Ajker Patrika

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

চবি প্রতিনিধি 
চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী শাটলে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম রামপ্রসাদ সাহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের শাটল ট্রেনে রামপ্রসাদ সাহাসহ আরেকজন বসে ছিলেন। পরে আরও একজন এসে বসতে চায়। রামপ্রসাদ তাঁকে বলেন, এ সিটে তিনজন বসা যাবে না। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর সামনের সিটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ নামের একজন রামপ্রসাদকে বহিরাগত ট্যাগ দিয়েই মারধর শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন, তাঁরাও মারধর শুরু করেন। মারতে মারতে ট্রেন থেকে তাঁকে স্টেশনে নামিয়ে থাপ্পড় দিয়ে বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষ জিজ্ঞেস করেন। এরপর তাঁকে টেনেহিঁছড়ে আবার ট্রেনে তুলে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী রামপ্রসাদ সাহা বলেন, ‘আমি সাড়ে বিকেল ৪টার শাটলে সিট নিয়ে বসি। আমার পাশের সিটে একজন এবং সামনের সিটে তিনজন বসেছিলেন। পরে আরেকজন এসে আমাকে একটু বসার জায়গা দিতে বলেন। আমি তাঁকে বসার জায়গা দিই; কিন্তু তারপরও তিনি বলেন তাঁর বসার জায়গা হচ্ছে না। এরপর আমার সামনে বসা একজন এসে বলেন, “এই, তুই কি স্টুডেন্ট?” আমি পরিচয় দেওয়ার পর তিনি বলে, ‘তুই মিথ্যা বলতেছিস। তোর আইডি কার্ড দেখা। তুই কে? তুই এখান থেকে ওঠ।’ এসব বলার পর আমি আইডি কার্ড দেখাই। আইডি কার্ড দেখার পরও তাঁরা আমাকে মারধর করেন। পরে যিনি বসতে চাচ্ছিলেন, তিনিও আমার কলার ধরে মারধর করেন।’

রামপ্রসাদ আরও বলেন, ‘আমার কানের এক পাশে ইনজুরি ছিল; সে স্থানটিতে তাঁরা বারবার আঘাত করছিলেন। মারধরের সময় আমি প্রায় অচেতন হয়ে যাই। আমি ভিডিও করার চেষ্টা করলে তাঁরা আমার মোবাইল কেড়ে নেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে স্টেশনের সিটে বসিয়ে মারধর করেন।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত রিয়াজ শিকদার বলেন, ‘আমরা সাধারণত শাটলে তিনজন করে বসি, তাঁরা দুজন বসা ছিলেন। আমি তাঁকে চেপে বসতে বলেছিলাম। তখন তিনি না চেপে উগ্রতা দেখিয়ে বলেন, “আমার সেশন ১৯-২০ তুই কে?’ এরপর আমিও ১৯-২০ বলে দাঁড়াতেই তিনি আমার বুকে ঘুষি মারেন। ঘুষিটা আমার শরীরে লাগে এবং পাশে আরেকটি ছেলে ছিল, তার গায়েও লাগে। তার গায়ে লেগে তার হাত কেটে যায়। এরপর আমাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় এবং বগির ভেতরে যখন দেখা যাচ্ছে যে তিনি চাপবেন না, তখন বাকিরা তাঁকে ধরে বাইরে নিয়ে যান। পরে কী করেছেম আমি তা জানি না, কারণ আমি তখন বগির ভেতরেই ছিলাম।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরপরই প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে আমার সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হন এবং এটার মীমাংসা করে দিয়েছেন। পরে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ