Ajker Patrika

সারের দাবিতে কৃষকদের মহাসড়ক অবরোধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকার নির্ধারিত দাম অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অতিরিক্ত দামে সার-কীটনাশক বিক্রির প্রতিবাদে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। আপ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাট বাজার এলাকায় ডিলারের কাছ থেকে সার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

অবরোধ চলাকালে কৃষকেরা ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ডিলারকে আটক করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁদের অভিযোগ, ডিলাররা যোগসাজশ করে বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এবং পরে তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যা সাধারণ কৃষকের পক্ষে বহন করা কঠিন।

খেতের মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমরা জমিতে সময়মতো সার দিতে পারছি না। সরকার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, ডিলাররা সেই দামে বিক্রি করেন না। বস্তাপ্রতি কমপক্ষে ৬০০-৭০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এত বেশি দামে সার কিনতে গেলে আমাদের আর লাভ থাকে কী?’

কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘একদিকে সারের কৃত্রিম অভাব, অন্যদিকে অতিরিক্ত দাম। সময়মতো সার দিতে না পারলে ফসলই নষ্ট হয়ে যাবে। ডিলাররা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই।’ আরেক কৃষক আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, ‘বলে সার নেই। অথচ বাইরে বেশি দামে ঠিকই বিক্রি করছেন। কৃষকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা দরকার।’

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা আক্তার জাহান এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের অভিযোগ শোনেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সার-সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলে কৃষকেরা অবরোধ তুলে নেন।

জানতে চাইলে ভোটমারী ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স সাইফুল ইসলামের মালিক সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, কৃষি অফিসের উপস্থিতি ছাড়া সার বিক্রি করা হয় না এবং কোনো সার কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে না।

ঘটনাস্থলে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘বাজারে সারের কোনো সংকট নেই, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, ডিলারদের গুদাম পরিদর্শন করা হয়েছে এবং প্রতিটি বস্তার বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হবে, যাতে কৃষকেরা নির্ধারিত মূল্যে সার পেতে পারেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা বীজ-সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ভুট্টার মৌসুম হওয়ায় একই সময়ে কৃষকের চাপ বেড়েছে। এতে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষকেরা মজুত না করে প্রয়োজন অনুযায়ী সার কিনলে সমস্যা কম হতো। আগামী সপ্তাহে চাহিদা কমে গেলে চাপও কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে, নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয়, আমরা ভোটে যাব না।’

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অন্যায় শেখ মুজিবের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় না। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন শামসুল হক। হাসিনার বিচার করবেন বলে আপনি আওয়ামী লীগেরও বিচার করবেন, করতে পারবেন না। পারবেন না। পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খান পারে নাই, আপনারাও পারবেন না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব, আমি যত দিন বেঁচে থাকব জয়বাংলা বলে বেঁচে থাকব।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল এবং কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ও বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আড়াই ঘণ্টা আগে রাত ১টার দিকে মজিবর রহমানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি ফকিরহাট উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের মৃত শেখ ইনতাজের ছেলে। মজিবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন। এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামিনদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ না করার মামলায় জামিনদার মজিবরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওন কুমার দাশ জানান, মজিবর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের স্বজনেরা জানান, মজিবর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি এনজিও থেকে এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের জামিনদার ছিলেন। সেই ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফকিরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি মজিবর গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পেড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাথায় আঘাত ও বালিশচাপায় মাকে হত্যা, ৬ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে উধাও

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও দেখে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ খাটের ওপর পড়ে ছিল। গত রাতে শিউলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শিউলী বেগমের মেয়ে কেয়া জানান, কাজের জন্য দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান শিউলী বেগম। দেশে ফিরে স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পাঁচ-ছয় দিন আগে বিদেশে অর্জিত পৌনে ৬ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন শিউলী। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে তাঁর মায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

কেয়া আরও জানান, তিনি মায়ের খোঁজে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় নানার বাড়িতে চলে যান, কিন্তু সেখানে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে পুনরায় মায়ের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে মায়ের বসবাস করা ওই ভাড়া বাসার সামনে স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে বাসার তালা কেটে খাটের ওপর শিউলীর লাশ দেখতে পায়।

শিউলীর মেয়ে কেয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রিয়াদ পেশায় একজন টাইলসের মিস্ত্রি। প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, সে বুধবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। তাঁর আচরণও সন্দেহজনক দেখা গেছে। তা ছাড়া, ব্যাংক থেকে তোলা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের সবকিছু এলোমেলো পাওয়া গেছে। ভাই রিয়াদ ঘরের বাইরে থেকে বের হওয়ার পর ওই ঘরে আর কেউ প্রবেশ বা বের হয়নি। ছোট ভাই রিয়াদই মাকে খুন করেছে।’

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিউলীকে ঘরে থাকা পুতা দিয়ে মাথা আঘাত এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, শিউলী বেগমের কাছে থাকা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াদকে পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি।’

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘শিউলীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে রিয়াদকে দোষারোপ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা তাঁকে খুঁজে পেয়ে যাব এবং ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।

অভিযানের ২৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, তাঁরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছি ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন এসব ঢুকে যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে।

কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটিই ধারণা করছি। এখন অলমাইটি আল্লাহ চাইলে সবকিছুই হতে পারে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা জেনেছেন যে গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। তাঁরা সে পর্যন্তই যেতে চান। এ জন্য ওই গর্তের পাশে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ ফুট পরপর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও তাঁরা চেষ্টা করবেন। উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত