Ajker Patrika

আন্তনগর ট্রেন দাঁড় করিয়ে নামলেন রেলের অতিরিক্ত সচিব, যাত্রীদের ক্ষোভ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ৪৬
আন্তনগর ট্রেন দাঁড় করিয়ে নামলেন রেলের অতিরিক্ত সচিব, যাত্রীদের ক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যাত্রাবিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনে দাঁড় করিয়ে নেমেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিন। এ সময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এ ঘটনায় আন্তনগর মহানগর ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিন, রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহীদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব)  মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীণসহ অন্তত ১৫ জন রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আসেন।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নেমে তাঁদের গ্যাংকার কিংবা সড়কপথে গাড়িতে করে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার কথা ছিল।

যাত্রাবিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে তারা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন। কিন্তু তারা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রা বিরতিতে নামার কথা থাকলেও দলটি গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রা বিরতি বা ট্রেন দাঁড় করিয়ে নামেন।’

আখাউড়া কেবিন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে যাত্রা বিরতির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ ঘণ্টা বিলম্বে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। পরে ১১টা ১০ মিনিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনসহ অন্যদের নিয়ে আখাউড়া রেল সেকশনের বিরতিহীন গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দিয়ে তারা সেখানে নামেন। পরে আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। এ সময় যাত্রীবাহী আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনের যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনসহ রেলওয়ে কর্মকর্তারাদের নিয়ে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে উপস্থিত হওয়ার কথা। এ সময় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নেমে সড়কপথে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছাবেন ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করবেন।

পরে গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে গ্যাংকার যোগে বাংলাদেশের আখাউড়া এবং ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ পরিদর্শন করবেন। প্রকল্পটি ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে দলটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নামার কথা ছিল।

কিন্তু রেলের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনসহ অন্যরা নির্ধারিত রেলওয়ে জংশন আখাউড়া স্টেশনে না নেমে যাত্রীবাহী আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি অনির্ধারিত যাত্রা বিরতি দিয়ে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড় করিয়ে তারা নামেন। পরে ট্রেনটি অন্তত ২০ মিনিট বিলম্বে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ট্রেন যাত্রীদের অভিযোগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব কিছুতেই একটা অনির্ধারিত বিরতিহীন রেলওয়ে স্টেশনে কোনো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে পারেন না। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে ট্রেন যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি ওই ট্রেনের একজন যাত্রী মাত্র। কোনো কথা জানার থাকলে ট্রেন পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন।’

বিষয়টি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবিরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি 
জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রউফ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল অফিস শেষ করে অফিসকক্ষে তালা দিয়ে বাসায় চলে যান। সকালে অফিস খুলে দেখেন, জালানার রড ভাঙা এবং অফিসের চারটি ও পাশের রুমের পাঁচটি আলমারি ভাঙা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে। পুলিশ এসেছিল। কী কী চুরি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।

নৈশপ্রহরী বিদ্যুৎ বলেন, ‘আমি রাত ১টা পর্যন্ত জেগেছিলাম। পরে প্রচণ্ড শীত ও অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালবেলা জানতে পারলাম চুরি হয়েছে। পেছনের জানালার গ্রিল ভেঙে চুরি হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মকবুল হাসান বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে জীবননগরের বাইরে রয়েছি। চুরির বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।’

জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০২
অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল এই খামার থেকে ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল এই খামার থেকে ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন আই এগ্রো ফার্মে’ এ ঘটনা ঘটে।

খামারমালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গভীর রাতে ১২–১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত খামারের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় আমি খামারের পাশের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে ছুটে গেলে ডাকাতরা আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে খামারের ভেতর রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খামারে থাকা ১২টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।’

ইসমাইল হোসেন জানান, তাঁর ভাতিজা নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে খামারটি চালু করেন তিনি। গরু কেনার জন্য স্থানীয় একটি এনজিও থেকে বড় অঙ্কের ঋণও নেওয়া হয়েছে। গরু বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল তাঁদের। কিন্তু ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এখন পুঁজি তো নেইই, ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন—তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন।

ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন খামারের পাশের একটি চায়ের দোকানের মালিক আমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গভীর রাতে চিৎকার ও দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে দোকান থেকে বের হয়ে খামারের দিকে যাই। ডাকাতদের গরু লুট করে নিয়ে যেতে দেখে বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় ডাকাতরা।’

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে বাঁশবাড়িয়া এলাকার একটি খামার থেকে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লুট হওয়া গরু উদ্ধারে ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা

নরসিংদী সংবাদদাতা
জাহিদুল ইসলাম পলাশ। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পলাশ। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদুল উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের গয়েশপুরের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। তিনি সেখেরচর হাটে ব্যবসা করতেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কেউ জাহিদুলকে রাতে ফোন দিয়ে মাধবদীর নোয়াপাড়ায় ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘তার বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দায়ীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের পরিবার জানাজা ও দাফন শেষে থানায় মামলা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেনীর গর্ব খালেদার মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন জনপদ

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৪
ফুলগাজীর দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফুলগাজীর দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যায়ে আর কেউ পৌঁছাতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া প্রথম কর্মসূচিতে ফেনীতে এসে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এরপরও বহুবার এসেছেন। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রীর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’

বিএনপি নেতা মোশাররফ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা ফেনীবাসী সব সময় গর্ব করেছি। “ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা” এই স্লোগানটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্য মাত্রা দিয়েছিল। তার চলে যাওয়ায় আজ সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’

খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, ‘এই বাড়ির সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা আশা করছিলাম, সুস্থ হয়ে আবারও তিনি এখানে ফিরবেন। কিন্তু আজকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সবকিছু চিরদিনের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে তাঁর পক্ষে গতকাল নেতা-কর্মীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত