হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় আমাদের ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৫ জনের মধ্যে সাতজন সাগরে পড়ে যান। তখন অনেকটা ডুবে যাওয়া ট্রলারের ওপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকেন চারজন। আমিসহ অপর তিনজন তখনো সাগরে ছিলাম। প্রথম দিকে ট্রলারের পাশ ধরে কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরপর একাধিক ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারের পাশ থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাই। এতে নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে ট্রলারের সঙ্গে থাকা চারজনের কাছ থেকে চিৎকার দিয়ে চিরবিদায়ও নিয়েছিলাম।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিভীষিকাময় ওই দিনের কথাগুলো বলছিলেন ট্রলারডুবির চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফছার উদ্দিন।
আফছার উদ্দিন বলেন, ‘চিরবিদায় নেওয়ার পর আমি আর সোহেল সাগরে থাকা বাঁশের সঙ্গে বাঁধা একটি তেলের ড্রামের দুপাশ ধরে ঝুলে থাকলেও আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জাফর উদ্দিন। সকালের সূর্য ওঠার পর আমি আর সোহেল ড্রামটি ধরে থাকলেও আশপাশে কোথাও জাফরকে দেখা যায়নি। এরপর শুরু হয় ঝড়, বৃষ্টি আর ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। একে একে চার দিন পার হওয়ার পরও যখন আশপাশে কোনো ট্রলার বা জাহাজ দেখা যাচ্ছিল না, তখন বাঁচার শেষ আশাটুকু ছেড়ে দিয়েছিলাম। অন্যদিকে শরীরের অনেক অংশ ঠুকরে খেয়েছে সামুদ্রিক মাছ।’
আফছার উদ্দিন আরও বলেন, ‘সাগরে পড়ে যাওয়ার প্রথম দিন থেকে সোহেল বারবার অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে-দিনে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও সোহেলের কাছ থেকে সব সময় সাড়া পাওয়া যেত না। মাঝেমধ্যে তিনি কথা বলতেন। আবার মাঝে মাঝে আমার মনে হতো সোহেল বুঝি আর নেই, আমি একা কীভাবে বেঁচে থাকব! তিন দিন শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিন ভোরে যখন সূর্য ওঠে তখন আল্লাহকে ডেকে বলেছিলাম, হে আল্লাহ, হয় আমাদের কোনো ট্রলারের মাধ্যমে বাঁচিয়ে নাও, না হয় মৃত্যু দাও। এভাবে ভাসা আর ডোবায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সেই সময়টুকুতে ঘুম বা ক্ষুধা কিছুই মনে ছিল না। যখন সকাল হতো, বিসমিল্লাহ বলে সাগর থেকে এক মুঠো পানি নিয়ে পান করতাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ওই কয় দিন আশপাশে কোনো মাছ ধরার ট্রলার বা জাহাজ কিছুই দেখা যায়নি। চতুর্থ দিন দুপুরের দিকে জোয়ারে ঢেউয়ের সঙ্গে যখন ওপরের দিকে উঠি, তখন দূরে মাছ ধরার একটি ট্রলার দেখতে পাই। কিন্তু ঢেউয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর যখন পুনরায় ওপরে উঠি, তখন আর তা দেখতে পাইনি। কোনদিকে দেখেছি, সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর আবারও ট্রলারটি দেখতে পেয়ে ড্রামের সঙ্গে থাকা একটি ছোট বাঁশের ভাঙা অংশে পতাকার ছেঁড়া অংশ লাগিয়ে এক হাত দিয়ে ড্রাম ধরে অন্য হাত দিয়ে পতাকাটি ওপরের দিকে তুলে নাড়তে থাকি। যেন ট্রলারটির নজরে পড়ে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পতাকাটি ওই ট্রলারে থাকা মাঝির নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রলার নিয়ে দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন। ট্রলার থেকে আমাদের লক্ষ্য করে একটি দড়ি ছুড়ে মারলে ওটা ধরে আমরা দুজন ট্রলারের কাছে আসি। পরে তাঁরা আমাদের ট্রলারে তুলে নেন। ততক্ষণে শরীর আর কোনো কাজ করছিল না, আমরা দুজন অচেতন হয়ে পড়ি। পরে ওই ট্রলারের মাঝি আমাদের সুন্দরবনের পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে যান। এখনো নিখোঁজ আটজন ট্রলারের ইঞ্জিনরুমের মধ্যে আটকা পড়েছিল। দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি ছিল বলে তারা কেবিনের মধ্যে অবস্থান করেছিল। আমরা যখন সাগরে পড়ে যাই, তখন ইঞ্জিনরুম থেকে অনেক সময় ধরে তাঁদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলাম। আমার ধারণা, ট্রলারের ইঞ্জিনরুমে ব্যাটারির অ্যাসিড ও ডিজেলের গ্যাসে তাদের সেখানে মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশান সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাগরে মাছ শিকার করা জেলেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু এই আর্থিক সেক্টরটির দিকে সরকারের তেমন সুদৃষ্টি নেই। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রতিটি ট্রলারে যদি জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকে, তাহলে অন্তত এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটত না। সাগরের যেকোনো সীমান্তে আটকা পড়লে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি পার্শ্ববর্তী ট্রলারের অবস্থান যেনে সহযোগিতা পেত। তাই ট্রলারমালিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্য নিয়ে হলেও জিপিএস সিস্টেম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরের মইডুবি এলাকার সাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫ জেলে নিয়ে ডুবে যায় এফবি নিশাত নামের ট্রলারটি। ওই দিন পার্শ্ববর্তী একটি ট্রলারের সাহায্যে চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এর চার দিন পর আরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় আমাদের ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৫ জনের মধ্যে সাতজন সাগরে পড়ে যান। তখন অনেকটা ডুবে যাওয়া ট্রলারের ওপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকেন চারজন। আমিসহ অপর তিনজন তখনো সাগরে ছিলাম। প্রথম দিকে ট্রলারের পাশ ধরে কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরপর একাধিক ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারের পাশ থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাই। এতে নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে ট্রলারের সঙ্গে থাকা চারজনের কাছ থেকে চিৎকার দিয়ে চিরবিদায়ও নিয়েছিলাম।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিভীষিকাময় ওই দিনের কথাগুলো বলছিলেন ট্রলারডুবির চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফছার উদ্দিন।
আফছার উদ্দিন বলেন, ‘চিরবিদায় নেওয়ার পর আমি আর সোহেল সাগরে থাকা বাঁশের সঙ্গে বাঁধা একটি তেলের ড্রামের দুপাশ ধরে ঝুলে থাকলেও আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জাফর উদ্দিন। সকালের সূর্য ওঠার পর আমি আর সোহেল ড্রামটি ধরে থাকলেও আশপাশে কোথাও জাফরকে দেখা যায়নি। এরপর শুরু হয় ঝড়, বৃষ্টি আর ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। একে একে চার দিন পার হওয়ার পরও যখন আশপাশে কোনো ট্রলার বা জাহাজ দেখা যাচ্ছিল না, তখন বাঁচার শেষ আশাটুকু ছেড়ে দিয়েছিলাম। অন্যদিকে শরীরের অনেক অংশ ঠুকরে খেয়েছে সামুদ্রিক মাছ।’
আফছার উদ্দিন আরও বলেন, ‘সাগরে পড়ে যাওয়ার প্রথম দিন থেকে সোহেল বারবার অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে-দিনে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও সোহেলের কাছ থেকে সব সময় সাড়া পাওয়া যেত না। মাঝেমধ্যে তিনি কথা বলতেন। আবার মাঝে মাঝে আমার মনে হতো সোহেল বুঝি আর নেই, আমি একা কীভাবে বেঁচে থাকব! তিন দিন শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিন ভোরে যখন সূর্য ওঠে তখন আল্লাহকে ডেকে বলেছিলাম, হে আল্লাহ, হয় আমাদের কোনো ট্রলারের মাধ্যমে বাঁচিয়ে নাও, না হয় মৃত্যু দাও। এভাবে ভাসা আর ডোবায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সেই সময়টুকুতে ঘুম বা ক্ষুধা কিছুই মনে ছিল না। যখন সকাল হতো, বিসমিল্লাহ বলে সাগর থেকে এক মুঠো পানি নিয়ে পান করতাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ওই কয় দিন আশপাশে কোনো মাছ ধরার ট্রলার বা জাহাজ কিছুই দেখা যায়নি। চতুর্থ দিন দুপুরের দিকে জোয়ারে ঢেউয়ের সঙ্গে যখন ওপরের দিকে উঠি, তখন দূরে মাছ ধরার একটি ট্রলার দেখতে পাই। কিন্তু ঢেউয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর যখন পুনরায় ওপরে উঠি, তখন আর তা দেখতে পাইনি। কোনদিকে দেখেছি, সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর আবারও ট্রলারটি দেখতে পেয়ে ড্রামের সঙ্গে থাকা একটি ছোট বাঁশের ভাঙা অংশে পতাকার ছেঁড়া অংশ লাগিয়ে এক হাত দিয়ে ড্রাম ধরে অন্য হাত দিয়ে পতাকাটি ওপরের দিকে তুলে নাড়তে থাকি। যেন ট্রলারটির নজরে পড়ে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পতাকাটি ওই ট্রলারে থাকা মাঝির নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রলার নিয়ে দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন। ট্রলার থেকে আমাদের লক্ষ্য করে একটি দড়ি ছুড়ে মারলে ওটা ধরে আমরা দুজন ট্রলারের কাছে আসি। পরে তাঁরা আমাদের ট্রলারে তুলে নেন। ততক্ষণে শরীর আর কোনো কাজ করছিল না, আমরা দুজন অচেতন হয়ে পড়ি। পরে ওই ট্রলারের মাঝি আমাদের সুন্দরবনের পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে যান। এখনো নিখোঁজ আটজন ট্রলারের ইঞ্জিনরুমের মধ্যে আটকা পড়েছিল। দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি ছিল বলে তারা কেবিনের মধ্যে অবস্থান করেছিল। আমরা যখন সাগরে পড়ে যাই, তখন ইঞ্জিনরুম থেকে অনেক সময় ধরে তাঁদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলাম। আমার ধারণা, ট্রলারের ইঞ্জিনরুমে ব্যাটারির অ্যাসিড ও ডিজেলের গ্যাসে তাদের সেখানে মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশান সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাগরে মাছ শিকার করা জেলেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু এই আর্থিক সেক্টরটির দিকে সরকারের তেমন সুদৃষ্টি নেই। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রতিটি ট্রলারে যদি জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকে, তাহলে অন্তত এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটত না। সাগরের যেকোনো সীমান্তে আটকা পড়লে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি পার্শ্ববর্তী ট্রলারের অবস্থান যেনে সহযোগিতা পেত। তাই ট্রলারমালিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্য নিয়ে হলেও জিপিএস সিস্টেম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরের মইডুবি এলাকার সাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫ জেলে নিয়ে ডুবে যায় এফবি নিশাত নামের ট্রলারটি। ওই দিন পার্শ্ববর্তী একটি ট্রলারের সাহায্যে চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এর চার দিন পর আরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় আমাদের ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৫ জনের মধ্যে সাতজন সাগরে পড়ে যান। তখন অনেকটা ডুবে যাওয়া ট্রলারের ওপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকেন চারজন। আমিসহ অপর তিনজন তখনো সাগরে ছিলাম। প্রথম দিকে ট্রলারের পাশ ধরে কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরপর একাধিক ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারের পাশ থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাই। এতে নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে ট্রলারের সঙ্গে থাকা চারজনের কাছ থেকে চিৎকার দিয়ে চিরবিদায়ও নিয়েছিলাম।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিভীষিকাময় ওই দিনের কথাগুলো বলছিলেন ট্রলারডুবির চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফছার উদ্দিন।
আফছার উদ্দিন বলেন, ‘চিরবিদায় নেওয়ার পর আমি আর সোহেল সাগরে থাকা বাঁশের সঙ্গে বাঁধা একটি তেলের ড্রামের দুপাশ ধরে ঝুলে থাকলেও আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জাফর উদ্দিন। সকালের সূর্য ওঠার পর আমি আর সোহেল ড্রামটি ধরে থাকলেও আশপাশে কোথাও জাফরকে দেখা যায়নি। এরপর শুরু হয় ঝড়, বৃষ্টি আর ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। একে একে চার দিন পার হওয়ার পরও যখন আশপাশে কোনো ট্রলার বা জাহাজ দেখা যাচ্ছিল না, তখন বাঁচার শেষ আশাটুকু ছেড়ে দিয়েছিলাম। অন্যদিকে শরীরের অনেক অংশ ঠুকরে খেয়েছে সামুদ্রিক মাছ।’
আফছার উদ্দিন আরও বলেন, ‘সাগরে পড়ে যাওয়ার প্রথম দিন থেকে সোহেল বারবার অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে-দিনে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও সোহেলের কাছ থেকে সব সময় সাড়া পাওয়া যেত না। মাঝেমধ্যে তিনি কথা বলতেন। আবার মাঝে মাঝে আমার মনে হতো সোহেল বুঝি আর নেই, আমি একা কীভাবে বেঁচে থাকব! তিন দিন শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিন ভোরে যখন সূর্য ওঠে তখন আল্লাহকে ডেকে বলেছিলাম, হে আল্লাহ, হয় আমাদের কোনো ট্রলারের মাধ্যমে বাঁচিয়ে নাও, না হয় মৃত্যু দাও। এভাবে ভাসা আর ডোবায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সেই সময়টুকুতে ঘুম বা ক্ষুধা কিছুই মনে ছিল না। যখন সকাল হতো, বিসমিল্লাহ বলে সাগর থেকে এক মুঠো পানি নিয়ে পান করতাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ওই কয় দিন আশপাশে কোনো মাছ ধরার ট্রলার বা জাহাজ কিছুই দেখা যায়নি। চতুর্থ দিন দুপুরের দিকে জোয়ারে ঢেউয়ের সঙ্গে যখন ওপরের দিকে উঠি, তখন দূরে মাছ ধরার একটি ট্রলার দেখতে পাই। কিন্তু ঢেউয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর যখন পুনরায় ওপরে উঠি, তখন আর তা দেখতে পাইনি। কোনদিকে দেখেছি, সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর আবারও ট্রলারটি দেখতে পেয়ে ড্রামের সঙ্গে থাকা একটি ছোট বাঁশের ভাঙা অংশে পতাকার ছেঁড়া অংশ লাগিয়ে এক হাত দিয়ে ড্রাম ধরে অন্য হাত দিয়ে পতাকাটি ওপরের দিকে তুলে নাড়তে থাকি। যেন ট্রলারটির নজরে পড়ে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পতাকাটি ওই ট্রলারে থাকা মাঝির নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রলার নিয়ে দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন। ট্রলার থেকে আমাদের লক্ষ্য করে একটি দড়ি ছুড়ে মারলে ওটা ধরে আমরা দুজন ট্রলারের কাছে আসি। পরে তাঁরা আমাদের ট্রলারে তুলে নেন। ততক্ষণে শরীর আর কোনো কাজ করছিল না, আমরা দুজন অচেতন হয়ে পড়ি। পরে ওই ট্রলারের মাঝি আমাদের সুন্দরবনের পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে যান। এখনো নিখোঁজ আটজন ট্রলারের ইঞ্জিনরুমের মধ্যে আটকা পড়েছিল। দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি ছিল বলে তারা কেবিনের মধ্যে অবস্থান করেছিল। আমরা যখন সাগরে পড়ে যাই, তখন ইঞ্জিনরুম থেকে অনেক সময় ধরে তাঁদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলাম। আমার ধারণা, ট্রলারের ইঞ্জিনরুমে ব্যাটারির অ্যাসিড ও ডিজেলের গ্যাসে তাদের সেখানে মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশান সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাগরে মাছ শিকার করা জেলেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু এই আর্থিক সেক্টরটির দিকে সরকারের তেমন সুদৃষ্টি নেই। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রতিটি ট্রলারে যদি জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকে, তাহলে অন্তত এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটত না। সাগরের যেকোনো সীমান্তে আটকা পড়লে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি পার্শ্ববর্তী ট্রলারের অবস্থান যেনে সহযোগিতা পেত। তাই ট্রলারমালিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্য নিয়ে হলেও জিপিএস সিস্টেম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরের মইডুবি এলাকার সাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫ জেলে নিয়ে ডুবে যায় এফবি নিশাত নামের ট্রলারটি। ওই দিন পার্শ্ববর্তী একটি ট্রলারের সাহায্যে চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এর চার দিন পর আরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় আমাদের ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৫ জনের মধ্যে সাতজন সাগরে পড়ে যান। তখন অনেকটা ডুবে যাওয়া ট্রলারের ওপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকেন চারজন। আমিসহ অপর তিনজন তখনো সাগরে ছিলাম। প্রথম দিকে ট্রলারের পাশ ধরে কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরপর একাধিক ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারের পাশ থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাই। এতে নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে ট্রলারের সঙ্গে থাকা চারজনের কাছ থেকে চিৎকার দিয়ে চিরবিদায়ও নিয়েছিলাম।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিভীষিকাময় ওই দিনের কথাগুলো বলছিলেন ট্রলারডুবির চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফছার উদ্দিন।
আফছার উদ্দিন বলেন, ‘চিরবিদায় নেওয়ার পর আমি আর সোহেল সাগরে থাকা বাঁশের সঙ্গে বাঁধা একটি তেলের ড্রামের দুপাশ ধরে ঝুলে থাকলেও আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জাফর উদ্দিন। সকালের সূর্য ওঠার পর আমি আর সোহেল ড্রামটি ধরে থাকলেও আশপাশে কোথাও জাফরকে দেখা যায়নি। এরপর শুরু হয় ঝড়, বৃষ্টি আর ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। একে একে চার দিন পার হওয়ার পরও যখন আশপাশে কোনো ট্রলার বা জাহাজ দেখা যাচ্ছিল না, তখন বাঁচার শেষ আশাটুকু ছেড়ে দিয়েছিলাম। অন্যদিকে শরীরের অনেক অংশ ঠুকরে খেয়েছে সামুদ্রিক মাছ।’
আফছার উদ্দিন আরও বলেন, ‘সাগরে পড়ে যাওয়ার প্রথম দিন থেকে সোহেল বারবার অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে-দিনে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও সোহেলের কাছ থেকে সব সময় সাড়া পাওয়া যেত না। মাঝেমধ্যে তিনি কথা বলতেন। আবার মাঝে মাঝে আমার মনে হতো সোহেল বুঝি আর নেই, আমি একা কীভাবে বেঁচে থাকব! তিন দিন শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিন ভোরে যখন সূর্য ওঠে তখন আল্লাহকে ডেকে বলেছিলাম, হে আল্লাহ, হয় আমাদের কোনো ট্রলারের মাধ্যমে বাঁচিয়ে নাও, না হয় মৃত্যু দাও। এভাবে ভাসা আর ডোবায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সেই সময়টুকুতে ঘুম বা ক্ষুধা কিছুই মনে ছিল না। যখন সকাল হতো, বিসমিল্লাহ বলে সাগর থেকে এক মুঠো পানি নিয়ে পান করতাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ওই কয় দিন আশপাশে কোনো মাছ ধরার ট্রলার বা জাহাজ কিছুই দেখা যায়নি। চতুর্থ দিন দুপুরের দিকে জোয়ারে ঢেউয়ের সঙ্গে যখন ওপরের দিকে উঠি, তখন দূরে মাছ ধরার একটি ট্রলার দেখতে পাই। কিন্তু ঢেউয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর যখন পুনরায় ওপরে উঠি, তখন আর তা দেখতে পাইনি। কোনদিকে দেখেছি, সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর আবারও ট্রলারটি দেখতে পেয়ে ড্রামের সঙ্গে থাকা একটি ছোট বাঁশের ভাঙা অংশে পতাকার ছেঁড়া অংশ লাগিয়ে এক হাত দিয়ে ড্রাম ধরে অন্য হাত দিয়ে পতাকাটি ওপরের দিকে তুলে নাড়তে থাকি। যেন ট্রলারটির নজরে পড়ে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পতাকাটি ওই ট্রলারে থাকা মাঝির নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রলার নিয়ে দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন। ট্রলার থেকে আমাদের লক্ষ্য করে একটি দড়ি ছুড়ে মারলে ওটা ধরে আমরা দুজন ট্রলারের কাছে আসি। পরে তাঁরা আমাদের ট্রলারে তুলে নেন। ততক্ষণে শরীর আর কোনো কাজ করছিল না, আমরা দুজন অচেতন হয়ে পড়ি। পরে ওই ট্রলারের মাঝি আমাদের সুন্দরবনের পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে যান। এখনো নিখোঁজ আটজন ট্রলারের ইঞ্জিনরুমের মধ্যে আটকা পড়েছিল। দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি ছিল বলে তারা কেবিনের মধ্যে অবস্থান করেছিল। আমরা যখন সাগরে পড়ে যাই, তখন ইঞ্জিনরুম থেকে অনেক সময় ধরে তাঁদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলাম। আমার ধারণা, ট্রলারের ইঞ্জিনরুমে ব্যাটারির অ্যাসিড ও ডিজেলের গ্যাসে তাদের সেখানে মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশান সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাগরে মাছ শিকার করা জেলেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু এই আর্থিক সেক্টরটির দিকে সরকারের তেমন সুদৃষ্টি নেই। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রতিটি ট্রলারে যদি জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকে, তাহলে অন্তত এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটত না। সাগরের যেকোনো সীমান্তে আটকা পড়লে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি পার্শ্ববর্তী ট্রলারের অবস্থান যেনে সহযোগিতা পেত। তাই ট্রলারমালিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্য নিয়ে হলেও জিপিএস সিস্টেম চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরের মইডুবি এলাকার সাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫ জেলে নিয়ে ডুবে যায় এফবি নিশাত নামের ট্রলারটি। ওই দিন পার্শ্ববর্তী একটি ট্রলারের সাহায্যে চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এর চার দিন পর আরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আট জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
৪ মিনিট আগে
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের
৫ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
২৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
১ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে
তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।
মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে
তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।
মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে
২৫ আগস্ট ২০২২
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের
৫ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
২৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
১ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে
২৫ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
২৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে
২৫ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
৪ মিনিট আগে
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের
৫ মিনিট আগে
কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর
নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।
মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর
নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।
মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

‘রাত ঠিক তখন দেড়টা। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। অথচ এর কিছুক্ষণ আগে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে যে যার মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘুম আসার আগে মাঝির ডাকে অনেকে আবার ট্রলারের ওপরে উঠে আসে। কিন্তু ততক্ষণে একটা ঢেউয়ের আঘাতে
২৫ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।
৪ মিনিট আগে
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের
৫ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।
২৪ মিনিট আগে