Ajker Patrika

চবির বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১০
চবিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।’

ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।

উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর ৯ বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন, এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

রাবি প্রতিনিধি  
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।

কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’

সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’

মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’

এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে হত্যা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই কিশোর স্বাধীনের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বাধীন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেলায় মিলল ৬০ কেজি ওজনের কচু

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিজয় মেলায় উপজেলা চত্বরে দেখা মিলেছে ৬০ কেজি ওজনের এ কচুর। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলায় এটি দেখা যায়। কৃষক শহীদুল্লাহ্ তাঁর নিজ জমিতে উৎপাদিত কচুটি বিজয় মেলায় প্রদর্শন করেন। কচুটি দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ কচুটির দাম হাঁকিয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। মেলা শেষে এটি বিক্রি করে দেবেন তিনি। শহীদুল্লাহ্ উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কুরাটি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, তিনি তাঁর ১০ শতাংশ জমিতে বিলাতি কচু চাষ করেছেন। দেড় বছর যাবৎ এমন কচু নান্দাইল ও পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি বাজারে বিক্রি করছেন।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ বলেন, দেড় বছর আগে কচু চাষ করেছিলাম। ১০ শতাংশ জায়গায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখনো অনেক কচু রয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আবারও চাষ করব।

চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেন, বিলাতি জাতের এ কচু ডাঁটাসহ ১২-১৫ ফুট উঁচু হয় এবং কচুর মূল অংশ ৬-৮ ফুট হয়। মেলায় প্রদর্শন করার পর থেকে অনেকেই এই কচু চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এমন বিশাল আকৃতির কচু কৃষক উৎপাদন করেছেন। বিলাতি কচুটি খুব সুস্বাদু। প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং আঁশ থাকে, যা স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে বিশাল বড় হওয়ায় একা খাওয়া সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুতে ধান খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৫

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর বাউফলে গরুতে খেতের ধান খাওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ওই এলাকার জাকির হোসেনের একটি গরু বারেক ঢালীর জমির ধান খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বারেক ঢালী গরুটিকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বারেক ঢালী (৬০), তাঁর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) এবং অপর পক্ষের মো. সোহাগ (৩৫ আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সায়েম ঢালী ও সোহাগ গাজীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত