও কেমনে কী রাজনীতি ঢুকছে আমরা জানি না। এলাকায় কোনো রাজনীতি করত না। সকলেই ওরে ভদ্র হিসেবে জানত।’
মোস্তাফিজদের বাড়িতে গেলে ঘরের এককোণে মা আসমা বেগমকে বিলাপ করতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে ডেবে গেছে তার মায়ের কণ্ঠস্বর। কেঁদে কেঁদে তাঁর মা ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলেডারে কেউ খারাপ কইতে পারবে না, কেউ কবার পারবে না। মানুষের একটা সাইড না একটা সাইড খারাপ থাকে। আমার ছেলে কোনো সাইড খারাপ না। আমার ছেলে এক্কেবারে নির্দোষ বাবা, আমার ছেলের কোনো দোষ নাই। এসব সাজানো, আপনার তদন্ত করে দেখেন। ও জড়িত না, ও জড়িত থাকতে পারে না, আমার বিশ্বাস হয় না।’
মোস্তাফিজুর রহমান নিজ গ্রামে সবার কাছে জয় নামে পরিচিত। স্থানীয় আব্দুল্লাহবাদ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান।
নিজ গ্রামের সবাই তাঁকে নিয়ে গৌরব করত। একজন নম্র-ভদ্র ও বিনয়ী ছেলে হিসেবে সবাই তাঁকে জানে। তাঁর বাবাও একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক তারা। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না এলাকাবাসী।
স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই এলাকায় ওর মতো নম্র-ভদ্র ছেলে নাই। ও খেলাধুলাও করতে যায়নি কখনো, সব সময় পড়ালেখা করত। কখনো কারও সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখি নাই। কিন্তু কীভাবে এ ঘটনায় জড়ায় গেছে, আল্লাহপাক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এ ঘটনা টিভিতে দেখার পর ওদের চোখের পানি কেউ ধরে রাখতে পারতেছে না। আমরা বিশ্বাস করি না ও এমন কাজ করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

আলান খান নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওর বাবা ফলের দোকানে কাজ করে। খুব পরিশ্রম করে ছেলে পড়ালেখা করাইছে। ওরা খুবই গরিব, খুব কষ্ট করে ছেলেডারে মানুষ করছিল। ওর ওপরেই ওর বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ পর্যন্ত শুনি নাই অমুক জায়গা অমুকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে।’
কথা-কাটাকাটির জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোস্তাফিজকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁরা ফুফু সিনহা বেগম দাবি করেন। মোস্তাফিজের বন্ধুদের বরাদ দিয়ে সিনহা বেগম বলেন, ‘আমার ভাতিজারে ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক ব্যাপারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করত। ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে ওর সঙ্গে অন্য এক ছাত্রের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল এবং ওরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছিল। আমার ভাতিজা বলছিল, ক্যাম্পাসে আপনাদের যেমন আধিকার আছে, আমারও অধিকার আছে। আপনার কথায় আমি বের হব কেন। এ ঘটনার জের ধরে আমার ভাতিজারে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’
বাড়িতে তাঁর বাবাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় একটি ফলের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কথা হয় তাঁর চাচা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর জয়ের বাবা আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। ওরে কোলে-পিঠে করে বড় করছি, নিজের সন্তানের মতো। আমার বিশ্বাস হয় না ও এ কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ভাতিজা জড়িত থাকলে বা দোষী হলে যে শাস্তি দেয় মেনে নেব। কিন্তু এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খানও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ও মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। সবাই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিল। আমার জানামতে এলাকায় কেউ বলতে পারবে না, এলাকায় খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ঢাকায় পড়ালেখা করে। অনেকে দেখতে পারে না বা জানতে পারে না যে ও কী করে। হয়তো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে খারাপ পথে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে..., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রাজনীতি করত কি না আমরা আগে জানতাম না। আমরা জানতাম ও খালি পড়ে, ও পড়বা লাগছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের মা আসমা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গেলে কথা হয় মোস্তাফিজুর রহমানের মায়ের সঙ্গে।
মোস্তাফিজ ওই এলাকার হতদরিদ্র মজিবুর রহমান খানের ছেলে। সরকারি উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ছোট ঘরে তাঁর মাসহ ছোট দুই ভাইবোন থাকে। জমিজমা কিছুই নেই তাঁদের। বাবা মজিবুর রহমান ঢাকায় একটি ফলের আড়তে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। কোনো রকম বাবার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার ও তাঁর পড়ালেখা।
তবে তাঁর দাদা মরহুম মোমরেজ খান একসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছোট চাচা বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তাঁর চাচা বলেন, ‘ওর বাবা অন্যের দোকানে কাজ করে ও মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় ওর পড়ালেখা চালাইতো। ও কেমনে কী রাজনীতি ঢুকছে আমরা জানি না। এলাকায় কোনো রাজনীতি করত না। সকলেই ওরে ভদ্র হিসেবে জানত।’
মোস্তাফিজদের বাড়িতে গেলে ঘরের এককোণে মা আসমা বেগমকে বিলাপ করতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে ডেবে গেছে তার মায়ের কণ্ঠস্বর। কেঁদে কেঁদে তাঁর মা ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলেডারে কেউ খারাপ কইতে পারবে না, কেউ কবার পারবে না। মানুষের একটা সাইড না একটা সাইড খারাপ থাকে। আমার ছেলে কোনো সাইড খারাপ না। আমার ছেলে এক্কেবারে নির্দোষ বাবা, আমার ছেলের কোনো দোষ নাই। এসব সাজানো, আপনার তদন্ত করে দেখেন। ও জড়িত না, ও জড়িত থাকতে পারে না, আমার বিশ্বাস হয় না।’
মোস্তাফিজুর রহমান নিজ গ্রামে সবার কাছে জয় নামে পরিচিত। স্থানীয় আব্দুল্লাহবাদ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান।
নিজ গ্রামের সবাই তাঁকে নিয়ে গৌরব করত। একজন নম্র-ভদ্র ও বিনয়ী ছেলে হিসেবে সবাই তাঁকে জানে। তাঁর বাবাও একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক তারা। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না এলাকাবাসী।
স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই এলাকায় ওর মতো নম্র-ভদ্র ছেলে নাই। ও খেলাধুলাও করতে যায়নি কখনো, সব সময় পড়ালেখা করত। কখনো কারও সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখি নাই। কিন্তু কীভাবে এ ঘটনায় জড়ায় গেছে, আল্লাহপাক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এ ঘটনা টিভিতে দেখার পর ওদের চোখের পানি কেউ ধরে রাখতে পারতেছে না। আমরা বিশ্বাস করি না ও এমন কাজ করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

আলান খান নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওর বাবা ফলের দোকানে কাজ করে। খুব পরিশ্রম করে ছেলে পড়ালেখা করাইছে। ওরা খুবই গরিব, খুব কষ্ট করে ছেলেডারে মানুষ করছিল। ওর ওপরেই ওর বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। আজ পর্যন্ত শুনি নাই অমুক জায়গা অমুকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে।’
কথা-কাটাকাটির জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মোস্তাফিজকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁরা ফুফু সিনহা বেগম দাবি করেন। মোস্তাফিজের বন্ধুদের বরাদ দিয়ে সিনহা বেগম বলেন, ‘আমার ভাতিজারে ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক ব্যাপারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ করত। ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে ওর সঙ্গে অন্য এক ছাত্রের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল এবং ওরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছিল। আমার ভাতিজা বলছিল, ক্যাম্পাসে আপনাদের যেমন আধিকার আছে, আমারও অধিকার আছে। আপনার কথায় আমি বের হব কেন। এ ঘটনার জের ধরে আমার ভাতিজারে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’
বাড়িতে তাঁর বাবাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় একটি ফলের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কথা হয় তাঁর চাচা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর জয়ের বাবা আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। ওরে কোলে-পিঠে করে বড় করছি, নিজের সন্তানের মতো। আমার বিশ্বাস হয় না ও এ কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ভাতিজা জড়িত থাকলে বা দোষী হলে যে শাস্তি দেয় মেনে নেব। কিন্তু এ ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর খানও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ও মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। সবাই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিল। আমার জানামতে এলাকায় কেউ বলতে পারবে না, এলাকায় খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ঢাকায় পড়ালেখা করে। অনেকে দেখতে পারে না বা জানতে পারে না যে ও কী করে। হয়তো বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে খারাপ পথে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে.., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রা
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে.., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রা
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে.., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রা
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

‘ও সব সময় বলতো মা ওহনে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আমারে সবাই ভালো জানে। আমার ছেলে ওহনে ভালোভাবে চলাফেরা করত। চেহারা সুন্দর, মানুষ মনে করছে কতই না কোটিপতির পোলা ও। আমরা যে সরকারি (আবাসনের) ঘরে থাকি তা কেউ মনে অয় জানে না। আমার বাজানরে কী করলোরে.., আমার সব স্বপ্ন শেষ। এসব সাজানো বাবা, সব সাজানো। ও রা
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে