সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনকে ‘চাপ দিতে’ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাঁরা বলেছেন, ১০ নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ছাত্রী হলের সামনে গভীর রাতে মব তৈরি হলে বিভিন্ন প্রগতিশীল ও নারী অধিকারের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রীরাই প্রথমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। জুলাই অভ্যুত্থানেও তাঁদের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অভ্যুত্থানের পরও তাঁরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকারের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের আধিপত্য বিস্তার এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ত্বরান্বিত করতে নেপথ্যে কাজ করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের পরই নারী শিক্ষার্থীদের বিচার চেয়ে প্রশাসনকে চাপ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রায় ২০ জনের বেশি নেতা-কর্মীর কাছে বার্তা পাঠান দুই সহকারী প্রক্টর।’ তবে বার্তাপ্রাপ্ত অধিকাংশই এতে সাড়া দেননি বলে জানান তিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সহকারী প্রক্টরদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগ নেত্রীদের সিট বাতিল ও তদন্ত সাপেক্ষে ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে প্রক্টর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা নারী শিক্ষার্থী কর্তৃক ছাত্র-সাংবাদিক আহত হওয়া ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফকে অভিযোগপত্র দেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
কী ঘটেছিল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে
বহিষ্কারের ঘটনায় ভুক্তভোগী, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ ভাঙচুরের উত্তেজনা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের সামনে স্থাপিত ‘নৌকা’সদৃশ বসার স্থান ভাঙতে রাত সাড়ে ১১টায় ছাত্রী হলের সামনে ‘মব’ তৈরি হয়। এতে নারী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং হলের নিচে নেমে আসেন। এ সময় অনেকেই ‘ঘরের’ পোশাকে ছিলেন, তাই সাংবাদিকেরা ভিডিও চিত্র নিতে চাইলে তাঁরা নিষেধ করেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বহিষ্কারের ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী ঘটনাস্থলে এসে ‘মবের’ পক্ষ নেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’সহ নানা অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এতে এক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলে। তাঁর ভাষা ব্যবহার ও আচরণে তিনি যে সহকারী প্রক্টর, তা অনেকেই বুঝতে পারেননি।
চাপ দিয়ে তদন্তে প্রভাব বিস্তার
৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনা নিয়ে পরদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এক সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সব হলের প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও একটি নিবন্ধিত ইসলামি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন তাঁদের দলীয় নেতা-কর্মীদের তদন্ত কমিটি ও প্রশাসনকে ‘চাপ দিতে’ তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। অন্যদিকে ঘটনায় ‘দায়ী’ হিসেবে চিহ্নিত করা ছাত্রীদের ছবি পাঠিয়ে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রক্টর ও প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের কথা বলেন অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী।
৬ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের শীর্ষপর্যায়ের এক নেতাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। সেই নেতা এবং সহকারী প্রক্টরের কথোপকথনে দেখা যায়, সহকারী প্রক্টর তদন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপনটি পাঠিয়ে তাঁকে বলেন, ‘চাপ দাও, দাবি আদায় করো।’ এ ছাড়াও চিহ্নিত করা ছাত্রীদের ছবি পাঠিয়ে সহকারী প্রক্টর লেখেন, ‘এদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিতে প্রশাসনকে চাপ দাও। প্রক্টর অফিস ঘেরাও করো। বৈষম্যবিরোধীদের পক্ষে।’ এ ছাড়াও প্রাথমিক শাস্তি হিসেবে হল থেকে যেন নারী ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়, এ দাবি তোলার কথা বলেন সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন।
কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের ব্যানারে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রসংগঠনের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হয়। সে সময় যেহেতু ওই ঘটনা ঘটছিল, তাই সেটা নিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, হয় নাই তা বলছি না।’ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের কথা বললে মনে করি আমাদের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে আরেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে তো আমি কিছু জানি না, আপনার কাছ থেকেই বিষয়টি জানলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কয়েকজন ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কোন মেয়েরা আপনাকে ইয়ে করেছে, তাদের ছবি পাঠান, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ছবিগুলো তাদের পাঠিয়েছি। ঘেরাওয়ের কথা বলার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ ছাত্রসংগঠনের নেতারা তবে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা তো অবশ্যই। এগুলো করার কোনো দরকার আছে আমার?’ নারী শিক্ষার্থীদের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অশালীন ভাষায় গালাগালের বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ভিডিওতে যা শুনেছেন, তা ভুল শুনেছেন। আপনার শোনা ঠিক নেই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনকে ‘চাপ দিতে’ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাঁরা বলেছেন, ১০ নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ছাত্রী হলের সামনে গভীর রাতে মব তৈরি হলে বিভিন্ন প্রগতিশীল ও নারী অধিকারের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রীরাই প্রথমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। জুলাই অভ্যুত্থানেও তাঁদের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অভ্যুত্থানের পরও তাঁরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকারের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের আধিপত্য বিস্তার এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ত্বরান্বিত করতে নেপথ্যে কাজ করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের পরই নারী শিক্ষার্থীদের বিচার চেয়ে প্রশাসনকে চাপ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রায় ২০ জনের বেশি নেতা-কর্মীর কাছে বার্তা পাঠান দুই সহকারী প্রক্টর।’ তবে বার্তাপ্রাপ্ত অধিকাংশই এতে সাড়া দেননি বলে জানান তিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সহকারী প্রক্টরদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগ নেত্রীদের সিট বাতিল ও তদন্ত সাপেক্ষে ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে প্রক্টর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা নারী শিক্ষার্থী কর্তৃক ছাত্র-সাংবাদিক আহত হওয়া ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফকে অভিযোগপত্র দেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
কী ঘটেছিল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে
বহিষ্কারের ঘটনায় ভুক্তভোগী, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ ভাঙচুরের উত্তেজনা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের সামনে স্থাপিত ‘নৌকা’সদৃশ বসার স্থান ভাঙতে রাত সাড়ে ১১টায় ছাত্রী হলের সামনে ‘মব’ তৈরি হয়। এতে নারী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং হলের নিচে নেমে আসেন। এ সময় অনেকেই ‘ঘরের’ পোশাকে ছিলেন, তাই সাংবাদিকেরা ভিডিও চিত্র নিতে চাইলে তাঁরা নিষেধ করেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বহিষ্কারের ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী ঘটনাস্থলে এসে ‘মবের’ পক্ষ নেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’সহ নানা অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এতে এক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলে। তাঁর ভাষা ব্যবহার ও আচরণে তিনি যে সহকারী প্রক্টর, তা অনেকেই বুঝতে পারেননি।
চাপ দিয়ে তদন্তে প্রভাব বিস্তার
৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনা নিয়ে পরদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এক সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সব হলের প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও একটি নিবন্ধিত ইসলামি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন তাঁদের দলীয় নেতা-কর্মীদের তদন্ত কমিটি ও প্রশাসনকে ‘চাপ দিতে’ তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। অন্যদিকে ঘটনায় ‘দায়ী’ হিসেবে চিহ্নিত করা ছাত্রীদের ছবি পাঠিয়ে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রক্টর ও প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের কথা বলেন অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী।
৬ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের শীর্ষপর্যায়ের এক নেতাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। সেই নেতা এবং সহকারী প্রক্টরের কথোপকথনে দেখা যায়, সহকারী প্রক্টর তদন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপনটি পাঠিয়ে তাঁকে বলেন, ‘চাপ দাও, দাবি আদায় করো।’ এ ছাড়াও চিহ্নিত করা ছাত্রীদের ছবি পাঠিয়ে সহকারী প্রক্টর লেখেন, ‘এদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিতে প্রশাসনকে চাপ দাও। প্রক্টর অফিস ঘেরাও করো। বৈষম্যবিরোধীদের পক্ষে।’ এ ছাড়াও প্রাথমিক শাস্তি হিসেবে হল থেকে যেন নারী ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়, এ দাবি তোলার কথা বলেন সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন।
কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের ব্যানারে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রসংগঠনের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হয়। সে সময় যেহেতু ওই ঘটনা ঘটছিল, তাই সেটা নিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, হয় নাই তা বলছি না।’ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের কথা বললে মনে করি আমাদের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে আরেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে তো আমি কিছু জানি না, আপনার কাছ থেকেই বিষয়টি জানলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কয়েকজন ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কোন মেয়েরা আপনাকে ইয়ে করেছে, তাদের ছবি পাঠান, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ছবিগুলো তাদের পাঠিয়েছি। ঘেরাওয়ের কথা বলার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ ছাত্রসংগঠনের নেতারা তবে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা তো অবশ্যই। এগুলো করার কোনো দরকার আছে আমার?’ নারী শিক্ষার্থীদের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অশালীন ভাষায় গালাগালের বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ভিডিওতে যা শুনেছেন, তা ভুল শুনেছেন। আপনার শোনা ঠিক নেই।’

নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত...
২ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
১০ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত...
২ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
১০ ঘণ্টা আগেমো. আজিমুশ শানুল হক দস্তগীর চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবাধ চলাচল—সব মিলিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই ব্যস্ত এলাকায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোহাজারী পৌর সদরের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় সড়কের বিভাজকে (ডিভাইডার) খুঁটি গেড়ে অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। কোথাও সবজি, কোথাও ফল, আবার কোথাও চায়ের দোকান। নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কের ওপর কোনো ধরনের স্থাপনা থাকার কথা না থাকলেও এখানে ডিভাইডারই যেন বাজারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
৬ লেনের এই মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের জন্য দ্রুতগতির লেন থাকলেও দোহাজারী অংশে তা কার্যত অকার্যকর। সড়কের দুই পাশে শত শত সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় মূল লেনেই যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে আসা দ্রুতগতির বাস ও ট্রাককে দোহাজারী সদরে এসে হঠাৎ ব্রেক কষতে হচ্ছে। এতে পেছনে থাকা যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তা স্থায়ী হয় না। সকালে উচ্ছেদ হলেও বিকেলেই আবার দোকান বসে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ও বাজার ইজারাদারেরা প্রতিদিন এসব ভাসমান দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে। এতে সড়ক দখলমুক্ত করার উদ্যোগ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, ‘৬ লেনের সড়ক হওয়ায় যাতায়াত সহজ হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো ২০-৩০ মিনিটের যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দোহাজারী পৌর প্রশাসক ঝন্টু বিকাশ চাকমা জানান, তিনি সদ্য কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। দোহাজারীতে সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান ও বাজার বসার বিষয়টি সম্প্রতি তাঁর নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজির বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিনই মামলা হচ্ছে। তবে স্থানীয় তদবিরের কারণে অনেক সময় দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হয় বলে তিনি দাবি করেন।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবাধ চলাচল—সব মিলিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই ব্যস্ত এলাকায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোহাজারী পৌর সদরের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় সড়কের বিভাজকে (ডিভাইডার) খুঁটি গেড়ে অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। কোথাও সবজি, কোথাও ফল, আবার কোথাও চায়ের দোকান। নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কের ওপর কোনো ধরনের স্থাপনা থাকার কথা না থাকলেও এখানে ডিভাইডারই যেন বাজারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
৬ লেনের এই মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের জন্য দ্রুতগতির লেন থাকলেও দোহাজারী অংশে তা কার্যত অকার্যকর। সড়কের দুই পাশে শত শত সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় মূল লেনেই যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে আসা দ্রুতগতির বাস ও ট্রাককে দোহাজারী সদরে এসে হঠাৎ ব্রেক কষতে হচ্ছে। এতে পেছনে থাকা যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তা স্থায়ী হয় না। সকালে উচ্ছেদ হলেও বিকেলেই আবার দোকান বসে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ও বাজার ইজারাদারেরা প্রতিদিন এসব ভাসমান দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে। এতে সড়ক দখলমুক্ত করার উদ্যোগ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, ‘৬ লেনের সড়ক হওয়ায় যাতায়াত সহজ হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো ২০-৩০ মিনিটের যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দোহাজারী পৌর প্রশাসক ঝন্টু বিকাশ চাকমা জানান, তিনি সদ্য কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। দোহাজারীতে সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান ও বাজার বসার বিষয়টি সম্প্রতি তাঁর নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজির বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিনই মামলা হচ্ছে। তবে স্থানীয় তদবিরের কারণে অনেক সময় দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হয় বলে তিনি দাবি করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
১০ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার অংশ হিসেবে ওই আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এই ঘোষণার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন হাসান মামুন। তিনি নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতির জন্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে হাসান মামুনকে নির্বাহী কমিটির সদস্যপদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর হাসান মামুন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বুধবার রাত ৮টার দিকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই পোস্টে নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
রাত ১১টার দিকে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ৩৭ বছরের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কর্মীদের চেয়ে দুই দিনের অবিশ্বস্ত ও ফ্রন্ট মিত্রদের সঙ্গে চলা বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাসের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ।
সর্বশেষ পোস্টে তিনি লেখেন, সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়া হলে সেই কমিটির নেতৃত্বেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, নেতা-কর্মী ও ভোটাররাই তাদের মূল শক্তি।

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার অংশ হিসেবে ওই আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এই ঘোষণার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন হাসান মামুন। তিনি নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতির জন্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে হাসান মামুনকে নির্বাহী কমিটির সদস্যপদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর হাসান মামুন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বুধবার রাত ৮টার দিকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই পোস্টে নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
রাত ১১টার দিকে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ৩৭ বছরের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কর্মীদের চেয়ে দুই দিনের অবিশ্বস্ত ও ফ্রন্ট মিত্রদের সঙ্গে চলা বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাসের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ।
সর্বশেষ পোস্টে তিনি লেখেন, সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়া হলে সেই কমিটির নেতৃত্বেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, নেতা-কর্মী ও ভোটাররাই তাদের মূল শক্তি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত...
২ ঘণ্টা আগে
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
১০ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ছাত্রী হলের সামনে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ১০ জন নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন ও অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী নারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে...
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী অংশটি এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়, ক্রমেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। দোহাজারী বাজার এলাকায় ৬ লেনের প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরেনি। একদিকে সড়কের ডিভাইডার দখল করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান ও কাঁচাবাজার, অন্যদিকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত...
২ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে তৃণমূলের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে অতীতের একটি বহিষ্কার ও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহারের উদাহরণ তুলে ধরেন।
৩ ঘণ্টা আগে