Ajker Patrika

আয়ের টাকা কার পকেটে

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৩৫
আয়ের টাকা কার পকেটে

নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দিঘির দুই বছর, জোড় ডেবার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ মাস আগে। এসব জলাশয়ের মাছ বিক্রি ও পাড়ের বসতি-দোকান থেকে বছরে অবৈধভাবে আয় হয় কোটি টাকার বেশি। তবে এই তিন জলাশয়ের নিয়ন্ত্রণ নেই রেলওয়ের। ইজারাদারদেরও দাবি, তাঁরা অবৈধ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত নন। এতে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি মাসে বসতি থেকে টাকা তোলেন কারা? মাছ বিক্রির টাকাই বা যায় কাদের পকেটে?

পাহাড়তলীর জোড় ডেবার আয়তন ২১ দশমিক ৪৮ একর। এটি মাছ চাষের জন্য ইজারা নেন ইজারাদার আবদুল লতিফ। শর্ত ভেঙে দুই পাড়ের মধ্যে এক পাড় ভাড়া দিয়েছেন। অন্য পাড়ে দুই শতাধিক বসতি থেকে প্রতি মাসে টাকা তুলছেন। শুধু বসতি থেকে তাঁর আয় প্রতি মাসে চার লাখ টাকা। বছরে প্রায় অর্ধকোটি। নির্দিষ্ট সময়ে নবায়ন করতে না পারায় খাতা-কলমে ছয় লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

২০১৫ সালের ২৮ মে পাঁচ বছরের জন্য জলাশয়টি ইজারা নেন বিএনপির নেতা গণি সরদারের ছেলে আবদুল লতিফ। তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ২৮ মে। লতিফ রেলওয়েতে প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী বলে পরিচিত।

এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গণি সরদারের দখলে ছিল জলাশয়টি। এখন ডোবার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ‘নামাজ-কালামে ব্যস্ত’ বলে দাবি করেন তিনি। তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বেনামে তাঁরই নিয়ন্ত্রণে জলাশয়টি।

রেলওয়ের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে মাছ চাষের জন্য জোর ডেবা ইজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাই। ২০০২ সালে তাঁকে আরও ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ডেবার দুই পাড়ে অবৈধ বসতি তুলে ভাড়া দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারের শেষে রেলওয়ের জোড় ডেবা। এখান থেকে প্রতি মাসে গণি সরদারের লোকজন এসে আট হাজার টাকা নিয়ে যান বলে জানা গেছে।

জোড় ডেবার প্রবেশমুখ থেকে সোজা পশ্চিম ঝরনাপাড়া পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতি ও ১২টি দোকান। প্রতি বসতি থেকে দুই হাজার আর দোকান থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া ‍আদায় করা হয়। এসব বসতি ও দোকানে বিদ্যুতের অবৈধ লাইনও রয়েছে। এক বাতি, এক ফ্যান ও একটি টেলিভিশনের জন্য মাসে নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় চার লাখ টাকা ভাড়া তোলেন গণি সরদারের লোকজন। তবে এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেন গণি সরদার।

স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার জলাশয়ের দুই পাড়ে অবৈধ বস্তি তৈরি করে ভাড়া দিচ্ছে। যাঁরা থাকছেন তাঁরা জলাধার দূষিত করছেন। একাধিকবার রেলওয়েকে বলার পর এক পাড় থেকে অবৈধ বসতি সরালেও অন্য পাড়ে অভিযান চালানো হয়নি।

পিডিবির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ বলেন, ‘বসতিতে বিদ্যুতের সংযোগগুলো অবৈধ। আমরা শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব।’

আগ্রাবাদ জলাশয়: ১৯ দশমিক ৭৮ একর আয়তনের আগ্রাবাদ জলাশয়ের ইজারাদার মো. হাবিব উল্লাহ চৌধুরী। তাঁর ইজারার মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়েছে। এর পরও এখনো পর্যন্ত নতুন করে জলাশয়টি ইজারা দিতে পারেনি রেলওয়ে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই জলাশয়ের এক পাড়ে রেলওয়ের বাসা, অন্য পাড়ে বসতি-দোকান। এখান থেকেও প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। প্রতিবছর এখানেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়। হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এই টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি এসব অস্বীকার করেন। এমনকি জলাশয়ের মাছ ধরে কারা বিক্রি করেন, তা-ও জানেন না বলে দাবি করেন।

জাতীয় ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লাহ চৌধুরী ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত জলাশয়টি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নেন তিনি। এরপর তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০০৮ সালে ইজারার জন্য আবেদন করলে তাঁকে দেয়নি রেলওয়ে। বর্তমান ইজারাদার হাবিব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০২০ সালে টেন্ডার হলে আমাকে ইজারা দেয়নি রেলওয়ে। অথচ আমি ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত দর বলেছিলাম। খুশি করতে না পারায় হয়তো আমাকে ইজারা দেয়নি। কারণ এখানে কোটি টাকার লেনদেন। আমার ওই পরিমাণ এখন টাকা নেই।’

ভেলুয়া সুন্দরী দিঘি: পাহাড়তলীর ১৩ দশমিক ৭৪ একরের ভেলুয়ার দিঘি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে চলছে দখলের মহোৎসব। এতে কমে গেছে দিঘির আয়তন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন ও নূর হোসেন বাক্কু এই জলাশয় দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত