স্মার্টফোনে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ইভিএমে ভোট দিলেন ৯৬ বছর বয়সী বৃদ্ধা ছকিনা বেগম। প্রায় শতবর্ষী এই নারী জীবনের প্রতিটি নির্বাচনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও এসেছেন ভোট দিতে। ব্যালট থেকে ইভিএম পদ্ধতি—দুভাবেই ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে পেরে আনন্দিত ছকিনা বেগম।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও মনের জোরে ভোট দিতে এসে ছকিনা বেগম জানালেন, ‘ভালো লাগছে! মেশিনে ভোট দিছি, ভালো লাগছে।’
বর্তমান প্রজন্মের এগিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী যখন ইভিএম নিয়ে ভীতিতে থাকেন, তখন শতক ছুঁই ছুঁই এই নারী ইভিএমে ভোট দেওয়ার প্রেরণা পেলেন কীভাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁর সঙ্গে আসা নাতি এমডি রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের ব্যাপারে দাদির আগ্রহ অনেক। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ আগেই তিনি আমাদের জানিয়ে রেখেছিলেন। আমরা স্মার্ট ফোনে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখিয়ে তাঁকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বুঝিয়েছি। সেটা দেখেই তিনি আজ এসে ভোট দিয়েছেন।’
এক হাতে লাঠি আর দুপাশে দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে আসা ছকিনা তিন সন্তানের জননী। জীবদ্দশায় প্রতিটি ভোট তিনি দিয়ে যেতে চান।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে। এখানে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন।
এবারের নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ী থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৯৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পুবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১১টি ও টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ৩৫১টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৯টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সূত্রমতে, নানা দিক বিবেচনায় তারা কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ বলতে এখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে