শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়। স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বেশ কয়েকজন এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অনুশাসন জারি করেছে।
এক অফিস আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলেছে, কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে পদোন্নতির জন্য নাম আসা সত্ত্বেও অনীহা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি গ্রহণ না করার কারণে নিচের পর্যায়ে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আদেশে বলা হয়, ‘...পদোন্নতির ধারা গতিশীল এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে নির্দেশক্রমে অনুশাসন জারি করা হলো।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার লক্ষ্য থাকে পদোন্নতি পাওয়া। পদোন্নতি হলে নিজের সম্মানও বাড়ে। যাঁরা পদোন্নতি চাচ্ছেন না, তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কেউ পদোন্নতি নেবেন না এমন আবেদন করার আর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার জন্য অনুশাসন জারি করা হয়েছে।’
এও-পিওদের অনীহার ইতিবৃত্ত
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আইনসচিব থাকার সময় সাবরেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি নেবেন না বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপর ওই সাবরেজিস্ট্রাররা আবেদন প্রত্যাহার করেন। তার পর থেকে পদোন্নতি না নিতে আবেদনের প্রবণতা বেশ কমে যায়।
ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ ফাঁকা হলেই জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী এও-পিওদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। এও-পিও পদে সাত বছর হলেই সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে পদ কম থাকায় সহকারী সচিব হতে এও-পিওদের ১৬-১৭ বছর চাকরি করতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সহকারী সচিব অথবা সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টির সুযোগ রেখে কৌশলে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নিয়ে এক আবেদন করেছেন। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডারবহির্ভূতদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সহকারী সচিবের আরও ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৬টি, উপসচিবের ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিবের ৩১টি পদ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।
পদোন্নতির বিষয়ে অনীহা নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি দেওয়া হয় জনস্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে না। যদি কেউ পদোন্নতি না নিতে চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত। পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন জানানো মানে অসদাচরণ।’

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়। স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বেশ কয়েকজন এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অনুশাসন জারি করেছে।
এক অফিস আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলেছে, কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে পদোন্নতির জন্য নাম আসা সত্ত্বেও অনীহা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি গ্রহণ না করার কারণে নিচের পর্যায়ে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আদেশে বলা হয়, ‘...পদোন্নতির ধারা গতিশীল এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে নির্দেশক্রমে অনুশাসন জারি করা হলো।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার লক্ষ্য থাকে পদোন্নতি পাওয়া। পদোন্নতি হলে নিজের সম্মানও বাড়ে। যাঁরা পদোন্নতি চাচ্ছেন না, তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কেউ পদোন্নতি নেবেন না এমন আবেদন করার আর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার জন্য অনুশাসন জারি করা হয়েছে।’
এও-পিওদের অনীহার ইতিবৃত্ত
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আইনসচিব থাকার সময় সাবরেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি নেবেন না বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপর ওই সাবরেজিস্ট্রাররা আবেদন প্রত্যাহার করেন। তার পর থেকে পদোন্নতি না নিতে আবেদনের প্রবণতা বেশ কমে যায়।
ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ ফাঁকা হলেই জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী এও-পিওদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। এও-পিও পদে সাত বছর হলেই সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে পদ কম থাকায় সহকারী সচিব হতে এও-পিওদের ১৬-১৭ বছর চাকরি করতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সহকারী সচিব অথবা সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টির সুযোগ রেখে কৌশলে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নিয়ে এক আবেদন করেছেন। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডারবহির্ভূতদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সহকারী সচিবের আরও ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৬টি, উপসচিবের ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিবের ৩১টি পদ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।
পদোন্নতির বিষয়ে অনীহা নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি দেওয়া হয় জনস্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে না। যদি কেউ পদোন্নতি না নিতে চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত। পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন জানানো মানে অসদাচরণ।’
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়। স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বেশ কয়েকজন এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অনুশাসন জারি করেছে।
এক অফিস আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলেছে, কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে পদোন্নতির জন্য নাম আসা সত্ত্বেও অনীহা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি গ্রহণ না করার কারণে নিচের পর্যায়ে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আদেশে বলা হয়, ‘...পদোন্নতির ধারা গতিশীল এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে নির্দেশক্রমে অনুশাসন জারি করা হলো।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার লক্ষ্য থাকে পদোন্নতি পাওয়া। পদোন্নতি হলে নিজের সম্মানও বাড়ে। যাঁরা পদোন্নতি চাচ্ছেন না, তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কেউ পদোন্নতি নেবেন না এমন আবেদন করার আর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার জন্য অনুশাসন জারি করা হয়েছে।’
এও-পিওদের অনীহার ইতিবৃত্ত
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আইনসচিব থাকার সময় সাবরেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি নেবেন না বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপর ওই সাবরেজিস্ট্রাররা আবেদন প্রত্যাহার করেন। তার পর থেকে পদোন্নতি না নিতে আবেদনের প্রবণতা বেশ কমে যায়।
ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ ফাঁকা হলেই জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী এও-পিওদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। এও-পিও পদে সাত বছর হলেই সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে পদ কম থাকায় সহকারী সচিব হতে এও-পিওদের ১৬-১৭ বছর চাকরি করতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সহকারী সচিব অথবা সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টির সুযোগ রেখে কৌশলে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নিয়ে এক আবেদন করেছেন। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডারবহির্ভূতদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সহকারী সচিবের আরও ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৬টি, উপসচিবের ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিবের ৩১টি পদ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।
পদোন্নতির বিষয়ে অনীহা নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি দেওয়া হয় জনস্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে না। যদি কেউ পদোন্নতি না নিতে চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত। পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন জানানো মানে অসদাচরণ।’

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়। স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বেশ কয়েকজন এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অনুশাসন জারি করেছে।
এক অফিস আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলেছে, কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে পদোন্নতির জন্য নাম আসা সত্ত্বেও অনীহা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি গ্রহণ না করার কারণে নিচের পর্যায়ে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আদেশে বলা হয়, ‘...পদোন্নতির ধারা গতিশীল এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে নির্দেশক্রমে অনুশাসন জারি করা হলো।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার লক্ষ্য থাকে পদোন্নতি পাওয়া। পদোন্নতি হলে নিজের সম্মানও বাড়ে। যাঁরা পদোন্নতি চাচ্ছেন না, তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কেউ পদোন্নতি নেবেন না এমন আবেদন করার আর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার জন্য অনুশাসন জারি করা হয়েছে।’
এও-পিওদের অনীহার ইতিবৃত্ত
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আইনসচিব থাকার সময় সাবরেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি নেবেন না বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপর ওই সাবরেজিস্ট্রাররা আবেদন প্রত্যাহার করেন। তার পর থেকে পদোন্নতি না নিতে আবেদনের প্রবণতা বেশ কমে যায়।
ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ ফাঁকা হলেই জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী এও-পিওদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। এও-পিও পদে সাত বছর হলেই সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে পদ কম থাকায় সহকারী সচিব হতে এও-পিওদের ১৬-১৭ বছর চাকরি করতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সহকারী সচিব অথবা সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টির সুযোগ রেখে কৌশলে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নিয়ে এক আবেদন করেছেন। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডারবহির্ভূতদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সহকারী সচিবের আরও ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৬টি, উপসচিবের ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিবের ৩১টি পদ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।
পদোন্নতির বিষয়ে অনীহা নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি দেওয়া হয় জনস্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে না। যদি কেউ পদোন্নতি না নিতে চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত। পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন জানানো মানে অসদাচরণ।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৬ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মক
০১ নভেম্বর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৬ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মক
০১ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৬ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মক
০১ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৪ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মক
০১ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৬ মিনিট আগে