পাবনা প্রতিনিধি

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’
পাবনা প্রতিনিধি

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেসীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিমুল ধর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মৃত আশুতোষ ধরের ছেলে। তিনি পৌর সদরের রহমান জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেললাইন এলাকা অতিক্রমকালে চট্টগ্রামমুখী ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন শিমুল। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাশেদ জানান, ওই স্বর্ণের দোকানের কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিমুল ধর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মৃত আশুতোষ ধরের ছেলে। তিনি পৌর সদরের রহমান জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেললাইন এলাকা অতিক্রমকালে চট্টগ্রামমুখী ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন শিমুল। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাশেদ জানান, ওই স্বর্ণের দোকানের কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে শিমুল ধর (৫৬) নামে স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে