Ajker Patrika

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১৪: ৩৪
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ

আগামীকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০। এর মধ্যে ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ। 

আজ বুধবার বেলা ১১টায় মহানগরীর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ব্রিফিং করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশ বলছে, নানা বিবেচনায় এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বলতে এখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও রয়েছেন। 

ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে, অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে।’ 

হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমি আশা করি সকলেই তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। তবে দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

এ সময় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।’ 

ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আগামীকাল সকল ভোটারগণ নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক কাজ করা হয়েছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য যে অনুযায়ী মোতায়েন হবে।

এই সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৪৮০টি। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৩ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই বা এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৪ কনস্টেবল থাকবে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত ২ জন আনসার সদস্য, লাঠি হাতে (মহিলা ৪ জন ও পুরুষ ৬ জন) ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। 

গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে পুলিশের ৫৭টি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানা এলাকায় ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের মোট ১৯টি স্ট্রাইকার ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। 

এ ছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে র‍্যাবের একটি করে মোট ৩০টি টিম নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। নগরীর প্রতি ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। 
 
প্রত্যেকটি কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে পৃথক সিসি ক্যামেরা থাকবে। যা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন ‘ভারতীয় নাগরিককে’ ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নারীসহ তিন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁরা ভারতের আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরবোয়ালমারী সীমান্তের ১০৫৯ নম্বর আন্তর্জাতিক মূল পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতের কুকুরমারা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ঠেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুশ ইন করা তিন ব্যক্তি হলেন আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার সামগুরা থানার সালথা এলাকার বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫২), একই জেলার কলিয়াবর থানার আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী (৬৬) ও রোহা থানার সমস আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৬)। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও আজাহার আলী জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে একজন নারী ও দুজন পুরুষকে ভোররাতে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দিয়েছে। তাঁরা দাঁতভাঙা ইউনিয়নের তেকানিগ্রাম-বাঘেরহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ভারতের নাগরিক বলে নিজেদের পরিচয় দেন।

জানতে চাইলে বিজিবির গয়টাপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মানিক মিয়া বলেন, ‘নারীসহ ভারতীয় তিন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তবে তাঁরা কোথায় আছেন, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর নারীসহ আসামের ৯ নাগরিককে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সীমান্তপথে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে তাঁদের আটক করে ফেরত পাঠায় বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ঘের থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে মিলন শেখ (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পারনওয়াপাড়া গ্রামে নিজের ঘের থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো পারনওয়াপাড়া এলাকায় নিজের মাছের ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য যান মিলন। সকাল ১০টার পরেও বাড়িতে না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজ ঘেরের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত