জমির উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।
জমির উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি।
বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন।
ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী।
হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’
এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে।
প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন
কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে।
কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
১৮ মিনিট আগে
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার নামাজের পর এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদের (১৭) নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শুরুর আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এরপর সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, দুজন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।
কামরুজ্জামান রতনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের পরিবেশ ছিল। হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিনের সমর্থক আলী হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি ভেঙে চুরমার করেছে; এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছে। আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এখন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে আছি।’
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতা-কর্মীদের বলব, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।’

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদের (১৭) নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শুরুর আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এরপর সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, দুজন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।
কামরুজ্জামান রতনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের পরিবেশ ছিল। হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিনের সমর্থক আলী হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি ভেঙে চুরমার করেছে; এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছে। আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এখন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে আছি।’
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতা-কর্মীদের বলব, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।’

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
১৮ মিনিট আগে
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার নামাজের পর এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে জানা যায়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মন্নাফ হাওলাদার ও জামাল গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত ১১ নভেম্বর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করে। জামাল গাজীর করা একটি মামলায় মন্নাফ হাওলাদারসহ ১২ জন কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে ওই জমির ধান কাটতে যান জামাল গাজীর ভাই ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ গাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন। এ সময় মন্নাফ হাওলাদারের বাড়ির নারীরা বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন কদভানু (৪৫), শেফালী (৪০), নুর নাহার (৩৫), মমতাজ (৭০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)। ভুক্তভোগীরা জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে কদভানু ও নুর নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
মন্নাফ হাওলাদারের জামাতা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসামাত্রই আরিফ গাজীর লোকজন তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় তারা একজনকে মারধর করে। আহতদের আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জাকারিয়া, সগির ও লিপি বেগম নামের তিনজনকে আটক করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ গাজী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে জানা যায়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মন্নাফ হাওলাদার ও জামাল গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত ১১ নভেম্বর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করে। জামাল গাজীর করা একটি মামলায় মন্নাফ হাওলাদারসহ ১২ জন কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে ওই জমির ধান কাটতে যান জামাল গাজীর ভাই ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ গাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন। এ সময় মন্নাফ হাওলাদারের বাড়ির নারীরা বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন কদভানু (৪৫), শেফালী (৪০), নুর নাহার (৩৫), মমতাজ (৭০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)। ভুক্তভোগীরা জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে কদভানু ও নুর নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
মন্নাফ হাওলাদারের জামাতা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসামাত্রই আরিফ গাজীর লোকজন তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় তারা একজনকে মারধর করে। আহতদের আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জাকারিয়া, সগির ও লিপি বেগম নামের তিনজনকে আটক করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ গাজী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
১৮ মিনিট আগে
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার নামাজের পর এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
গত ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে সপ্তাহে এক দিন করে ট্যুরিস্ট সার্ভিস দিচ্ছে ঐতিহ্যের প্যাডেলচালিত স্টিমার পিএস মাহসুদ। প্রথম যাত্রায় ২৩ জন পর্যটক হওয়ায় এই সার্ভিস টিকিয়ে রাখা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছিল।
স্টিমার মাহসুদের ক্লার্ক নিপু জানান, আজ ঢাকা থেকে বরিশাল ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে রওনা করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে চাঁদপুরে কিছু যাত্রী নেমেছেন। এই ট্রিপে প্রথম শ্রেণির কেবিনে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনে ১৬ জন এবং চেয়ার সিটে ৩৭ জন এসেছেন।
আজ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান বলেন, ভ্রমণের জন্য নিঃসন্দেহে মাহসুদের সার্ভিস ভালো।
স্টিমার মাহসুদের মাস্টার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আগের তুলনায় পর্যটক বাড়া শুরু করেছে। তাঁরা আজ সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সন্ধ্যার পর বরিশালে পৌঁছেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালে আসার কথা ছিল স্টিমার মাহসুদের। কিন্তু পর্যটক না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর মাত্র ২৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। ওই যাত্রায় বরিশাল কিংবা চাঁদপুর থেকে কোনো পর্যটক ওঠেননি। এতে এই ট্যুরিস্ট সার্ভিস নিয়ে হতাশ ছিল বিআইডব্লিউটিসি।
স্টিমার পিএস মাহসুদের ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, প্রতিটি ট্রিপে বরিশাল থেকে ঢাকা ১০ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে বরিশাল ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আপডাউনে (আসা ও যাওয়া) পিএস মাহসুদের জন্য জ্বালানি তেল দরকার হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ লিটার। এতে জেনারেটর, মেইন ইঞ্জিনসহ সব কার্যক্রম সচল ছিল। প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকা দরে আপডাউনে মাহসুদের তেল খরচ হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। তাঁর মতে, প্রথম ট্রিপে ১ লাখ টাকার কম ভাড়া পেয়েছে স্টিমার মাহসুদ। বাকিটা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দিন জানান, দ্বিতীয় ট্রিপে পিএস মাহসুদ ঢাকা থেকে বরিশালে ৭৩ পর্যটক নিয়ে আসে। প্রথমবার মাত্র ২৩ পর্যটক হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে স্টিমারে পর্যটক বাড়বে।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-বরিশাল রুটে বিআইডব্লিউটিসির প্যাডেলচালিত স্টিমার সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর সেই স্টিমার যাত্রী পরিবহনে ফেরাতে কয়েক মাস ধরে তৎপরতা চলে। শত বছরের পুরোনো জাহাজটি মেরামতে ব্যয় করা হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
গত ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে সপ্তাহে এক দিন করে ট্যুরিস্ট সার্ভিস দিচ্ছে ঐতিহ্যের প্যাডেলচালিত স্টিমার পিএস মাহসুদ। প্রথম যাত্রায় ২৩ জন পর্যটক হওয়ায় এই সার্ভিস টিকিয়ে রাখা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছিল।
স্টিমার মাহসুদের ক্লার্ক নিপু জানান, আজ ঢাকা থেকে বরিশাল ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে রওনা করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে চাঁদপুরে কিছু যাত্রী নেমেছেন। এই ট্রিপে প্রথম শ্রেণির কেবিনে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনে ১৬ জন এবং চেয়ার সিটে ৩৭ জন এসেছেন।
আজ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান বলেন, ভ্রমণের জন্য নিঃসন্দেহে মাহসুদের সার্ভিস ভালো।
স্টিমার মাহসুদের মাস্টার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আগের তুলনায় পর্যটক বাড়া শুরু করেছে। তাঁরা আজ সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সন্ধ্যার পর বরিশালে পৌঁছেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালে আসার কথা ছিল স্টিমার মাহসুদের। কিন্তু পর্যটক না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর মাত্র ২৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। ওই যাত্রায় বরিশাল কিংবা চাঁদপুর থেকে কোনো পর্যটক ওঠেননি। এতে এই ট্যুরিস্ট সার্ভিস নিয়ে হতাশ ছিল বিআইডব্লিউটিসি।
স্টিমার পিএস মাহসুদের ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, প্রতিটি ট্রিপে বরিশাল থেকে ঢাকা ১০ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে বরিশাল ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আপডাউনে (আসা ও যাওয়া) পিএস মাহসুদের জন্য জ্বালানি তেল দরকার হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ লিটার। এতে জেনারেটর, মেইন ইঞ্জিনসহ সব কার্যক্রম সচল ছিল। প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকা দরে আপডাউনে মাহসুদের তেল খরচ হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। তাঁর মতে, প্রথম ট্রিপে ১ লাখ টাকার কম ভাড়া পেয়েছে স্টিমার মাহসুদ। বাকিটা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দিন জানান, দ্বিতীয় ট্রিপে পিএস মাহসুদ ঢাকা থেকে বরিশালে ৭৩ পর্যটক নিয়ে আসে। প্রথমবার মাত্র ২৩ পর্যটক হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে স্টিমারে পর্যটক বাড়বে।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-বরিশাল রুটে বিআইডব্লিউটিসির প্যাডেলচালিত স্টিমার সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর সেই স্টিমার যাত্রী পরিবহনে ফেরাতে কয়েক মাস ধরে তৎপরতা চলে। শত বছরের পুরোনো জাহাজটি মেরামতে ব্যয় করা হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার নামাজের পর এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) সীতাকুণ্ড

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর (দুপুরে) কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো এসব সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন তাঁরা।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাগর থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় জেলে সন্তোষ কুমার জলদাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মাছ ধরার নৌকা রাখার জায়গাগুলো বিলীন হচ্ছে।
কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর (দুপুরে) কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো এসব সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন তাঁরা।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাগর থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় জেলে সন্তোষ কুমার জলদাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মাছ ধরার নৌকা রাখার জায়গাগুলো বিলীন হচ্ছে।
কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী।

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা।
১১ অক্টোবর ২০২৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় ট্রিপে পর্যটক বেড়েছে স্টিমার পিএস মাহসুদের। আজ শুক্রবার সকালে ৭৩ জন পর্যটক নিয়ে বরিশালে পৌঁছায় মাহসুদ। এতে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। স্টিমার সার্ভিসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
১৮ মিনিট আগে