সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে আজ রোববার নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে ৩টা অবধি ছিল একই পরিস্থিতি।
নগরীর প্রবেশমুখের ওই মোড় থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, দোহাজারী, লোহাগাড়া উপজেলাসহ পর্যটক শহর কক্সবাজার, টেকনাফ ও পার্বত্য বান্দরবান প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এমন দুর্ভোগ শুধু দক্ষিণ চট্টগ্রামে নয়। দুর্ভোগে পড়েছিল উত্তর চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য আরও দুই জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে যাতায়াতকারীরা। নগরীর অভ্যন্তরে তো আছেই।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে গত শনিবার এক বৈঠকে বিভাগের পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।
এই পরিষদের আহ্বায়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও সাবেক যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও সদস্যসচিব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা মো. মুছা। তাঁরা উভয়ই স্ব-স্ব সংগঠনের শীর্ষ নেতা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আন্তজেলা রুটে চলাচলকারী আরও বাস মালিক নেতা ও ফেডারেশনভুক্ত আরও কয়েকটি সংগঠন।
প্রভাবশালী পরিবহন নেতাদের ডাকে মূলত এই গণপরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় রোববার ভোর থেকে তা কার্যকরে কড়াকড়ি ছিল। নির্ধারিত দিনে নগরের বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, অক্সিজেন, অলংকার মোড়, সিটি গেট, জিইসি মোড় থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মালিকেরা বাস কাউন্টারগুলোও বেশির ভাগই বন্ধ রেখেছেন। তবে নগরের অভ্যন্তরে গণপরিবহন চললেও—তা ছিল সীমিত। হাতেগোনা বাস, মিনিবাস, অটো টেম্পু, হিউম্যান হলার চলাচল করছিল। যারা মূলত এই ধর্মঘটের বিপক্ষে ছিলেন।
এ ছাড়া স্পেশাল বাস সার্ভিস মেট্রো প্রভাতি ও সোনার বাংলার গাড়িগুলোও নগরীতে চলাচল করেছে। ধর্মঘট না মানায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরের শিকারও হয়েছে। তবে নগরী থেকে আন্তজেলা রুটে বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস চলাচল একেবারে বন্ধ ছিল। পরিবহন শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, ষোলোশহর, চান্দগাঁও এক কিলোমিটার, নতুন ব্রিজ, মুরাদপুর, অক্সিজেনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে জটলা ছিল সাধারণ যাত্রীদের।
বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় মোড়গুলোতে গাড়ি থামলে সেখানে উঠতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। প্রতিটি বাসে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ হেঁটে কিংবা রিকশা ও মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। দূর গন্তব্যের যাত্রীরা রওনা হচ্ছেন ট্রাকে কিংবা মাইক্রোবাসে চড়ে।
নতুন ব্রিজে গাড়ি অপেক্ষারত অবস্থায় কথা হয় মো. বাহাদুর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি তাঁর মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে সকালে চট্টগ্রাম শহরে এসেছিলেন। এখন শহর থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছেছেন কিন্তু গাড়ি পাচ্ছেন না।
বাহাদুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপির হরতাল-অবরোধের সময় আজকের মতো পরিস্থিতি আমাদের পড়তে হয়নি। তখন সীমিত হলেও গাড়ি চলেছে। আজ সকালে গাড়ি বন্ধ ছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে বাধ্য হয়ে শহরে আসতে হয়েছে। লোকাল সিএনজি করে শহরে এসেছি। যাওয়া-আসা বাবদ সবাই ডাবল ভাড়া নিয়েছে। এখন আবার ডাবল-ভাড়া দিয়ে অন্য গাড়িতে করে বাড়িতে যেতে হবে। বাসে যাচ্ছি না ভিড়ের কারণে। এ জন্য অপেক্ষা করছি অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না তা দেখার জন্য।’
সকালে নগরের চান্দগাঁওয়ের এক কিলোমিটার এলাকায় কয়েকটি দূরপাল্লার বাস কাউন্টারের সামনে নারী ও শিশু যাত্রীদের জটলা দেখা যায়। কিন্তু কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ। তাঁরা একে অপরে হা-হুতাশ করছিলেন। এমন অবস্থায় সেখানে দুজন লোক একটি বড় ভারী কার্টন নিয়ে একটি সিএনজি থেকে নামেন। তখন কক্সবাজার ও টেকনাফগামী একটি কাউন্টারের কর্মচারী তাঁদের জানান, গাড়ি যাবে না দুদিন। যেখান থেকে এসেছেন সেখানে চলে যান। দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।
দুজনের মধ্যে আব্দুল সালাম নামে একজন বলেন, ‘টেকনাফ যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এখন কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। বিকল্পভাবে যেকোনো প্রকারে আমাদের টেকনাফে পৌঁছাতে হবে।’ পরে আব্দুস সালামসহ সেখানে থাকা অন্যযাত্রীরা বিকল্প যানবাহন হিসেবে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাস ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
নগরের ইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত তারেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর খুব কষ্টে একটি বাসে চেপে বহদ্দারহাট থেকে ইপিজেডে পৌঁছেছি। এমনিতে গরম, তার মধ্যে বাসের ভেতর উপচেপড়া ভিড় ছিল। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মরতে ধরছিলাম।’
এদিকে নগরীর বহদ্দারহাট-মুরাদপুরে রাস্তায় চলাচল করা ৪-৫টি বাস ভাঙচুর করেছে ধর্মঘট পালনকারীরা। এর মধ্যে স্পেশাল বাস সার্ভিসের বাসও রয়েছে। সড়কগুলোতে বাসের জানালার ভাঙা টুকরো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাটের পাশাপাশি মুরাদপুরেও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বহদ্দারহাটে স্পেশাল বাস সার্ভিস মেট্রো প্রভাতির কাউন্টার ইনচার্জ মো. রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা নাগাদ কয়েকজন লোক এসে আমাদের ৮টি বাস আটকে রাখে। এর মধ্যে একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের একটি বাস ভাঙার পাশাপাশি এই মোড়টির ১০ নম্বর রুটে আরও একটি বাস ভাঙচুর করে তাঁরা।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরের অভ্যন্তরে রিকশাসহ অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন থাকায় যাত্রী সাধারণের তেমনটা সমস্যা হয়নি। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের একটু সমস্যা হয়েছে। এটা ছাড়া শহরের অভ্যন্তরে পিকেটিং বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ধর্মঘটের বিরোধিতা করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে শ্রম আইন পরিপন্থী বেআইনি এই ধর্মঘট আহ্বানকারী চিহ্নিত ও পেশাদার চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছি।
প্রশাসনের সঙ্গে ধর্মঘটকারীদের বৈঠক
ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে রোববার বেলা ৩টা নাগাদ পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক বৈঠক হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রাউজান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে আজ রোববার নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে ৩টা অবধি ছিল একই পরিস্থিতি।
নগরীর প্রবেশমুখের ওই মোড় থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, দোহাজারী, লোহাগাড়া উপজেলাসহ পর্যটক শহর কক্সবাজার, টেকনাফ ও পার্বত্য বান্দরবান প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এমন দুর্ভোগ শুধু দক্ষিণ চট্টগ্রামে নয়। দুর্ভোগে পড়েছিল উত্তর চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য আরও দুই জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে যাতায়াতকারীরা। নগরীর অভ্যন্তরে তো আছেই।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে গত শনিবার এক বৈঠকে বিভাগের পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।
এই পরিষদের আহ্বায়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও সাবেক যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও সদস্যসচিব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা মো. মুছা। তাঁরা উভয়ই স্ব-স্ব সংগঠনের শীর্ষ নেতা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আন্তজেলা রুটে চলাচলকারী আরও বাস মালিক নেতা ও ফেডারেশনভুক্ত আরও কয়েকটি সংগঠন।
প্রভাবশালী পরিবহন নেতাদের ডাকে মূলত এই গণপরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় রোববার ভোর থেকে তা কার্যকরে কড়াকড়ি ছিল। নির্ধারিত দিনে নগরের বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, অক্সিজেন, অলংকার মোড়, সিটি গেট, জিইসি মোড় থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মালিকেরা বাস কাউন্টারগুলোও বেশির ভাগই বন্ধ রেখেছেন। তবে নগরের অভ্যন্তরে গণপরিবহন চললেও—তা ছিল সীমিত। হাতেগোনা বাস, মিনিবাস, অটো টেম্পু, হিউম্যান হলার চলাচল করছিল। যারা মূলত এই ধর্মঘটের বিপক্ষে ছিলেন।
এ ছাড়া স্পেশাল বাস সার্ভিস মেট্রো প্রভাতি ও সোনার বাংলার গাড়িগুলোও নগরীতে চলাচল করেছে। ধর্মঘট না মানায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরের শিকারও হয়েছে। তবে নগরী থেকে আন্তজেলা রুটে বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস চলাচল একেবারে বন্ধ ছিল। পরিবহন শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, ষোলোশহর, চান্দগাঁও এক কিলোমিটার, নতুন ব্রিজ, মুরাদপুর, অক্সিজেনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে জটলা ছিল সাধারণ যাত্রীদের।
বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় মোড়গুলোতে গাড়ি থামলে সেখানে উঠতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। প্রতিটি বাসে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ হেঁটে কিংবা রিকশা ও মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। দূর গন্তব্যের যাত্রীরা রওনা হচ্ছেন ট্রাকে কিংবা মাইক্রোবাসে চড়ে।
নতুন ব্রিজে গাড়ি অপেক্ষারত অবস্থায় কথা হয় মো. বাহাদুর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি তাঁর মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র নিয়ে সকালে চট্টগ্রাম শহরে এসেছিলেন। এখন শহর থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছেছেন কিন্তু গাড়ি পাচ্ছেন না।
বাহাদুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপির হরতাল-অবরোধের সময় আজকের মতো পরিস্থিতি আমাদের পড়তে হয়নি। তখন সীমিত হলেও গাড়ি চলেছে। আজ সকালে গাড়ি বন্ধ ছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে বাধ্য হয়ে শহরে আসতে হয়েছে। লোকাল সিএনজি করে শহরে এসেছি। যাওয়া-আসা বাবদ সবাই ডাবল ভাড়া নিয়েছে। এখন আবার ডাবল-ভাড়া দিয়ে অন্য গাড়িতে করে বাড়িতে যেতে হবে। বাসে যাচ্ছি না ভিড়ের কারণে। এ জন্য অপেক্ষা করছি অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না তা দেখার জন্য।’
সকালে নগরের চান্দগাঁওয়ের এক কিলোমিটার এলাকায় কয়েকটি দূরপাল্লার বাস কাউন্টারের সামনে নারী ও শিশু যাত্রীদের জটলা দেখা যায়। কিন্তু কাউন্টারগুলো ছিল বন্ধ। তাঁরা একে অপরে হা-হুতাশ করছিলেন। এমন অবস্থায় সেখানে দুজন লোক একটি বড় ভারী কার্টন নিয়ে একটি সিএনজি থেকে নামেন। তখন কক্সবাজার ও টেকনাফগামী একটি কাউন্টারের কর্মচারী তাঁদের জানান, গাড়ি যাবে না দুদিন। যেখান থেকে এসেছেন সেখানে চলে যান। দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।
দুজনের মধ্যে আব্দুল সালাম নামে একজন বলেন, ‘টেকনাফ যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এখন কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। বিকল্পভাবে যেকোনো প্রকারে আমাদের টেকনাফে পৌঁছাতে হবে।’ পরে আব্দুস সালামসহ সেখানে থাকা অন্যযাত্রীরা বিকল্প যানবাহন হিসেবে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাস ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
নগরের ইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত তারেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর খুব কষ্টে একটি বাসে চেপে বহদ্দারহাট থেকে ইপিজেডে পৌঁছেছি। এমনিতে গরম, তার মধ্যে বাসের ভেতর উপচেপড়া ভিড় ছিল। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মরতে ধরছিলাম।’
এদিকে নগরীর বহদ্দারহাট-মুরাদপুরে রাস্তায় চলাচল করা ৪-৫টি বাস ভাঙচুর করেছে ধর্মঘট পালনকারীরা। এর মধ্যে স্পেশাল বাস সার্ভিসের বাসও রয়েছে। সড়কগুলোতে বাসের জানালার ভাঙা টুকরো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাটের পাশাপাশি মুরাদপুরেও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বহদ্দারহাটে স্পেশাল বাস সার্ভিস মেট্রো প্রভাতির কাউন্টার ইনচার্জ মো. রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা নাগাদ কয়েকজন লোক এসে আমাদের ৮টি বাস আটকে রাখে। এর মধ্যে একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের একটি বাস ভাঙার পাশাপাশি এই মোড়টির ১০ নম্বর রুটে আরও একটি বাস ভাঙচুর করে তাঁরা।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরের অভ্যন্তরে রিকশাসহ অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন থাকায় যাত্রী সাধারণের তেমনটা সমস্যা হয়নি। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের একটু সমস্যা হয়েছে। এটা ছাড়া শহরের অভ্যন্তরে পিকেটিং বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ধর্মঘটের বিরোধিতা করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে শ্রম আইন পরিপন্থী বেআইনি এই ধর্মঘট আহ্বানকারী চিহ্নিত ও পেশাদার চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছি।
প্রশাসনের সঙ্গে ধর্মঘটকারীদের বৈঠক
ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে রোববার বেলা ৩টা নাগাদ পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক বৈঠক হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রাউজান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
৩ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
২৮ এপ্রিল ২০২৪
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৪ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
২৮ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৪ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
২৮ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
৩ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৩ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৪ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

মাথার ওপর জ্বলন্ত সূর্য, পায়ের নিচে গলন্ত পিচঢালা সড়ক। এমন আবহাওয়ার মধ্যে মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে সকল বয়সীরা। কিন্তু মিলছে না গাড়ির দেখা। হঠাৎ দু-একটি দেখা গেলেও, তাতে উঠতে পারাটাও দায়। অতিরিক্ত ভাড়া ও উপচে পড়া ভিড়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
২৮ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
৩ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে