আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ বিচারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। একটি মামলায় জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রাইব্যুনালে অচল অবস্থা শুরু হয়। গত কয়েক দিন ধরে বিচারক এজলাসে মামলা পরিচালনা করতে উঠলেও আইনজীবীদের বাধার মুখে নেমে যেতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো দিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার আদালতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছে প্রধান বিচারপতি।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যোগদান করা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অযাচিত বক্তব্য প্রদান এবং বিচারপ্রার্থীদের প্রকাশ্য আদালতে গালাগালি, অশ্লীল বক্তব্য ও অবিচারিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ও সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বার অ্যাসোসিয়েশন ও বেঞ্চের মধ্যে আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচনার অনুরোধ করা হয়। বিচারক নুরে আলম সাক্ষাৎ বা আলোচনার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এডিসি নাসির আহমেদ হাওলাদার ও এসি (প্রসিকিউশন) হাসান রাশেদ পরাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আদালতের এজলাস শুরু করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কোনো কর্মকর্তা বা কার্যকরী সদস্য কোনো মামলা বা জামিন শুনানি করেননি। বিচারক নুরে আলমের এমন আচরণের সংবাদ পেয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে বিচারককে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চান।
বিচারক প্রথমেই বলেন, আমি কি ঢাকা আইনজীবী সমিতির চাকরি করি? কেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কমিটির সাথে আমার কথা বলতে হবে? আমি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলব না।
এই বলে পুলিশকে আদেশ দেন, ‘এই পুলিশ ওদেরকে বের করে দাও।’
তিনি বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক, অশ্রাব্য ভাষা ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে উপস্থিত আইনজীবীদের উত্তেজিত করেন। তাঁর পরিহিত কোটের হাতা ওপরের দিকে টেনে মারমুখী হয়ে উঠে গুলি করতে বললে কোর্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
তিনি বিভিন্ন অসত্য তথ্য ও এজলাসের আংশিক ভিডিও বেআইনিভাবে একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে অপপ্রচার করে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে সাধারণ বিচারপ্রার্থী ও বাংলাদেশের মানুষসহ সারা বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়াস চালাচ্ছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে বিচারক নুরে আলমের অসৌজন্যমূলক, অযাচিত ও অশ্লীল বক্তব্য এবং অসত্য অপপ্রচার অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নুরে আলম গতকাল বুধবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন।

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন আজও চলছে। আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা ওই ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিচারক নুরে আলম রয়েছেন ছুটিতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে