মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে চাকরি জাতীয়করণের লোভে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা টাকা দিচ্ছেন। দ্রুত ওই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১১৯টি নামসর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছেন।
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর ৭৬টি আমতলীর ও ৪৩টি তালতলীর। এর মধ্যে দুই উপজেলায় অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র ছয়টি। এ মাদ্রাসাগুলো হলো পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া, কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ও তালতলীর চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা ছয়টি অনুদান পেলেও গত দুই/এক বছরে কোনো শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসেনি বলে জানা যায়। শিক্ষকেরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন। বাস্তবে কোনো শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় এলেও উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে খাতা বগলদাবা করে চলে যান।
স্থানীয়রা বলেন, ওই সব মাদ্রাসায় কোনো দিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আসতে দেখিনি। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সব সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। এ ছাড়া অনুদানবিহীন ১১৩ মাদ্রাসার অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই, শিক্ষার্থী তো দূরের কথা। ২০১৮ সালে কিছু মাদ্রাসার ঘর তুলে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এসব মাদ্রাসার নামে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।
আমতলীর ৭৬টি মাদ্রাসায় ৯ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী এবং তালতলীর ৪৩টি মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৯৫০ শিক্ষার্থী দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো মাদ্রাসায়ই শিক্ষার্থী নেই। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলীতে নামসর্বস্ব মাদ্রাসাসহ ৭৬টি এবং তালতলীতে ৪৩টি মাদ্রাসার তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিলে আনন্দে মেতে ওঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা জাতীয়করণের নামে মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালেরা ভয় দেখান এই বলে যে—দ্রুত টাকা দেন, নইলে মাদ্রাসা জাতীয়করণের তালিকায় নাম যাবে না। যাঁরা আগে টাকা দেবেন তাঁদেরটা আগের তালিকায় জাতীয়করণ হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টাকা দিতে হবে। নইলে জাতীয়করণ হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক দালালদের টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জালাল পিয়াদা ও আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন এই দালালি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে জালাল পিয়াদারের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসার তালিকা চেয়েছেন, তাই তালিকা দিয়েছি।’ শিক্ষার্থী নেই এমন মাদ্রাসার নাম দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
গত সোমবার আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত মাদ্রাসা কুতুবপুর ইসরাইলিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া ও তালতলী উপজেলার একমাত্র চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ঘুরে দেখা গেছে, মাদ্রাসার ঘর আছে; কিন্তু কত দিন আগে এ মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী এসেছে তা বলা মুশকিল।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসার দোচালা টিনের ঘরের কক্ষ খড়কুটায় ভরা দেখা যায়। কোনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ছিল না। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখনো বই পাইনি। তাই ক্লাস করতে পারছি না।’
মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় ভাঙাচোরা বেঞ্চ-টেবিল দেখা যায়। কক্ষ ময়লা-আবর্জনায় ভরা ছিল। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান মাওলানা আলাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁরা গত বছর ক্লাস করেছেন। এ বছর বই না পাওয়ায় ক্লাস শুরু হয়নি। এখন রোজা ও ঈদের বন্ধ।
অনুদানবিহীন তালিকার ৪০ নম্বর গোজখালী তাছাউফ স্বতন্ত্র মাদ্রাসার কোনো ভবন নেই। স্থানীয় নুর জামাল, সফিকুল্লাহ ও আবিদ বলেন, ‘ভবন তো নেই, শিক্ষার্থীও নেই। কিন্তু কীভাবে তালিকায় নাম আসল তা আমরা জানি না?’
৭৬ নম্বর পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া মুজাহিদিয়া, ১৪ নম্বর উত্তর কাউনিয়া, ৫৩ নম্বর কাউনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা বলেন, গত ২০ বছরে দেখিনি এই নামে কোনো মাদ্রাসার অস্তিত্ব আছে। তালতলীর ২৫ নম্বর পূর্ব গাবতলী এইউ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসারও কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণ ঘোষণার পরে মাদ্রাসার নাম তালিকায় দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অলি আহাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় তালিকা চেয়েছে। তাই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নামসর্বস্ব মাদ্রাসার নাম কেন তালিকায় পাঠিয়েছেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে টাকার বিনিময়ে তালিকা করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে চাকরি জাতীয়করণের লোভে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা টাকা দিচ্ছেন। দ্রুত ওই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১১৯টি নামসর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছেন।
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর ৭৬টি আমতলীর ও ৪৩টি তালতলীর। এর মধ্যে দুই উপজেলায় অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র ছয়টি। এ মাদ্রাসাগুলো হলো পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া, কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ও তালতলীর চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা ছয়টি অনুদান পেলেও গত দুই/এক বছরে কোনো শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসেনি বলে জানা যায়। শিক্ষকেরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন। বাস্তবে কোনো শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় এলেও উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে খাতা বগলদাবা করে চলে যান।
স্থানীয়রা বলেন, ওই সব মাদ্রাসায় কোনো দিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আসতে দেখিনি। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সব সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। এ ছাড়া অনুদানবিহীন ১১৩ মাদ্রাসার অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই, শিক্ষার্থী তো দূরের কথা। ২০১৮ সালে কিছু মাদ্রাসার ঘর তুলে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এসব মাদ্রাসার নামে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।
আমতলীর ৭৬টি মাদ্রাসায় ৯ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী এবং তালতলীর ৪৩টি মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৯৫০ শিক্ষার্থী দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো মাদ্রাসায়ই শিক্ষার্থী নেই। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলীতে নামসর্বস্ব মাদ্রাসাসহ ৭৬টি এবং তালতলীতে ৪৩টি মাদ্রাসার তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিলে আনন্দে মেতে ওঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা জাতীয়করণের নামে মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালেরা ভয় দেখান এই বলে যে—দ্রুত টাকা দেন, নইলে মাদ্রাসা জাতীয়করণের তালিকায় নাম যাবে না। যাঁরা আগে টাকা দেবেন তাঁদেরটা আগের তালিকায় জাতীয়করণ হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টাকা দিতে হবে। নইলে জাতীয়করণ হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক দালালদের টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জালাল পিয়াদা ও আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন এই দালালি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে জালাল পিয়াদারের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসার তালিকা চেয়েছেন, তাই তালিকা দিয়েছি।’ শিক্ষার্থী নেই এমন মাদ্রাসার নাম দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
গত সোমবার আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত মাদ্রাসা কুতুবপুর ইসরাইলিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া ও তালতলী উপজেলার একমাত্র চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ঘুরে দেখা গেছে, মাদ্রাসার ঘর আছে; কিন্তু কত দিন আগে এ মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী এসেছে তা বলা মুশকিল।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসার দোচালা টিনের ঘরের কক্ষ খড়কুটায় ভরা দেখা যায়। কোনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ছিল না। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখনো বই পাইনি। তাই ক্লাস করতে পারছি না।’
মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় ভাঙাচোরা বেঞ্চ-টেবিল দেখা যায়। কক্ষ ময়লা-আবর্জনায় ভরা ছিল। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান মাওলানা আলাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁরা গত বছর ক্লাস করেছেন। এ বছর বই না পাওয়ায় ক্লাস শুরু হয়নি। এখন রোজা ও ঈদের বন্ধ।
অনুদানবিহীন তালিকার ৪০ নম্বর গোজখালী তাছাউফ স্বতন্ত্র মাদ্রাসার কোনো ভবন নেই। স্থানীয় নুর জামাল, সফিকুল্লাহ ও আবিদ বলেন, ‘ভবন তো নেই, শিক্ষার্থীও নেই। কিন্তু কীভাবে তালিকায় নাম আসল তা আমরা জানি না?’
৭৬ নম্বর পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া মুজাহিদিয়া, ১৪ নম্বর উত্তর কাউনিয়া, ৫৩ নম্বর কাউনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা বলেন, গত ২০ বছরে দেখিনি এই নামে কোনো মাদ্রাসার অস্তিত্ব আছে। তালতলীর ২৫ নম্বর পূর্ব গাবতলী এইউ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসারও কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণ ঘোষণার পরে মাদ্রাসার নাম তালিকায় দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অলি আহাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় তালিকা চেয়েছে। তাই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নামসর্বস্ব মাদ্রাসার নাম কেন তালিকায় পাঠিয়েছেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে টাকার বিনিময়ে তালিকা করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:
মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে চাকরি জাতীয়করণের লোভে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা টাকা দিচ্ছেন। দ্রুত ওই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১১৯টি নামসর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছেন।
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর ৭৬টি আমতলীর ও ৪৩টি তালতলীর। এর মধ্যে দুই উপজেলায় অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র ছয়টি। এ মাদ্রাসাগুলো হলো পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া, কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ও তালতলীর চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা ছয়টি অনুদান পেলেও গত দুই/এক বছরে কোনো শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসেনি বলে জানা যায়। শিক্ষকেরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন। বাস্তবে কোনো শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় এলেও উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে খাতা বগলদাবা করে চলে যান।
স্থানীয়রা বলেন, ওই সব মাদ্রাসায় কোনো দিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আসতে দেখিনি। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সব সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। এ ছাড়া অনুদানবিহীন ১১৩ মাদ্রাসার অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই, শিক্ষার্থী তো দূরের কথা। ২০১৮ সালে কিছু মাদ্রাসার ঘর তুলে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এসব মাদ্রাসার নামে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।
আমতলীর ৭৬টি মাদ্রাসায় ৯ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী এবং তালতলীর ৪৩টি মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৯৫০ শিক্ষার্থী দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো মাদ্রাসায়ই শিক্ষার্থী নেই। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলীতে নামসর্বস্ব মাদ্রাসাসহ ৭৬টি এবং তালতলীতে ৪৩টি মাদ্রাসার তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিলে আনন্দে মেতে ওঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা জাতীয়করণের নামে মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালেরা ভয় দেখান এই বলে যে—দ্রুত টাকা দেন, নইলে মাদ্রাসা জাতীয়করণের তালিকায় নাম যাবে না। যাঁরা আগে টাকা দেবেন তাঁদেরটা আগের তালিকায় জাতীয়করণ হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টাকা দিতে হবে। নইলে জাতীয়করণ হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক দালালদের টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জালাল পিয়াদা ও আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন এই দালালি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে জালাল পিয়াদারের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসার তালিকা চেয়েছেন, তাই তালিকা দিয়েছি।’ শিক্ষার্থী নেই এমন মাদ্রাসার নাম দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
গত সোমবার আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত মাদ্রাসা কুতুবপুর ইসরাইলিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া ও তালতলী উপজেলার একমাত্র চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ঘুরে দেখা গেছে, মাদ্রাসার ঘর আছে; কিন্তু কত দিন আগে এ মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী এসেছে তা বলা মুশকিল।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসার দোচালা টিনের ঘরের কক্ষ খড়কুটায় ভরা দেখা যায়। কোনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ছিল না। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখনো বই পাইনি। তাই ক্লাস করতে পারছি না।’
মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় ভাঙাচোরা বেঞ্চ-টেবিল দেখা যায়। কক্ষ ময়লা-আবর্জনায় ভরা ছিল। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান মাওলানা আলাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁরা গত বছর ক্লাস করেছেন। এ বছর বই না পাওয়ায় ক্লাস শুরু হয়নি। এখন রোজা ও ঈদের বন্ধ।
অনুদানবিহীন তালিকার ৪০ নম্বর গোজখালী তাছাউফ স্বতন্ত্র মাদ্রাসার কোনো ভবন নেই। স্থানীয় নুর জামাল, সফিকুল্লাহ ও আবিদ বলেন, ‘ভবন তো নেই, শিক্ষার্থীও নেই। কিন্তু কীভাবে তালিকায় নাম আসল তা আমরা জানি না?’
৭৬ নম্বর পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া মুজাহিদিয়া, ১৪ নম্বর উত্তর কাউনিয়া, ৫৩ নম্বর কাউনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা বলেন, গত ২০ বছরে দেখিনি এই নামে কোনো মাদ্রাসার অস্তিত্ব আছে। তালতলীর ২৫ নম্বর পূর্ব গাবতলী এইউ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসারও কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণ ঘোষণার পরে মাদ্রাসার নাম তালিকায় দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অলি আহাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় তালিকা চেয়েছে। তাই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নামসর্বস্ব মাদ্রাসার নাম কেন তালিকায় পাঠিয়েছেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে টাকার বিনিময়ে তালিকা করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে চাকরি জাতীয়করণের লোভে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা টাকা দিচ্ছেন। দ্রুত ওই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১১৯টি নামসর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছেন।
ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর ৭৬টি আমতলীর ও ৪৩টি তালতলীর। এর মধ্যে দুই উপজেলায় অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র ছয়টি। এ মাদ্রাসাগুলো হলো পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া, কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ও তালতলীর চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসা ছয়টি অনুদান পেলেও গত দুই/এক বছরে কোনো শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসেনি বলে জানা যায়। শিক্ষকেরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন। বাস্তবে কোনো শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় এলেও উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে খাতা বগলদাবা করে চলে যান।
স্থানীয়রা বলেন, ওই সব মাদ্রাসায় কোনো দিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আসতে দেখিনি। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সব সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। এ ছাড়া অনুদানবিহীন ১১৩ মাদ্রাসার অধিকাংশেরই অস্তিত্ব নেই, শিক্ষার্থী তো দূরের কথা। ২০১৮ সালে কিছু মাদ্রাসার ঘর তুলে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এসব মাদ্রাসার নামে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।
আমতলীর ৭৬টি মাদ্রাসায় ৯ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী এবং তালতলীর ৪৩টি মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৯৫০ শিক্ষার্থী দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো মাদ্রাসায়ই শিক্ষার্থী নেই। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলীতে নামসর্বস্ব মাদ্রাসাসহ ৭৬টি এবং তালতলীতে ৪৩টি মাদ্রাসার তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিলে আনন্দে মেতে ওঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা জাতীয়করণের নামে মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালেরা ভয় দেখান এই বলে যে—দ্রুত টাকা দেন, নইলে মাদ্রাসা জাতীয়করণের তালিকায় নাম যাবে না। যাঁরা আগে টাকা দেবেন তাঁদেরটা আগের তালিকায় জাতীয়করণ হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টাকা দিতে হবে। নইলে জাতীয়করণ হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক দালালদের টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জালাল পিয়াদা ও আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন এই দালালি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে জালাল পিয়াদারের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসার তালিকা চেয়েছেন, তাই তালিকা দিয়েছি।’ শিক্ষার্থী নেই এমন মাদ্রাসার নাম দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
গত সোমবার আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত মাদ্রাসা কুতুবপুর ইসরাইলিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া ও তালতলী উপজেলার একমাত্র চামোপাড়া মজিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ঘুরে দেখা গেছে, মাদ্রাসার ঘর আছে; কিন্তু কত দিন আগে এ মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী এসেছে তা বলা মুশকিল।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসার দোচালা টিনের ঘরের কক্ষ খড়কুটায় ভরা দেখা যায়। কোনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ছিল না। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখনো বই পাইনি। তাই ক্লাস করতে পারছি না।’
মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় ভাঙাচোরা বেঞ্চ-টেবিল দেখা যায়। কক্ষ ময়লা-আবর্জনায় ভরা ছিল। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধান মাওলানা আলাউদ্দিন দাবি করেন, তাঁরা গত বছর ক্লাস করেছেন। এ বছর বই না পাওয়ায় ক্লাস শুরু হয়নি। এখন রোজা ও ঈদের বন্ধ।
অনুদানবিহীন তালিকার ৪০ নম্বর গোজখালী তাছাউফ স্বতন্ত্র মাদ্রাসার কোনো ভবন নেই। স্থানীয় নুর জামাল, সফিকুল্লাহ ও আবিদ বলেন, ‘ভবন তো নেই, শিক্ষার্থীও নেই। কিন্তু কীভাবে তালিকায় নাম আসল তা আমরা জানি না?’
৭৬ নম্বর পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া মুজাহিদিয়া, ১৪ নম্বর উত্তর কাউনিয়া, ৫৩ নম্বর কাউনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা বলেন, গত ২০ বছরে দেখিনি এই নামে কোনো মাদ্রাসার অস্তিত্ব আছে। তালতলীর ২৫ নম্বর পূর্ব গাবতলী এইউ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসারও কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতীয়করণ ঘোষণার পরে মাদ্রাসার নাম তালিকায় দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অলি আহাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় তালিকা চেয়েছে। তাই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নামসর্বস্ব মাদ্রাসার নাম কেন তালিকায় পাঠিয়েছেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে টাকার বিনিময়ে তালিকা করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৭ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৭ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৭ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে