Ajker Patrika

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল: স্বজনের অপেক্ষায় এখনো পথ চেয়ে আছেন পাতিলে ভেসে আসা মুসলিম

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
মুসলিম উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুসলিম উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াল সেই রাতের ঘটনার ৩৪ বছর পার হয়েছে। এখনো স্বজনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছেন ঘূর্ণিঝড়ে পাতিলে ভেসে আসা ৩৬ বছর বয়সী যুবক মুসলিম উদ্দিন। বর্তমানে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করছেন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জঙ্গল ভাটিয়ারী পাহাড়ের ভেতরে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। প্রতিবছর এই দিন এলে স্বজন হারানোর বেদনায় ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি। অশ্রুতে বুক ভাসালেও তিনি এখনো জানেন না তাঁর মা-বাবা কে কিংবা তাঁদের বাড়িঘর কোথায় ছিল।

শুধু মুসলিম উদ্দিন নন, স্মরণকালের ভয়াবহ সেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কথা উপকূলের মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। ৩৪ বছর আগে ২৯ এপ্রিল সামনে এলে ভয়াল সেই ট্র্যাজেডির করুণ চিত্র ভেসে ওঠে চোখের সামনে। দিনটি এলেই উপকূলীয় এলাকার ঘরে ঘরে কান্না আর শোকের রোল ওঠে। ওই দিনের মধ্যরাতে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সীতাকুণ্ডের সলিমপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৯টি ইউনিয়ন। প্রায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগ ঝড় ও ৩০-৩৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূল পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে।

এ সময় মারা যান এলাকার প্রায় ৭ হাজার মানুষ। আর নিখোঁজ হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার শিশু-নারী-পুরুষ। ক্ষতি সাধিত হয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ। ভয়াল সেই রাতের ৩৪টি বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলের অবস্থা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এখনো এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

সেই দিনের কথা জানতে চাইলে অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠেন মুসলিম উদ্দিন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিনি দুই বছরের শিশু। তিনি বড় একটি পাতিলের ভেতরে করে ভেসে ভাটিয়ারী উপকূলে আসেন বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পরদিন ভেসে আসা পাতিলের ভেতর থেকে কান্নার শব্দ শুনে জেলে সম্প্রদায়ের এক লোক তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে ভাটিয়ারী বাজারের উত্তর পাশের তেলীবাড়ী এলাকার স্থানীয় এক মুসলিম পরিবারের কোলে তুলে দেন।

শিশুকালের সেই সময়ের স্মৃতি তাঁর মনে না থাকলেও ৭ থেকে ৮ বছর বয়সের স্মৃতি তাঁর বেশ মনে রয়েছে। আট বছর বয়সে যখন তাঁর পালক বাবার পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। তখন তিনি ভাটিয়ারী কাঁচাবাজারে ঘুরে ঘুরে পলিথিন (বাজারের ব্যাগ) বিক্রি শুরু করেন। পরে নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়িয়েছেন।

মুসলিম উদ্দিন আরও জানান, তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে সুখের সংসার করলেও নিজের পিতৃপরিচয়ের শূন্যতায় নীরবে কাঁদছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর মা-বাবা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, জানেন না তিনি। তাঁদের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, এটাই সবচেয়ে বড় কষ্টের অনুভূতি তাঁর জীবনে।

কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারীসহ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের বন্যার পর থেকে গত ৩৪ বছরে উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে কয়েক শ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মিত হলেও তা কয়েক বছর না পেরোতেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এখনো এসব ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধে ভাঙন থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

বাঁশবাড়িয়া এলাকার উপকূলীয় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ৩৪ বছর পার হলেও এখনো সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। এখনো এই অঞ্চলের মানুষ ষাটের দশকের ভঙ্গুর বেড়িবাঁধের ওপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

উপকূলীয় বাসিন্দারা আরও জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং পরবর্তীতে ১৯৯৪ ও ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক প্রাণহানির পর আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার অর্থায়নে উপকূলীয় এলাকায় বিপুলসংখ্যক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। সীতাকুণ্ডের পৌর এলাকাসহ ৯টি ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ৫৬টি।

সলিমপুর থেকে বাঁশবাড়িয়া উপকূলীয় এলাকায় দেখা গেছে, শিপ ইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে ওই সব এলাকায় বনায়ন নেই বললেই চলে। গত পাঁচ-ছয় বছরে কুমিরা ও বাঁশবাড়িয়া উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন কেটে আরও ছয়টি শিপ ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সব এলাকায় বনায়নের কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। ১৯৯১ সালের মতো পুনরায় যদি এসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়, তাহলে আরও ব্যাপক প্রাণহানিসহ সম্পদ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীতাকুণ্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে যে বেড়িবাঁধ আছে, সেটি ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কারণ ১৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঘোড়ামরা-কুমিরাসহ ৪ কিলোমিটার প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু সেগুলোর ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা থাকায় সংস্কারও হচ্ছে না। নিয়মিত সাগরের পানি ঢোকে। ঝড়ে তা ভয়াবহ হতে পারে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. শামস্ জামিরুল জানান, উপকূলীয় এলাকার মানুষের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা অপ্রতুল। ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তীতে যতগুলো আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণের সময় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অধিকসংখ্যক লোক আশ্রয় নিতে পারে না।

সীতাকুণ্ড উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলী রনি জানান, সীতাকুণ্ড উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্ঝা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে সরাসরি থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত বেড়িবাঁধে ব্যাপক বনায়ন করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র উপকূলীয় বেড়িবাঁধ রক্ষায় লাগানো গাছগুলো রাতের আঁধারে কেটে সাবাড় করছে। ফলে গাছ উজাড়ে অব্যাহত মাটি ক্ষয়ের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ যেমন বিপন্ন হচ্ছে, তেমনি আবারও জলোচ্ছ্বাসের মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন উপকূলীয় এলাকাবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য)

সুপারিশের তিন মাস পেরোলেও যোগদান হয়নি ৩৫০০ চিকিৎসকের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮ তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮ তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবাশীষ দাস।

লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা। আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়, দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসকসংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০–এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এর আগে জানিয়েছিলেন, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকেরা।

আয়োজকেরা জানান, দ্রুত নিয়োগের আশায় অনেক সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক এফসিপিএস, এমডি–এমএসসহ চলমান উচ্চতর প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেজেট ও পদায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এতে একদিকে তাঁদের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে একাডেমিক ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এতে যেমন চিকিৎসকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায়ও স্বস্তি পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমিন, মো. রিফাত খন্দকার, ইশরাত জাহানে ঈসা, আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

‎অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

‎আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।

‎গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

‎গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

‎ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত