ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইলিনা আক্তার ইভা সৌদিপ্রবাসী বাবার মৃত্যুসংবাদ পায় তার পরীক্ষার আগের দিন। সে জানতে পারে, তার বাবার লাশ মরুভূমিতে ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে ছিল। হাত বিচ্ছিন্ন, চোখ ওপড়ানো, নাড়িভুঁড়ি বাইরে বের হওয়া ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরদিন পরীক্ষার হলে যায় ইভা।
গত শনিবার পরীক্ষা শেষ হয় ইভার। হল থেকে বের হয়ে ইভা বলে, ‘৫০ দিন হতে চলল নির্মম মৃত্যুর শিকার বাবার লাশ পায়নি তাঁর পরিবার। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বা সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাস। আবেদন করার ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে ইভার বাবার লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। ইভার এখন একটাই আকুতি, সে অন্তত একবার তার বাবার লাশটি দেখতে চায়।
ইভার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট ইভার বাবা কাজী সালাউদ্দিন হিমনের (৪৮) ক্ষতবিক্ষত লাশ সৌদির নাজরানের ইয়াদামা শহরের মরুভূমিতে দেখে সহকর্মীদের একজন তাঁর বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভাকে জানান। ছবি দেখে নিহতের মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন এটি কাজী সালাহউদ্দিন হিমনের লাশ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের মৃত কাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে কাজী সালাহউদ্দিন হিমন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবের বিখ্যাত কোম্পানি ব্রাঞ্চ ইসসাম অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন।
নিহতের সহকর্মীরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বিরতির সময় খাবার খেয়ে আর কাজে ফেরেননি কাজী সালাহ উদ্দিন। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে লাশ মরুভূমির ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ঘটনার দুই দিন পর ১৬ আগস্ট লাশ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৪৫ দিন পার হলেও লাশ দেশে ফেরত আসেনি। এমনকি লাশ কোথায় আছে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এসবে কিছুই জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড।
পরিবারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে—এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। তখন তিনি তাঁদের বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ হয়।’ পরে আবার যোগাযোগ করা হলে এমদাদুল হক বলেন, তিনি এখন আর সৌদি আরবে নেই। ইসলাম মোহাম্মদ নামের একজন এখন তাঁর দায়িত্বে আছেন।
ইসলাম মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পুলিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নাজরানে যেতে বলেছে ৷ দূতাবাসের দল ১৭-১৮ অক্টোবর নাজরান যাবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পুত্রশোকে কাতর নাজমুন নাহার এ প্রতিবেদককে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষ বয়সে ছেলে কাজী সালাউদ্দিন হিমনের লাশ না দেখে মরতে চান না তিনি। তাই ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঘটনার একদিন আগে ইলিনার বাবা ফোন করে বলেন, সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে তাকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেবে। কিন্তু পরদিন তার মৃত্যুর খবরে সবকিছু এলোমেলো হয় গেছে। কি কারণে আমরা স্বামীকে নির্মমতার শিকার হতে হল এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার স্বামীর লাশ যেন দ্রুত দেশে আনা হয় সে ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইলিনা আক্তার ইভা সৌদিপ্রবাসী বাবার মৃত্যুসংবাদ পায় তার পরীক্ষার আগের দিন। সে জানতে পারে, তার বাবার লাশ মরুভূমিতে ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে ছিল। হাত বিচ্ছিন্ন, চোখ ওপড়ানো, নাড়িভুঁড়ি বাইরে বের হওয়া ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরদিন পরীক্ষার হলে যায় ইভা।
গত শনিবার পরীক্ষা শেষ হয় ইভার। হল থেকে বের হয়ে ইভা বলে, ‘৫০ দিন হতে চলল নির্মম মৃত্যুর শিকার বাবার লাশ পায়নি তাঁর পরিবার। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বা সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাস। আবেদন করার ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে ইভার বাবার লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। ইভার এখন একটাই আকুতি, সে অন্তত একবার তার বাবার লাশটি দেখতে চায়।
ইভার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট ইভার বাবা কাজী সালাউদ্দিন হিমনের (৪৮) ক্ষতবিক্ষত লাশ সৌদির নাজরানের ইয়াদামা শহরের মরুভূমিতে দেখে সহকর্মীদের একজন তাঁর বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভাকে জানান। ছবি দেখে নিহতের মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন এটি কাজী সালাহউদ্দিন হিমনের লাশ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের মৃত কাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে কাজী সালাহউদ্দিন হিমন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবের বিখ্যাত কোম্পানি ব্রাঞ্চ ইসসাম অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন।
নিহতের সহকর্মীরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বিরতির সময় খাবার খেয়ে আর কাজে ফেরেননি কাজী সালাহ উদ্দিন। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে লাশ মরুভূমির ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ঘটনার দুই দিন পর ১৬ আগস্ট লাশ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৪৫ দিন পার হলেও লাশ দেশে ফেরত আসেনি। এমনকি লাশ কোথায় আছে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এসবে কিছুই জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড।
পরিবারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে—এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। তখন তিনি তাঁদের বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ হয়।’ পরে আবার যোগাযোগ করা হলে এমদাদুল হক বলেন, তিনি এখন আর সৌদি আরবে নেই। ইসলাম মোহাম্মদ নামের একজন এখন তাঁর দায়িত্বে আছেন।
ইসলাম মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পুলিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নাজরানে যেতে বলেছে ৷ দূতাবাসের দল ১৭-১৮ অক্টোবর নাজরান যাবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পুত্রশোকে কাতর নাজমুন নাহার এ প্রতিবেদককে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষ বয়সে ছেলে কাজী সালাউদ্দিন হিমনের লাশ না দেখে মরতে চান না তিনি। তাই ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঘটনার একদিন আগে ইলিনার বাবা ফোন করে বলেন, সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে তাকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেবে। কিন্তু পরদিন তার মৃত্যুর খবরে সবকিছু এলোমেলো হয় গেছে। কি কারণে আমরা স্বামীকে নির্মমতার শিকার হতে হল এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার স্বামীর লাশ যেন দ্রুত দেশে আনা হয় সে ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইলিনা আক্তার ইভা সৌদিপ্রবাসী বাবার মৃত্যুসংবাদ পায় তার পরীক্ষার আগের দিন। সে জানতে পারে, তার বাবার লাশ মরুভূমিতে ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে ছিল। হাত বিচ্ছিন্ন, চোখ ওপড়ানো, নাড়িভুঁড়ি বাইরে বের হওয়া ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরদিন পরীক্ষার হলে যায় ইভা।
গত শনিবার পরীক্ষা শেষ হয় ইভার। হল থেকে বের হয়ে ইভা বলে, ‘৫০ দিন হতে চলল নির্মম মৃত্যুর শিকার বাবার লাশ পায়নি তাঁর পরিবার। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বা সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাস। আবেদন করার ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে ইভার বাবার লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। ইভার এখন একটাই আকুতি, সে অন্তত একবার তার বাবার লাশটি দেখতে চায়।
ইভার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট ইভার বাবা কাজী সালাউদ্দিন হিমনের (৪৮) ক্ষতবিক্ষত লাশ সৌদির নাজরানের ইয়াদামা শহরের মরুভূমিতে দেখে সহকর্মীদের একজন তাঁর বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভাকে জানান। ছবি দেখে নিহতের মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন এটি কাজী সালাহউদ্দিন হিমনের লাশ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের মৃত কাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে কাজী সালাহউদ্দিন হিমন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবের বিখ্যাত কোম্পানি ব্রাঞ্চ ইসসাম অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন।
নিহতের সহকর্মীরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বিরতির সময় খাবার খেয়ে আর কাজে ফেরেননি কাজী সালাহ উদ্দিন। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে লাশ মরুভূমির ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ঘটনার দুই দিন পর ১৬ আগস্ট লাশ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৪৫ দিন পার হলেও লাশ দেশে ফেরত আসেনি। এমনকি লাশ কোথায় আছে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এসবে কিছুই জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড।
পরিবারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে—এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। তখন তিনি তাঁদের বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ হয়।’ পরে আবার যোগাযোগ করা হলে এমদাদুল হক বলেন, তিনি এখন আর সৌদি আরবে নেই। ইসলাম মোহাম্মদ নামের একজন এখন তাঁর দায়িত্বে আছেন।
ইসলাম মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পুলিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নাজরানে যেতে বলেছে ৷ দূতাবাসের দল ১৭-১৮ অক্টোবর নাজরান যাবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পুত্রশোকে কাতর নাজমুন নাহার এ প্রতিবেদককে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষ বয়সে ছেলে কাজী সালাউদ্দিন হিমনের লাশ না দেখে মরতে চান না তিনি। তাই ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঘটনার একদিন আগে ইলিনার বাবা ফোন করে বলেন, সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে তাকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেবে। কিন্তু পরদিন তার মৃত্যুর খবরে সবকিছু এলোমেলো হয় গেছে। কি কারণে আমরা স্বামীকে নির্মমতার শিকার হতে হল এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার স্বামীর লাশ যেন দ্রুত দেশে আনা হয় সে ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইলিনা আক্তার ইভা সৌদিপ্রবাসী বাবার মৃত্যুসংবাদ পায় তার পরীক্ষার আগের দিন। সে জানতে পারে, তার বাবার লাশ মরুভূমিতে ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে ছিল। হাত বিচ্ছিন্ন, চোখ ওপড়ানো, নাড়িভুঁড়ি বাইরে বের হওয়া ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরদিন পরীক্ষার হলে যায় ইভা।
গত শনিবার পরীক্ষা শেষ হয় ইভার। হল থেকে বের হয়ে ইভা বলে, ‘৫০ দিন হতে চলল নির্মম মৃত্যুর শিকার বাবার লাশ পায়নি তাঁর পরিবার। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বা সৌদিতে বাংলাদেশি দূতাবাস। আবেদন করার ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে ইভার বাবার লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। ইভার এখন একটাই আকুতি, সে অন্তত একবার তার বাবার লাশটি দেখতে চায়।
ইভার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট ইভার বাবা কাজী সালাউদ্দিন হিমনের (৪৮) ক্ষতবিক্ষত লাশ সৌদির নাজরানের ইয়াদামা শহরের মরুভূমিতে দেখে সহকর্মীদের একজন তাঁর বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভাকে জানান। ছবি দেখে নিহতের মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন এটি কাজী সালাহউদ্দিন হিমনের লাশ।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের মৃত কাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে কাজী সালাহউদ্দিন হিমন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবের বিখ্যাত কোম্পানি ব্রাঞ্চ ইসসাম অ্যান্ড কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন।
নিহতের সহকর্মীরা পরিবারের সদস্যদের জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বিরতির সময় খাবার খেয়ে আর কাজে ফেরেননি কাজী সালাহ উদ্দিন। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে লাশ মরুভূমির ময়লার ভাগাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ঘটনার দুই দিন পর ১৬ আগস্ট লাশ দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৪৫ দিন পার হলেও লাশ দেশে ফেরত আসেনি। এমনকি লাশ কোথায় আছে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এসবে কিছুই জানাতে পারেনি ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড।
পরিবারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে—এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি।
সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। তখন তিনি তাঁদের বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ হয়।’ পরে আবার যোগাযোগ করা হলে এমদাদুল হক বলেন, তিনি এখন আর সৌদি আরবে নেই। ইসলাম মোহাম্মদ নামের একজন এখন তাঁর দায়িত্বে আছেন।
ইসলাম মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পুলিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নাজরানে যেতে বলেছে ৷ দূতাবাসের দল ১৭-১৮ অক্টোবর নাজরান যাবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
পুত্রশোকে কাতর নাজমুন নাহার এ প্রতিবেদককে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষ বয়সে ছেলে কাজী সালাউদ্দিন হিমনের লাশ না দেখে মরতে চান না তিনি। তাই ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ঘটনার একদিন আগে ইলিনার বাবা ফোন করে বলেন, সামনে মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে তাকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেবে। কিন্তু পরদিন তার মৃত্যুর খবরে সবকিছু এলোমেলো হয় গেছে। কি কারণে আমরা স্বামীকে নির্মমতার শিকার হতে হল এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার স্বামীর লাশ যেন দ্রুত দেশে আনা হয় সে ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে ম
০৬ অক্টোবর ২০২৩
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে ম
০৬ অক্টোবর ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৪ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে ম
০৬ অক্টোবর ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

নিহতের বড় মেয়ে ইলিনা আক্তার ইভা বলে, ‘বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দেখে পরীক্ষার হলে ঢুকি। পরীক্ষায় ঠিকমতো লিখতে পারিনি। বারবার বাবার বীভৎস ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আমার বাবার সঙ্গে কী এমন ঘটেছিল যে তাঁকে এমন নির্মমতার শিকার হতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দ্রুত লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে ম
০৬ অক্টোবর ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে