নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
এদিকে গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। তাঁদের মধ্যে রাজিব ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর আসামি।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তাঁরা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২)।
গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর ও মো. মনির ওরফে লম্বা মনিরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাঁদের ৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোহাগ হত্যার সময়ের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজসহ ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে হত্যায় জড়িত ছিল। তাদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাদা শার্ট ও জিনস প্যান্ট পরা যে ব্যক্তি সোহাগের ওপর একাধিকবার কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মেরেছে, সেই ব্যক্তিকে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তবে কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা অপর ব্যক্তি পেস্ট রঙের টি-শার্ট পরা মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নিহত সোহাগের মাথায় ইট মারা ব্যক্তি মো. নান্নু (২৭)। মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) তখন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারার সময় পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তি ইমরান বলে ধারণা করছে পুলিশ। আর দূরে খালি গায়ে বসে ছিলেন আলমগীর (২৮)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিহত সোহাগকে টেনে রাস্তায় নেওয়া ব্যক্তিদের একজন মনির ওরফে লম্বা মনির। এরপর খালি গায়ে থাকা আলমগীর চড় দেন সোহাগের গালে। বুকের ওপর লাফ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মনির ওরফে লম্বা মনির ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হত্যার দুই দিন আগে থেকেই ‘সোহানা মেটালে’র সামনে লোকজনের আনাগোনা দেখা যেত। ঘটনার দিন বিকেলে সোহাগ দোকানে আসার খবর শুনে দলবল নিয়ে দোকানে যায় হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা। সেখান থেকে সোহাগকে মারতে মারতে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির বিষয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির নাম-পরিচয় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করছি। টিটুসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হয়তো তার পরিচয়ও পাওয়া যাবে।’
সোহাগ হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। গতকাল বিকেলে বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অবহেলা ছিল না: আনসারের ডিজি
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক গতকাল বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আনসার সদস্যরা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ীই দায়িত্ব পালন করেছেন। রোস্টারের বাইরে গেটের বাইরে গিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল না। আনসারের ডিজি সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালনের সূচির তথ্য উল্লেখ করে বলেন, আনসার সদস্যরা কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোহাগ হত্যার ঘটনার সময় ঘটনাস্থল ৩ নম্বর গেটে কোনো আনসার সদস্যকে দায়িত্বে রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনার সময় কয়েক শ লোক সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউ নিকটস্থ আনসার ক্যাম্পে খবর দেননি। হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার খবর পেলে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান এবং ঘটনা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপরই সোহাগকে গেটের ভেতরে টেনে নেওয়া হয়।
আরও দুদিন কর্মবিরতি
এদিকে নিরাপত্তার দাবিতে মিটফোর্ড হাসপাতালে আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। গতকাল রাত ১০টায় আজকের পত্রিকা'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জানান, কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করেছেন। এখনো তাঁদের বেশ কিছু দাবি পূরণ করা হয়নি।
আরো পড়ুন:

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
এদিকে গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। তাঁদের মধ্যে রাজিব ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর আসামি।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তাঁরা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২)।
গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর ও মো. মনির ওরফে লম্বা মনিরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাঁদের ৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোহাগ হত্যার সময়ের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজসহ ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে হত্যায় জড়িত ছিল। তাদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাদা শার্ট ও জিনস প্যান্ট পরা যে ব্যক্তি সোহাগের ওপর একাধিকবার কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মেরেছে, সেই ব্যক্তিকে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তবে কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা অপর ব্যক্তি পেস্ট রঙের টি-শার্ট পরা মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নিহত সোহাগের মাথায় ইট মারা ব্যক্তি মো. নান্নু (২৭)। মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) তখন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারার সময় পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তি ইমরান বলে ধারণা করছে পুলিশ। আর দূরে খালি গায়ে বসে ছিলেন আলমগীর (২৮)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিহত সোহাগকে টেনে রাস্তায় নেওয়া ব্যক্তিদের একজন মনির ওরফে লম্বা মনির। এরপর খালি গায়ে থাকা আলমগীর চড় দেন সোহাগের গালে। বুকের ওপর লাফ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মনির ওরফে লম্বা মনির ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হত্যার দুই দিন আগে থেকেই ‘সোহানা মেটালে’র সামনে লোকজনের আনাগোনা দেখা যেত। ঘটনার দিন বিকেলে সোহাগ দোকানে আসার খবর শুনে দলবল নিয়ে দোকানে যায় হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা। সেখান থেকে সোহাগকে মারতে মারতে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির বিষয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির নাম-পরিচয় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করছি। টিটুসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হয়তো তার পরিচয়ও পাওয়া যাবে।’
সোহাগ হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। গতকাল বিকেলে বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অবহেলা ছিল না: আনসারের ডিজি
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক গতকাল বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আনসার সদস্যরা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ীই দায়িত্ব পালন করেছেন। রোস্টারের বাইরে গেটের বাইরে গিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল না। আনসারের ডিজি সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালনের সূচির তথ্য উল্লেখ করে বলেন, আনসার সদস্যরা কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোহাগ হত্যার ঘটনার সময় ঘটনাস্থল ৩ নম্বর গেটে কোনো আনসার সদস্যকে দায়িত্বে রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনার সময় কয়েক শ লোক সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউ নিকটস্থ আনসার ক্যাম্পে খবর দেননি। হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার খবর পেলে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান এবং ঘটনা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপরই সোহাগকে গেটের ভেতরে টেনে নেওয়া হয়।
আরও দুদিন কর্মবিরতি
এদিকে নিরাপত্তার দাবিতে মিটফোর্ড হাসপাতালে আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। গতকাল রাত ১০টায় আজকের পত্রিকা'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জানান, কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করেছেন। এখনো তাঁদের বেশ কিছু দাবি পূরণ করা হয়নি।
আরো পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
এদিকে গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। তাঁদের মধ্যে রাজিব ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর আসামি।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তাঁরা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২)।
গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর ও মো. মনির ওরফে লম্বা মনিরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাঁদের ৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোহাগ হত্যার সময়ের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজসহ ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে হত্যায় জড়িত ছিল। তাদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাদা শার্ট ও জিনস প্যান্ট পরা যে ব্যক্তি সোহাগের ওপর একাধিকবার কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মেরেছে, সেই ব্যক্তিকে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তবে কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা অপর ব্যক্তি পেস্ট রঙের টি-শার্ট পরা মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নিহত সোহাগের মাথায় ইট মারা ব্যক্তি মো. নান্নু (২৭)। মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) তখন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারার সময় পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তি ইমরান বলে ধারণা করছে পুলিশ। আর দূরে খালি গায়ে বসে ছিলেন আলমগীর (২৮)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিহত সোহাগকে টেনে রাস্তায় নেওয়া ব্যক্তিদের একজন মনির ওরফে লম্বা মনির। এরপর খালি গায়ে থাকা আলমগীর চড় দেন সোহাগের গালে। বুকের ওপর লাফ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মনির ওরফে লম্বা মনির ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হত্যার দুই দিন আগে থেকেই ‘সোহানা মেটালে’র সামনে লোকজনের আনাগোনা দেখা যেত। ঘটনার দিন বিকেলে সোহাগ দোকানে আসার খবর শুনে দলবল নিয়ে দোকানে যায় হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা। সেখান থেকে সোহাগকে মারতে মারতে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির বিষয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির নাম-পরিচয় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করছি। টিটুসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হয়তো তার পরিচয়ও পাওয়া যাবে।’
সোহাগ হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। গতকাল বিকেলে বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অবহেলা ছিল না: আনসারের ডিজি
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক গতকাল বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আনসার সদস্যরা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ীই দায়িত্ব পালন করেছেন। রোস্টারের বাইরে গেটের বাইরে গিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল না। আনসারের ডিজি সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালনের সূচির তথ্য উল্লেখ করে বলেন, আনসার সদস্যরা কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোহাগ হত্যার ঘটনার সময় ঘটনাস্থল ৩ নম্বর গেটে কোনো আনসার সদস্যকে দায়িত্বে রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনার সময় কয়েক শ লোক সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউ নিকটস্থ আনসার ক্যাম্পে খবর দেননি। হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার খবর পেলে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান এবং ঘটনা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপরই সোহাগকে গেটের ভেতরে টেনে নেওয়া হয়।
আরও দুদিন কর্মবিরতি
এদিকে নিরাপত্তার দাবিতে মিটফোর্ড হাসপাতালে আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। গতকাল রাত ১০টায় আজকের পত্রিকা'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জানান, কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করেছেন। এখনো তাঁদের বেশ কিছু দাবি পূরণ করা হয়নি।
আরো পড়ুন:

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
এদিকে গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজিব ব্যাপারীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। তাঁদের মধ্যে রাজিব ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর আসামি।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব। তাঁরা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২)।
গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর ও মো. মনির ওরফে লম্বা মনিরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাঁদের ৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোহাগ হত্যার সময়ের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজসহ ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে হত্যায় জড়িত ছিল। তাদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাদা শার্ট ও জিনস প্যান্ট পরা যে ব্যক্তি সোহাগের ওপর একাধিকবার কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মেরেছে, সেই ব্যক্তিকে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তবে কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা অপর ব্যক্তি পেস্ট রঙের টি-শার্ট পরা মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নিহত সোহাগের মাথায় ইট মারা ব্যক্তি মো. নান্নু (২৭)। মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) তখন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারার সময় পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তি ইমরান বলে ধারণা করছে পুলিশ। আর দূরে খালি গায়ে বসে ছিলেন আলমগীর (২৮)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিহত সোহাগকে টেনে রাস্তায় নেওয়া ব্যক্তিদের একজন মনির ওরফে লম্বা মনির। এরপর খালি গায়ে থাকা আলমগীর চড় দেন সোহাগের গালে। বুকের ওপর লাফ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মনির ওরফে লম্বা মনির ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হত্যার দুই দিন আগে থেকেই ‘সোহানা মেটালে’র সামনে লোকজনের আনাগোনা দেখা যেত। ঘটনার দিন বিকেলে সোহাগ দোকানে আসার খবর শুনে দলবল নিয়ে দোকানে যায় হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা। সেখান থেকে সোহাগকে মারতে মারতে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির বিষয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘কংক্রিটের বোল্ডার ছুড়ে মারা ব্যক্তির নাম-পরিচয় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করছি। টিটুসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে হয়তো তার পরিচয়ও পাওয়া যাবে।’
সোহাগ হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। গতকাল বিকেলে বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অবহেলা ছিল না: আনসারের ডিজি
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা দায় ছিল না। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক গতকাল বাহিনীর খিলগাঁও সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আনসার সদস্যরা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ীই দায়িত্ব পালন করেছেন। রোস্টারের বাইরে গেটের বাইরে গিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল না। আনসারের ডিজি সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালনের সূচির তথ্য উল্লেখ করে বলেন, আনসার সদস্যরা কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ধারণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোহাগ হত্যার ঘটনার সময় ঘটনাস্থল ৩ নম্বর গেটে কোনো আনসার সদস্যকে দায়িত্বে রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনার সময় কয়েক শ লোক সেখানে উপস্থিত থাকলেও কেউ নিকটস্থ আনসার ক্যাম্পে খবর দেননি। হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার খবর পেলে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান এবং ঘটনা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপরই সোহাগকে গেটের ভেতরে টেনে নেওয়া হয়।
আরও দুদিন কর্মবিরতি
এদিকে নিরাপত্তার দাবিতে মিটফোর্ড হাসপাতালে আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। গতকাল রাত ১০টায় আজকের পত্রিকা'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জানান, কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করেছেন। এখনো তাঁদের বেশ কিছু দাবি পূরণ করা হয়নি।
আরো পড়ুন:

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২০ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
২৯ মিনিট আগেআনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। জেলাজুড়ে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া অতীতে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য—বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মন্তব্যগুলো ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক পোস্ট ও ভিডিওতে খাদেমুল ইসলাম খুদিকে ইনুর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায়। এর আগে গত বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ৫২ সদস্যের এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, খাদেমুল ইসলাম খুদি দীর্ঘদিন ধরে হাসানুল হক ইনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত অক্টোবর মাসে সাদুল্যাপুর উপজেলায় ‘সুধী সমাবেশ’ করার নামে খাদেমুল ইসলাম খুদি একটি রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারলে খুদি সমাবেশ শুরুর আগেই ব্যানার সরিয়ে সরে পড়েন। এ ছাড়া সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরপরই তিনি বিভিন্ন কৌশলে দলবদল করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জুলাই আন্দোলন-নেতৃত্বকারী এ দলের জেলায় শীর্ষ পদটি পেয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ঘনিষ্ঠতার সুযোগে খুদি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গাইবান্ধা জেলা এনসিপিতে শীর্ষ পদটি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে এস এম এনামুল হক নামে একজন লিখেছেন, ‘যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারা কীভাবে এনসিপির আহ্বায়ক হন? টাকার বিনিময়ে কি শহীদদের রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে?’ মামুন সরকার নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আরেক নাম এনসিপি।’ রফিক খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্যই এ কমিটি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে খাদেমুল ইসলাম খুদির এক বাল্যবন্ধু বলেন, খুদি ছাত্রজীবন থেকেই ক্ষমতা ও পদ-পদবির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। যদিও তিনি জাসদের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি প্রায়ই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
এদিকে নতুন কমিটির বিরোধিতা করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এনসিপির জেলা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি। ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে স্বৈরাচারের দোসরকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অযৌক্তিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।’ তিনি দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলমের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। জেলাজুড়ে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া অতীতে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য—বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মন্তব্যগুলো ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক পোস্ট ও ভিডিওতে খাদেমুল ইসলাম খুদিকে ইনুর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায়। এর আগে গত বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ৫২ সদস্যের এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, খাদেমুল ইসলাম খুদি দীর্ঘদিন ধরে হাসানুল হক ইনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত অক্টোবর মাসে সাদুল্যাপুর উপজেলায় ‘সুধী সমাবেশ’ করার নামে খাদেমুল ইসলাম খুদি একটি রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারলে খুদি সমাবেশ শুরুর আগেই ব্যানার সরিয়ে সরে পড়েন। এ ছাড়া সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরপরই তিনি বিভিন্ন কৌশলে দলবদল করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জুলাই আন্দোলন-নেতৃত্বকারী এ দলের জেলায় শীর্ষ পদটি পেয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ঘনিষ্ঠতার সুযোগে খুদি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গাইবান্ধা জেলা এনসিপিতে শীর্ষ পদটি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে এস এম এনামুল হক নামে একজন লিখেছেন, ‘যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারা কীভাবে এনসিপির আহ্বায়ক হন? টাকার বিনিময়ে কি শহীদদের রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে?’ মামুন সরকার নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আরেক নাম এনসিপি।’ রফিক খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্যই এ কমিটি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে খাদেমুল ইসলাম খুদির এক বাল্যবন্ধু বলেন, খুদি ছাত্রজীবন থেকেই ক্ষমতা ও পদ-পদবির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। যদিও তিনি জাসদের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি প্রায়ই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
এদিকে নতুন কমিটির বিরোধিতা করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এনসিপির জেলা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি। ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে স্বৈরাচারের দোসরকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অযৌক্তিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।’ তিনি দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলমের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে বড় কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
১৪ জুলাই ২০২৫
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২০ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
২৯ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
বিকেল ৫টার দিকেও (এই প্রতিবেদন লেখার সময়) অবরোধ চলছিল। অবরোধের কারণে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন-সমর্থিত নেতা-কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে দলের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে রাতেই জেলা শহরে মির্জা ফখরুল ও রতনের কুশপুত্তলিকা দাহ ও মুক্তারপুর এলাকায় মশালমিছিল করেন মহিউদ্দিনপন্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দিনভর এ ব্লকেড কর্মসূচি চলে।
অবরোধ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমান ফকির, শাহাদাত হোসেন সরকার, শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব-উল-আলম স্বপন, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব মু. মাসুদ রানা, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. আবুল হাসেমসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
বিকেল ৫টার দিকেও (এই প্রতিবেদন লেখার সময়) অবরোধ চলছিল। অবরোধের কারণে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন-সমর্থিত নেতা-কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে দলের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে রাতেই জেলা শহরে মির্জা ফখরুল ও রতনের কুশপুত্তলিকা দাহ ও মুক্তারপুর এলাকায় মশালমিছিল করেন মহিউদ্দিনপন্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দিনভর এ ব্লকেড কর্মসূচি চলে।
অবরোধ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমান ফকির, শাহাদাত হোসেন সরকার, শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব-উল-আলম স্বপন, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব মু. মাসুদ রানা, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. আবুল হাসেমসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে বড় কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
১৪ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে
৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২০ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
২৯ মিনিট আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, রফিক ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিকবার চাওয়ার পরও সেই টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিন লোকজন নিয়ে রফিককে গুলি করে করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পচাভিটা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় রফিক ইসলাম গুলিতে নিহত এবং দুজন আহত হন।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার পচাভিটা গ্রামের বাসিন্দা। আহত হয়েছেন একই গ্রামের রবজেল ফরাজি (৫২) ও ইউসুফ হোসেন (৫৫)। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পর রাতেই দৌলতপুর থানা-পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবে তদন্তে নামে। আজ সকালে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পচাভিটা গ্রামের ফুলচাঁদ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন রফিক। তবে দীর্ঘদিনেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে আল আমিন ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রফিক ও তাঁর স্ত্রী ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার টাকা তুলেছেন বলে খবর পান আল আমিন। পরে টাকা পরিশোধ করতে বলা নিয়ে কামালপুর বাজারে আল আমিনের সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সন্ধ্যায় আল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। রফিক ওই দোকানে বসে চা পান করছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, রফিক ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিকবার চাওয়ার পরও সেই টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিন লোকজন নিয়ে রফিককে গুলি করে করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পচাভিটা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় রফিক ইসলাম গুলিতে নিহত এবং দুজন আহত হন।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার পচাভিটা গ্রামের বাসিন্দা। আহত হয়েছেন একই গ্রামের রবজেল ফরাজি (৫২) ও ইউসুফ হোসেন (৫৫)। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পর রাতেই দৌলতপুর থানা-পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবে তদন্তে নামে। আজ সকালে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পচাভিটা গ্রামের ফুলচাঁদ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন রফিক। তবে দীর্ঘদিনেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে আল আমিন ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রফিক ও তাঁর স্ত্রী ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার টাকা তুলেছেন বলে খবর পান আল আমিন। পরে টাকা পরিশোধ করতে বলা নিয়ে কামালপুর বাজারে আল আমিনের সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সন্ধ্যায় আল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। রফিক ওই দোকানে বসে চা পান করছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে বড় কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
১৪ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় গতকাল রোববার পর্যন্ত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সোহাগকে বড় কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতকারী ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি।
১৪ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি ঘোষিত মো. কামরুজ্জামান রতনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–মুন্সিগঞ্জ সড়কে ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু ব্লকেড করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তারপুর এলাকায় সেতুর ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২০ মিনিট আগে