নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ২৭ মে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতেরা। ঘটনার আগে কয়েক দিন ওত পেতে ওই মালিকের গতিবিধি জেনে নেয় তারা। এরপর নিজেদের সুবিধামতো মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে এসে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মাইক্রোবাসের সূত্র ধরে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি বলছে, ডাকাত চক্রটির বিভিন্ন সাবগ্রুপ রয়েছে। তারা প্রথমে তথ্য নেয় নিজেদের লোক দিয়ে। তারপর কিছুদিন রেকি করে সুবিধামতো সময়ে ডাকাতি করে। পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা জলিল মোল্লাসহ মোস্তাফিজ (৫০), পলাশ (২৮), দিপু (৫০), সোহাগ (৩৫) ও জাফর (৩৩)।
ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি, তিনটি খেলনা পিস্তল, লুট হওয়ার ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন মানের বৈদেশিক মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার মানের জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মো. রাসেল রানা ও তাঁর ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে পায়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে সাত-আটজন ডাকাত তাঁদের গতিরোধ করে। ডাকাতদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন জাহিদুল।
ঘটনার ভিডিও এক পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে নাসিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস শনাক্ত করে তাঁর চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
নাসিরুল ইসলাম জানান, ডাকাত চক্রটি এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করে। গত বছরের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাই করে। বিভিন্ন সময় জেলে থাকার ফলে সেখানে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে তারা আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
গত ২৭ মে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতেরা। ঘটনার আগে কয়েক দিন ওত পেতে ওই মালিকের গতিবিধি জেনে নেয় তারা। এরপর নিজেদের সুবিধামতো মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে এসে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মাইক্রোবাসের সূত্র ধরে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি বলছে, ডাকাত চক্রটির বিভিন্ন সাবগ্রুপ রয়েছে। তারা প্রথমে তথ্য নেয় নিজেদের লোক দিয়ে। তারপর কিছুদিন রেকি করে সুবিধামতো সময়ে ডাকাতি করে। পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা জলিল মোল্লাসহ মোস্তাফিজ (৫০), পলাশ (২৮), দিপু (৫০), সোহাগ (৩৫) ও জাফর (৩৩)।
ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি, তিনটি খেলনা পিস্তল, লুট হওয়ার ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন মানের বৈদেশিক মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার মানের জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মো. রাসেল রানা ও তাঁর ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে পায়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে সাত-আটজন ডাকাত তাঁদের গতিরোধ করে। ডাকাতদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন জাহিদুল।
ঘটনার ভিডিও এক পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে নাসিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস শনাক্ত করে তাঁর চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
নাসিরুল ইসলাম জানান, ডাকাত চক্রটি এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করে। গত বছরের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাই করে। বিভিন্ন সময় জেলে থাকার ফলে সেখানে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে তারা আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
১০ মিনিট আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
১৪ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
১৮ মিনিট আগেমরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশ। খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে এই অংশের ৩২ কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী। তবু ঝুঁকি নিয়ে ছুটে চলছে যানবাহন। ভোগান্তির এই যাত্রায় অনেক সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
২৬ মিনিট আগে