দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার যুবক জাকির হোসেন (৩৫)। গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় গুলিবিদ্ধ হন। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। জাকিরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা। স্বামীর ছবি বুকে চেপে অনবরত কাঁদছেন স্ত্রী। বাবার জন্য আর্তনাদ ১৩ বছরের শিশু জিদনী জেবিনের। ছেলে হারানোর শোকে পাগলপ্রায় মা।
জাকির দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের আ. মন্নান ও আম্বিয়া বেগম দম্পতির ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে বাবাকে হারান তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জাকির ছিলেন তৃতীয়। উপজেলা সদরের উত্তর লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নতুন বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে রেখে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থানায় একটি বোরকা কারখানায় কাজ করতেন।
জাকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা আম্বিয়া বেগম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। স্বামীর ছবি বুকে জড়িয়ে কেঁদে কেঁদে অবিরত বিলাপ করছেন স্ত্রী সালমা বেগম। বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে একমাত্র মেয়ে জিদনী জেবিন। তাঁর মৃত্যুতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ চলাকালে শনির আখড়া রায়েরবাগ ওভার ব্রিজ এলাকায় রাস্তায় পেটে গুলিবিদ্ধ হন জাকির। খবর পেয়ে জাকিরের ভগ্নিপতি তৌহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই (বুধবার) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে জাকিরের মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই রাতেই উত্তর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হয়। পরে তাঁকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জাকিরের স্ত্রী সালমা বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকায় একটি বোরকা কারখানায় কাজ করত। একমাত্র তার উপার্জনেই চলত আমাদের সংসার। মায়ের ওষুধ ও সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে অভাব–অনটনের মধ্যে কোনো রকমে দিন চলত। এখন আমাদের কী হবে, একমাত্র সন্তানের লেখাপড়ার খরচ কীভাবে চালাব, বুঝতেছি না। আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।’
একমাত্র মেয়ে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিদনী জেবিন বলে, ‘আমার বাবা অনেক ভালো ছিল। আমি যা চাইতাম তা–ই দিত। এখন আমার লেখাপড়ার খরচ কে চালাবে? আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
সে আরও বলে, ‘বাবা কয়েক দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৫ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল ঢাকার কালীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার সময় আমাকে বলে পরের বার তোমার জন্য সুন্দর থ্রিপিস ও স্কুলব্যাগ নিয়ে আসব।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাকিরের মা আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) কী শুনতে আসছেন। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার ছেলেকে যারা গুলি করে মেরেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার যুবক জাকির হোসেন (৩৫)। গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় গুলিবিদ্ধ হন। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। জাকিরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা। স্বামীর ছবি বুকে চেপে অনবরত কাঁদছেন স্ত্রী। বাবার জন্য আর্তনাদ ১৩ বছরের শিশু জিদনী জেবিনের। ছেলে হারানোর শোকে পাগলপ্রায় মা।
জাকির দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের আ. মন্নান ও আম্বিয়া বেগম দম্পতির ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে বাবাকে হারান তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জাকির ছিলেন তৃতীয়। উপজেলা সদরের উত্তর লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নতুন বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে রেখে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থানায় একটি বোরকা কারখানায় কাজ করতেন।
জাকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা আম্বিয়া বেগম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। স্বামীর ছবি বুকে জড়িয়ে কেঁদে কেঁদে অবিরত বিলাপ করছেন স্ত্রী সালমা বেগম। বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে একমাত্র মেয়ে জিদনী জেবিন। তাঁর মৃত্যুতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ চলাকালে শনির আখড়া রায়েরবাগ ওভার ব্রিজ এলাকায় রাস্তায় পেটে গুলিবিদ্ধ হন জাকির। খবর পেয়ে জাকিরের ভগ্নিপতি তৌহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই (বুধবার) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে জাকিরের মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই রাতেই উত্তর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হয়। পরে তাঁকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জাকিরের স্ত্রী সালমা বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকায় একটি বোরকা কারখানায় কাজ করত। একমাত্র তার উপার্জনেই চলত আমাদের সংসার। মায়ের ওষুধ ও সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে অভাব–অনটনের মধ্যে কোনো রকমে দিন চলত। এখন আমাদের কী হবে, একমাত্র সন্তানের লেখাপড়ার খরচ কীভাবে চালাব, বুঝতেছি না। আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।’
একমাত্র মেয়ে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিদনী জেবিন বলে, ‘আমার বাবা অনেক ভালো ছিল। আমি যা চাইতাম তা–ই দিত। এখন আমার লেখাপড়ার খরচ কে চালাবে? আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
সে আরও বলে, ‘বাবা কয়েক দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৫ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল ঢাকার কালীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার সময় আমাকে বলে পরের বার তোমার জন্য সুন্দর থ্রিপিস ও স্কুলব্যাগ নিয়ে আসব।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাকিরের মা আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) কী শুনতে আসছেন। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার ছেলেকে যারা গুলি করে মেরেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’
ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদক ও জুয়ার আসরে অভিযানকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন সদস্যকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে দুপাশে ঘন গজারি বন। গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় ও জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের তোয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রভাবশালী। উপজেলা প্রশাসন এই কাজ দ্রুত বন্ধের কথা জানালেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়েনি। এ
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেকে) ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে কোটচাঁদপুরের সামাউল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাঁর মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
৮ ঘণ্টা আগেজমিসংক্রান্ত সেবা উন্নত করতে খুলনার ৭ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রাক্কলনে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনোটি দুই বছর ধরে, আবার কোনোটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। একটি ভবনেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগে