Ajker Patrika

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শান্তকে দেখতে লোকজনের ভিড়

হারুনূর রশিদ, নরসিংদী প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তার এই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন লোকজন।

গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রকাশিত মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শান্ত ৯১.২৫ নম্বর পেয়ে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম শান্ত নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারের চর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান ও গৃহিণী ফেরদৌসী বেগম দম্পতির সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শান্ত সবার বড়। তার দুই বোন স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে শান্তদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের ভিড়। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও দোয়ার মধ্য দিয়ে বরণ করছেন এলাকাবাসী। আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এর আগে ফল প্রকাশের পরপরই ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে শান্তকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন পরিবারের সদস্যরা। পথে পথে তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন মানুষ।

স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জাহাঙ্গীর আলম শান্তর এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, বরং পুরো নরসিংদী জেলার জন্য এক বিরল গৌরব। তার সাফল্য আগামী দিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়া নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্তকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়া নরসিংদীর কৃতী সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শান্তকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বজনেরা জানান, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধাবী ছিল শান্ত। সে বেলাবো উপজেলার অক্সফোর্ড মডার্ন একাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করে। শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিবারের অনুপ্রেরণা এবং নিজের নিরলস পরিশ্রমই তাকে এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।

সাফল্যের অনুভূতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর আলম শান্ত বলে, ‘এই অর্জনের পেছনে আমার মা-বাবা, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আজ মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা করার বড় ইচ্ছে।’

ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফল প্রকাশের পরে ঢাকায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পর থেকেই মানুষ একের পর এক দেখতে আসছে, অভিনন্দন-শুভকামনা জানাচ্ছে, দোয়া করছে। বাবা হিসেবে এরচেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে। সবার কাছে দোয়া চাই।’

মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মানুষের সেবা করবে—এই স্বপ্নই দেখতাম। আল্লাহ আজ আমাদের মুখে হাসি দিয়েছেন। আশা করি, স্বপ্ন পূরণ হবে। ছেলের জন্য দোয়া চাই।’

বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শান্ত ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মনোযোগী ও শৃঙ্খলাবান শিক্ষার্থী। আমরা প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে সে একজন দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শরীয়তপুরে মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে ছাই। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে ছাই। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান খান বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। বসতঘরের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী মাহফুজা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নিয়ামতপুর গ্রামে বসবাস করেন।

মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মেয়ে আফরোজা আক্তার কবরস্থানের একপাশে আগুনে পোড়ানো কিছু খড়ের ছাই দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানান।

দুপুরে নিয়ামতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমসহ পুলিশের একটি টিম তদন্ত করছে। সিআইডির একটি টিমকে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

বিজয় দিবসের প্রাক্কালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বসতঘরের পাশেই পারিবারিক কবরস্থান। সেখানেই আমার বাবার দাফন হয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে জেগে কবরের পাশে গেলে দেখি কবরস্থানের একপাশে কিছু ছাই পড়ে আছে।’

আফরোজা আরও বলেন, ‘রাতের আঁধারে আমার বাবার কবরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। কে, কী কারণে আগুন দিয়েছে, তা আমরা বলতে পারব না। আমি বিষয়টি প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

ঘটনাস্থলে পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম, বসতঘরের পাশে একটি পারিবারিক কবরস্থান রয়েছে। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবর রয়েছে। কবরস্থানে একপাশে কিছু খড়ের ছাই পড়ে আছে। মনে হচ্ছে কেউ হয়তো আগুন দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় বিশেষ অভিযানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার।

ডিবির পুলিশ পরিদর্শক জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত থেকে ভোররাত ৫টা পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পলাতক থাকা আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম (৫০), বগুড়া শহর যুবলীগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী (৪৮), টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন ইসলাম সার্থক (৩০), শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিকরুল হক জিকু (৩১), বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু মিয়া (৪৪), গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মাহবুব করিম ডালিম (৪০), বগুড়া শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সবুজ মণ্ডল (৩৪) ও বগুড়া শহর যুবলীগের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদল মণ্ডল (৩৪)।

গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, বিস্ফোরকদ্রব্য আইনসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, একজনের ছেলেকে মারধর

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৮
পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে’ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে’ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়েছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তানকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের আলহাজ মোড়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভ’ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে ‘ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা’দের পক্ষ থেকে আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে আলহাজ মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কাজী সদরুল হক সুধা। শ্রদ্ধা জানানোর পরপরই উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বলে বেশ কয়েকবার স্লোগান দেন।

বিজয়স্তম্ভের সামনে সারিতে মুক্তিযোদ্ধা সদরুল হক সুধা ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার বাদশা ছিলেন। স্লোগানের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা সদরুল হক, আবুল বাশারসহ অন্যরাও হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ বলে কয়েকবার স্লোগান দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে উপস্থিত কিছু লোকজন মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের হট্টগোল বাধে। মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকজনের নাম উচ্চারণ করে তাদের খুঁজতে থাকে স্থানীয়রা। একপর্যায়ের মনোয়ার হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কিল-ঘুষি মারে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ঈশ্বরদী অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার কাজী সদরুল হক সুধা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা স্লোগান দিতেই পারে। জয় বাংলা স্লোগান তো আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের স্লোগান না। আওয়ামী লীগ নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে এই স্লোগানটি ব্যবহার করেছে। এই স্লোগান মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান। কিন্তু বিজয়ের স্লোগান দেওয়ার পর কতিপয় ব্যক্তি আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে লাঞ্ছিত করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’ কারা হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে সদরুল হক সুধা বলেন, ‘কারা এই কাজটি করেছেন তাদের আমি চিনতে পারিনি।’

এ বিষয় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, ‘সকালের ঘটনাটি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যতটুকু শুনেছি, ততটুকুই, তারপর আর কিছু হয়নি। এ নিয়ে কোনো অভিযোগও কেউ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফয়সালের সঙ্গে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গেছি, এতটুকুই—আদালতে কবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ কবিরকে আদালতে আনা হয়। ছবি: সংগৃহীত
হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ কবিরকে আদালতে আনা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে কবির আদালতকে বলেন, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তিনি কেবল ফয়সালের সঙ্গে বাংলামোটর ও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন।

বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে কবিরকে হাজির করা হয়। বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাইউম হোসেন নয়ন বলেন, এই আসামি হাদি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই কবিরই ফয়সাল করিম মাসুদকে অস্ত্র সরবরাহ করেছেন। তাঁর সঙ্গে পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ জড়িত কি না, তা দেখতে হবে। অস্ত্র কেনাবেচা সম্পর্কে এই আসামি জানেন। এ ছাড়া তিনি রাজধানীর আদাবর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁকে রিমান্ডে নিলে সব তথ্য বের হয়ে যাবে।

এ সময় কবিরের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালতের অনুমতি নিয়ে কবির বলেন, ‘আমি পাঠাও চালাতাম। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে ফয়সালের সঙ্গে বাংলামোটরসহ ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গেছি, এতটুকুই।’

ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কার—জানতে চান আদালত। উত্তরে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটি আগে আমার বন্ধু মাইনুল ইসলাম শুভ কিনেছিল আমার আইডি কার্ড দিয়ে। মালিকানা ওর, কিন্তু আমার আইডি কার্ড দিয়ে কিনেছিল।’ আদালত প্রশ্ন করেন, ‘আপনার নামে?’ কবির বলেন, ‘না।’

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে।

ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে গতকাল সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। এ মামলায় ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু ও বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আগের দিন মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত