শিমুল চৌধুরী, ভোলা

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
উপজেলার মূল ভূখণ্ডের বাইরের এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্যোগ শুরু হলে দুর্বিষহ জীবন কাটে সেখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার লোকের বসবাস। কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ শিকার সেখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা। নদীপথে যেতে হয় সেখানে। বিশেষ করে দুর্যোগ মৌসুমে এসব নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ফলে এলাকাতে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
ঢালচর ইউনিয়নে কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। তবে, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নে একটি করে সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু নেই গবাদিপশুর জন্য কেল্লা। ফলে দুর্যোগ মৌসুমগুলোতে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হয় বাসিন্দাদের।
ঢালচর দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ঘূর্ণিঝড় হলে প্রায়ই ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্যোগ মৌসুমে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। চর কুকরিমুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি এলাকা। এখন সেখানে নদীভাঙন নিয়মিত ঘটনা। বসতভিটা হারিয়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনটি ইউনিয়নের বহু পরিবার যেসব ঘরে বাস করে, সেসব ঘর সামান্য ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের এক ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। দূরবর্তী চরাঞ্চলে অনেক সময় দুর্যোগপূর্ব সতর্কতা পৌঁছায় না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে যায়। তবে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও এখানকার মানুষ হাল ছাড়েনি। স্থানীয়ভাবে তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় উঁচু ঘর তৈরি করে কিংবা নিজেরা আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। স্থানীয় কিছু যুবক দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
ঢালচরের বাসিন্দা কামাল জানান, পূর্বপুরুষ হতেই তাঁরা এই এলাকাতে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন জেলে। প্রতিবছরের বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। কারণ, যখন দুর্যোগ শুরু হয়, তখন নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এতে করে মূল ভূখণ্ডে তাঁরা আসতে পারেন না। আর উঁচু কোনো সাইক্লোন শেল্টার ও গবাদিপশুর জন্য কোনো কেল্লা না থাকার কারণে বিপদে পড়তে হয় তাঁদের।

চর কুকরিমুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম জানান, কৃষিকাজ করেই ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয় তাঁর। ১০টির অধিক গবাদিপশু লালনপালন করেন তিনি। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর গবাদিপশু ভেসে যায় এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বেঁচে থাকার জন্য পুনরায় ঘর নির্মাণ করেন। এভাবেই চলছে তাঁর জীবন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ইউনিয়ন তিনটি ভৌগোলিকভাবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর দুর্যোগ মৌসুম এলেই এখানকার মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এসব এলাকায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছি।’

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
উপজেলার মূল ভূখণ্ডের বাইরের এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্যোগ শুরু হলে দুর্বিষহ জীবন কাটে সেখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার লোকের বসবাস। কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ শিকার সেখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা। নদীপথে যেতে হয় সেখানে। বিশেষ করে দুর্যোগ মৌসুমে এসব নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ফলে এলাকাতে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
ঢালচর ইউনিয়নে কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। তবে, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নে একটি করে সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু নেই গবাদিপশুর জন্য কেল্লা। ফলে দুর্যোগ মৌসুমগুলোতে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হয় বাসিন্দাদের।
ঢালচর দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ঘূর্ণিঝড় হলে প্রায়ই ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্যোগ মৌসুমে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। চর কুকরিমুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি এলাকা। এখন সেখানে নদীভাঙন নিয়মিত ঘটনা। বসতভিটা হারিয়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনটি ইউনিয়নের বহু পরিবার যেসব ঘরে বাস করে, সেসব ঘর সামান্য ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের এক ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। দূরবর্তী চরাঞ্চলে অনেক সময় দুর্যোগপূর্ব সতর্কতা পৌঁছায় না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে যায়। তবে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও এখানকার মানুষ হাল ছাড়েনি। স্থানীয়ভাবে তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় উঁচু ঘর তৈরি করে কিংবা নিজেরা আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। স্থানীয় কিছু যুবক দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
ঢালচরের বাসিন্দা কামাল জানান, পূর্বপুরুষ হতেই তাঁরা এই এলাকাতে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন জেলে। প্রতিবছরের বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। কারণ, যখন দুর্যোগ শুরু হয়, তখন নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এতে করে মূল ভূখণ্ডে তাঁরা আসতে পারেন না। আর উঁচু কোনো সাইক্লোন শেল্টার ও গবাদিপশুর জন্য কোনো কেল্লা না থাকার কারণে বিপদে পড়তে হয় তাঁদের।

চর কুকরিমুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম জানান, কৃষিকাজ করেই ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয় তাঁর। ১০টির অধিক গবাদিপশু লালনপালন করেন তিনি। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর গবাদিপশু ভেসে যায় এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বেঁচে থাকার জন্য পুনরায় ঘর নির্মাণ করেন। এভাবেই চলছে তাঁর জীবন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ইউনিয়ন তিনটি ভৌগোলিকভাবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর দুর্যোগ মৌসুম এলেই এখানকার মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এসব এলাকায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছি।’
শিমুল চৌধুরী, ভোলা

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
উপজেলার মূল ভূখণ্ডের বাইরের এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্যোগ শুরু হলে দুর্বিষহ জীবন কাটে সেখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার লোকের বসবাস। কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ শিকার সেখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা। নদীপথে যেতে হয় সেখানে। বিশেষ করে দুর্যোগ মৌসুমে এসব নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ফলে এলাকাতে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
ঢালচর ইউনিয়নে কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। তবে, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নে একটি করে সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু নেই গবাদিপশুর জন্য কেল্লা। ফলে দুর্যোগ মৌসুমগুলোতে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হয় বাসিন্দাদের।
ঢালচর দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ঘূর্ণিঝড় হলে প্রায়ই ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্যোগ মৌসুমে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। চর কুকরিমুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি এলাকা। এখন সেখানে নদীভাঙন নিয়মিত ঘটনা। বসতভিটা হারিয়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনটি ইউনিয়নের বহু পরিবার যেসব ঘরে বাস করে, সেসব ঘর সামান্য ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের এক ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। দূরবর্তী চরাঞ্চলে অনেক সময় দুর্যোগপূর্ব সতর্কতা পৌঁছায় না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে যায়। তবে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও এখানকার মানুষ হাল ছাড়েনি। স্থানীয়ভাবে তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় উঁচু ঘর তৈরি করে কিংবা নিজেরা আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। স্থানীয় কিছু যুবক দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
ঢালচরের বাসিন্দা কামাল জানান, পূর্বপুরুষ হতেই তাঁরা এই এলাকাতে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন জেলে। প্রতিবছরের বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। কারণ, যখন দুর্যোগ শুরু হয়, তখন নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এতে করে মূল ভূখণ্ডে তাঁরা আসতে পারেন না। আর উঁচু কোনো সাইক্লোন শেল্টার ও গবাদিপশুর জন্য কোনো কেল্লা না থাকার কারণে বিপদে পড়তে হয় তাঁদের।

চর কুকরিমুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম জানান, কৃষিকাজ করেই ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয় তাঁর। ১০টির অধিক গবাদিপশু লালনপালন করেন তিনি। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর গবাদিপশু ভেসে যায় এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বেঁচে থাকার জন্য পুনরায় ঘর নির্মাণ করেন। এভাবেই চলছে তাঁর জীবন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ইউনিয়ন তিনটি ভৌগোলিকভাবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর দুর্যোগ মৌসুম এলেই এখানকার মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এসব এলাকায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছি।’

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
উপজেলার মূল ভূখণ্ডের বাইরের এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্যোগ শুরু হলে দুর্বিষহ জীবন কাটে সেখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার লোকের বসবাস। কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ শিকার সেখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা। নদীপথে যেতে হয় সেখানে। বিশেষ করে দুর্যোগ মৌসুমে এসব নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ফলে এলাকাতে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
ঢালচর ইউনিয়নে কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। তবে, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নে একটি করে সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু নেই গবাদিপশুর জন্য কেল্লা। ফলে দুর্যোগ মৌসুমগুলোতে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হয় বাসিন্দাদের।
ঢালচর দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ঘূর্ণিঝড় হলে প্রায়ই ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্যোগ মৌসুমে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। চর কুকরিমুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি এলাকা। এখন সেখানে নদীভাঙন নিয়মিত ঘটনা। বসতভিটা হারিয়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনটি ইউনিয়নের বহু পরিবার যেসব ঘরে বাস করে, সেসব ঘর সামান্য ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের এক ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। দূরবর্তী চরাঞ্চলে অনেক সময় দুর্যোগপূর্ব সতর্কতা পৌঁছায় না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে যায়। তবে, এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও এখানকার মানুষ হাল ছাড়েনি। স্থানীয়ভাবে তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় উঁচু ঘর তৈরি করে কিংবা নিজেরা আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। স্থানীয় কিছু যুবক দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।
ঢালচরের বাসিন্দা কামাল জানান, পূর্বপুরুষ হতেই তাঁরা এই এলাকাতে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন জেলে। প্রতিবছরের বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। কারণ, যখন দুর্যোগ শুরু হয়, তখন নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এতে করে মূল ভূখণ্ডে তাঁরা আসতে পারেন না। আর উঁচু কোনো সাইক্লোন শেল্টার ও গবাদিপশুর জন্য কোনো কেল্লা না থাকার কারণে বিপদে পড়তে হয় তাঁদের।

চর কুকরিমুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম জানান, কৃষিকাজ করেই ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয় তাঁর। ১০টির অধিক গবাদিপশু লালনপালন করেন তিনি। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জোয়ারের পানিতে তাঁর গবাদিপশু ভেসে যায় এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বেঁচে থাকার জন্য পুনরায় ঘর নির্মাণ করেন। এভাবেই চলছে তাঁর জীবন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ইউনিয়ন তিনটি ভৌগোলিকভাবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর দুর্যোগ মৌসুম এলেই এখানকার মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এসব এলাকায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছি।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়...
২৭ মিনিট আগে
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
৪৩ মিনিট আগেকলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজউদ্দিনের বাড়ি পাশের মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেয়ারপুর গ্রাম-সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদে খেয়া (নৌকা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেখানেই নদীর তীরে একটি ঝুপড়িতে স্ত্রী আকলিমাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজে না যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সকাল ৬টার দিকে খোঁজ নিতে যান। ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা ভেতরে ঢুকে চৌকিতে আকলিমার ও নিচে সিরাজউদ্দিনের মরদেহ দেখতে পান। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরে কালো দাগ এবং আকলিমার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার বলেন, ‘সকালে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সিরাজউদ্দিনকে না দেখে আমি তাঁদের ঘরে যাই। দেখি, সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন আর তাঁর স্ত্রী চৌকিতে শুয়ে আছেন। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে।’
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডি টিম তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজউদ্দিনের বাড়ি পাশের মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেয়ারপুর গ্রাম-সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদে খেয়া (নৌকা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেখানেই নদীর তীরে একটি ঝুপড়িতে স্ত্রী আকলিমাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজে না যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সকাল ৬টার দিকে খোঁজ নিতে যান। ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা ভেতরে ঢুকে চৌকিতে আকলিমার ও নিচে সিরাজউদ্দিনের মরদেহ দেখতে পান। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরে কালো দাগ এবং আকলিমার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার বলেন, ‘সকালে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সিরাজউদ্দিনকে না দেখে আমি তাঁদের ঘরে যাই। দেখি, সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন আর তাঁর স্ত্রী চৌকিতে শুয়ে আছেন। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে।’
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডি টিম তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
৩১ মে ২০২৫
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়...
২৭ মিনিট আগে
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
৪৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শামিম মিয়া গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের ঝিল্লু কাজীর বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর চুরি করে ট্রাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে আট সদস্যের একটি গরুচোর চক্র। এ সময় ট্রাকটি উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা গরুসহ আট চোরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
ওসি মোস্তফা কামাল আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামিম মিয়াকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারাত্মক আহত লিটন, সুমন হাওলাদার, ইলিয়াছ সরদার, ফারুক শেখ, সোহাগ, বিপ্লব সরকার ও ফয়সাল মিয়া পুলিশি পাহারায় মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শামিম মিয়া গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের ঝিল্লু কাজীর বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর চুরি করে ট্রাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে আট সদস্যের একটি গরুচোর চক্র। এ সময় ট্রাকটি উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা গরুসহ আট চোরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
ওসি মোস্তফা কামাল আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামিম মিয়াকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারাত্মক আহত লিটন, সুমন হাওলাদার, ইলিয়াছ সরদার, ফারুক শেখ, সোহাগ, বিপ্লব সরকার ও ফয়সাল মিয়া পুলিশি পাহারায় মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
৩১ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়...
২৭ মিনিট আগে
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
৪৩ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি। কিন্তু যারা দেশের সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো নির্বাচনী জোট সম্ভব নয়।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডে এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি। হাসনাত বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যে ১৫ নভেম্বরের কথা বলেছেন।’
আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাস প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনের দিকে ভাবতে হবে। আমরা দেখেছি টক শোতে আওয়ামী লীগের ল্যাসপেন্সার, ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী, সুবিধাভোগীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছিল। কিন্তু গত দুই দিনের কার্যক্রমে বোঝা উচিত, তারা কখনো গণমানুষের দল ছিল না। আওয়ামী লীগের পতন ব্যালটে হয়নি, তাকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত তখনই হয়, যখন তার রাজনৈতিক অবস্থান ফুরিয়ে যায়। এ দলটিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে যারা বৈধতা উৎপাদন করছে, তারা মূলত আগুন-সন্ত্রাসের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করছে। তারা বুলেট, ব্যাংক লুট, গুম, খুন, মাইনরিটি নির্যাতনের পক্ষে বৈধতা দিচ্ছে।’
সংস্কারের বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে চাই। ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি দল-মতকে আমরা ধারণ করি। আবার যদি মধ্যরাতে ডিসি ভাগাভাগি হয়, পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে নির্বাচন হয়, নির্বাচন যদি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হয়, তাহলে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। আমরা চাই জনগণের ক্ষমতায়ন।’
গণমাধ্যম বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে একধরনের ব্যক্তি প্রোপাগান্ডা ও ফ্যাসিবাদের পক্ষে মতামত উৎপাদন করে। তারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার মতামত উৎপাদন করে। সাংবাদিকেরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মিডিয়া মাফিয়ারা ব্যর্থ করতে চায়।’ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত যদি করতে না পারি, তাহলে কোনো সময়েই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না।’
হাসনাত আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে কলুষিত করা হয়েছে। গডফাদারের রাজনীতি এসব কলুষিত করেছে। এনসিপি নারায়ণগঞ্জে ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ প্রমুখ।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি। কিন্তু যারা দেশের সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো নির্বাচনী জোট সম্ভব নয়।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডে এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি। হাসনাত বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যে ১৫ নভেম্বরের কথা বলেছেন।’
আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাস প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনের দিকে ভাবতে হবে। আমরা দেখেছি টক শোতে আওয়ামী লীগের ল্যাসপেন্সার, ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী, সুবিধাভোগীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছিল। কিন্তু গত দুই দিনের কার্যক্রমে বোঝা উচিত, তারা কখনো গণমানুষের দল ছিল না। আওয়ামী লীগের পতন ব্যালটে হয়নি, তাকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত তখনই হয়, যখন তার রাজনৈতিক অবস্থান ফুরিয়ে যায়। এ দলটিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে যারা বৈধতা উৎপাদন করছে, তারা মূলত আগুন-সন্ত্রাসের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করছে। তারা বুলেট, ব্যাংক লুট, গুম, খুন, মাইনরিটি নির্যাতনের পক্ষে বৈধতা দিচ্ছে।’
সংস্কারের বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে চাই। ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি দল-মতকে আমরা ধারণ করি। আবার যদি মধ্যরাতে ডিসি ভাগাভাগি হয়, পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে নির্বাচন হয়, নির্বাচন যদি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হয়, তাহলে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। আমরা চাই জনগণের ক্ষমতায়ন।’
গণমাধ্যম বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে একধরনের ব্যক্তি প্রোপাগান্ডা ও ফ্যাসিবাদের পক্ষে মতামত উৎপাদন করে। তারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার মতামত উৎপাদন করে। সাংবাদিকেরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মিডিয়া মাফিয়ারা ব্যর্থ করতে চায়।’ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত যদি করতে না পারি, তাহলে কোনো সময়েই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না।’
হাসনাত আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে কলুষিত করা হয়েছে। গডফাদারের রাজনীতি এসব কলুষিত করেছে। এনসিপি নারায়ণগঞ্জে ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ প্রমুখ।

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
৩১ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
বেলা ১২টার দিকে পল্টন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় ও আশপাশে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনরত আট দলের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘গণভোট সরকার দেবে কি দেবে না সে সিদ্ধান্ত আজই দিতে হবে। জুলাই সনদ, সংস্কার নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে সরকার। আর কোনো টালবাহানা আজকের জনতা মানবে না।’
আব্দুর রাহমান নামে জামায়াতের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা সরকারের অনেক বাহানা শুনেছি, আর শুনতে চাই না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে যদি নির্বাচনের আগেই গণভোট হয়। অন্যথায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
গতকাল সোমবার আন্দোলনরত আট দলের নেতাদের বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ সমাবেশ।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে।’
তিনি আরও জানান, পল্টন মোড়ে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হবে এবং নাইটিঙ্গেল মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন এলাকাজুড়ে আট দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করবেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর পল্টন মোড়ে সমাবেশ করেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনায় যান একটি প্রতিনিধি দল। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো না হলে আজ ১১ নভেম্বর সমাবেশ করার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৮টি দল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এ সমাবেশ। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে দলে দলে এসে জড়ো হচ্ছেন।
বেলা ১২টার দিকে পল্টন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় ও আশপাশে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনরত আট দলের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘গণভোট সরকার দেবে কি দেবে না সে সিদ্ধান্ত আজই দিতে হবে। জুলাই সনদ, সংস্কার নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে সরকার। আর কোনো টালবাহানা আজকের জনতা মানবে না।’
আব্দুর রাহমান নামে জামায়াতের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা সরকারের অনেক বাহানা শুনেছি, আর শুনতে চাই না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে যদি নির্বাচনের আগেই গণভোট হয়। অন্যথায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
গতকাল সোমবার আন্দোলনরত আট দলের নেতাদের বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ সমাবেশ।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে।’
তিনি আরও জানান, পল্টন মোড়ে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হবে এবং নাইটিঙ্গেল মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন এলাকাজুড়ে আট দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করবেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর পল্টন মোড়ে সমাবেশ করেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনায় যান একটি প্রতিনিধি দল। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো না হলে আজ ১১ নভেম্বর সমাবেশ করার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

উপকূলীয় জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের মুখোমুখি হচ্ছে এই উপজেলার ঢালচর, চর কুকরিমুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে এক অবিরাম সংগ্রাম।
৩১ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে একটি বসতঘর থেকে স্বামী সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ওই চক্রের আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারি। সংস্কারের পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়...
২৭ মিনিট আগে