বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৩১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে।
২৯ মে ২০২৪
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে।
২৯ মে ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৩১ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে।
২৯ মে ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৩১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে।
২৯ মে ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৩১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে