কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্গার করেছেন। হয়েছে বাক্যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্গার করেছেন। হয়েছে বাক্যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্গার করেছেন। হয়েছে বাক্যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্গার করেছেন। হয়েছে বাক্যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৫ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৭ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেচন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে...
৩ ঘণ্টা আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৭ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৫ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৭ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৫ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর পূর্বপাড়া এলাকার বগারটেক চায়না ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোসলেম উদ্দিনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ২৪টি তাজা গুলি।
গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিন মিয়া ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানার মগবাজার নয়াটোলা এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তিনি এলাকায় ‘মিয়া কসাই’ নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে গাছা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর পূর্বপাড়া এলাকার বগারটেক চায়না ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোসলেম উদ্দিনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ২৪টি তাজা গুলি।
গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিন মিয়া ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানার মগবাজার নয়াটোলা এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তিনি এলাকায় ‘মিয়া কসাই’ নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে গাছা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৫ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৭ মিনিট আগে