আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।’
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর ৯ বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন, এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।’
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর ৯ বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন, এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।’
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর ৯ বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন, এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।’
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর ৯ বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন, এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
৫ মিনিট আগে
হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার,
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহারুনূর রশিদ, নরসিংদী প্রতিনিধি

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রকাশিত মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শান্ত ৯১.২৫ নম্বর পেয়ে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারের চর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান ও গৃহিণী ফেরদৌসী বেগম দম্পতির সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শান্ত সবার বড়। তার দুই বোন স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শান্তদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের ভিড়। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও দোয়ার মধ্য দিয়ে বরণ করছেন এলাকাবাসী। আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
এর আগে ফল প্রকাশের পরপরই ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে শান্তকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন পরিবারের সদস্যরা। পথে পথে তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন মানুষ।
স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জাহাঙ্গীর আলম শান্তর এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, বরং পুরো নরসিংদী জেলার জন্য এক বিরল গৌরব। তার সাফল্য আগামী দিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

স্বজনেরা জানান, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধাবী ছিল শান্ত। সে বেলাবো উপজেলার অক্সফোর্ড মডার্ন একাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করে। শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিবারের অনুপ্রেরণা এবং নিজের নিরলস পরিশ্রমই তাকে এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
সাফল্যের অনুভূতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর আলম শান্ত বলে, ‘এই অর্জনের পেছনে আমার মা-বাবা, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আজ মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা করার বড় ইচ্ছে।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফল প্রকাশের পরে ঢাকায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পর থেকেই মানুষ একের পর এক দেখতে আসছে, অভিনন্দন-শুভকামনা জানাচ্ছে, দোয়া করছে। বাবা হিসেবে এরচেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে। সবার কাছে দোয়া চাই।’
মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মানুষের সেবা করবে—এই স্বপ্নই দেখতাম। আল্লাহ আজ আমাদের মুখে হাসি দিয়েছেন। আশা করি, স্বপ্ন পূরণ হবে। ছেলের জন্য দোয়া চাই।’
বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শান্ত ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মনোযোগী ও শৃঙ্খলাবান শিক্ষার্থী। আমরা প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে সে একজন দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।’

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রকাশিত মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শান্ত ৯১.২৫ নম্বর পেয়ে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারের চর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান ও গৃহিণী ফেরদৌসী বেগম দম্পতির সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শান্ত সবার বড়। তার দুই বোন স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শান্তদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের ভিড়। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও দোয়ার মধ্য দিয়ে বরণ করছেন এলাকাবাসী। আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
এর আগে ফল প্রকাশের পরপরই ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে শান্তকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন পরিবারের সদস্যরা। পথে পথে তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন মানুষ।
স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জাহাঙ্গীর আলম শান্তর এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, বরং পুরো নরসিংদী জেলার জন্য এক বিরল গৌরব। তার সাফল্য আগামী দিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

স্বজনেরা জানান, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধাবী ছিল শান্ত। সে বেলাবো উপজেলার অক্সফোর্ড মডার্ন একাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করে। শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিবারের অনুপ্রেরণা এবং নিজের নিরলস পরিশ্রমই তাকে এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
সাফল্যের অনুভূতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর আলম শান্ত বলে, ‘এই অর্জনের পেছনে আমার মা-বাবা, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আজ মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা করার বড় ইচ্ছে।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফল প্রকাশের পরে ঢাকায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পর থেকেই মানুষ একের পর এক দেখতে আসছে, অভিনন্দন-শুভকামনা জানাচ্ছে, দোয়া করছে। বাবা হিসেবে এরচেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে। সবার কাছে দোয়া চাই।’
মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মানুষের সেবা করবে—এই স্বপ্নই দেখতাম। আল্লাহ আজ আমাদের মুখে হাসি দিয়েছেন। আশা করি, স্বপ্ন পূরণ হবে। ছেলের জন্য দোয়া চাই।’
বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শান্ত ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মনোযোগী ও শৃঙ্খলাবান শিক্ষার্থী। আমরা প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে সে একজন দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান...
৪ ঘণ্টা আগে
হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার,
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান...
৪ ঘণ্টা আগে
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
৫ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার,
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’
সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’
মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’
এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’
সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’
মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’
এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান...
৪ ঘণ্টা আগে
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
৫ মিনিট আগে
হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই কিশোর স্বাধীনের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বাধীন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই কিশোর স্বাধীনের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বাধীন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান...
৪ ঘণ্টা আগে
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।
৫ মিনিট আগে
হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার,
১ ঘণ্টা আগে